ক্রীড়া ডেস্কঃ
নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে মাঝের ওভারগুলোতে আফগানিস্তানকে চাপে ফেলেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু শেষদিকে আজমতউল্লাহ ওমরজাই ও হাশমতউল্লাহ শাহিদির জুটিতে ম্যাচ হাতছাড়া হয় টাইগারদের। আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে ৪৭.১ ওভারে ৫ উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে নেয় আফগানরা।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪৮.৫ ওভারে ২২১ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। ইনিংসের ভরসা ছিলেন অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ, করেছেন দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬০ রান। তাকে ভালো সঙ্গ দেন তরুণ তাওহিদ হৃদয়, যার ব্যাট থেকে আসে ৫৬ রান।
তবে ইনিংসের শুরুটা ছিল দুঃস্বপ্নের মতো। নতুন ওপেনার সাইফ হাসান ও তানজিদ তামিম দ্রুত ফিরে গেলে বিপাকে পড়ে দল। ২৫ রানের মধ্যেই দুই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর শান্তও দ্রুত বিদায় নিলে ৩ উইকেটে ৫৮ রানে চাপে পড়ে টাইগাররা।
এই অবস্থায় চতুর্থ উইকেটে হৃদয় ও মিরাজ গড়েন ১০১ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি। দুজনেই দারুণ ব্যাটিংয়ে ইনিংসকে টেনে নেন। কিন্তু তারা ফেরার পর মাঝের ও নিচের সারির ব্যাটাররা আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেননি। জাকের আলি (১০) ও নুরুল হাসান সোহান (৭) আবারও ব্যর্থ হন। শেষদিকে তানজিম সাকিব (১৭) ও তানভির ইসলাম (১১) কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও দলীয় সংগ্রহ দুই শতকের বেশি যেতে সময় নেয় কষ্টে।
অল্প পুঁজি নিয়েও শুরুতে লড়াইয়ের আভাস দিয়েছিল বাংলাদেশের বোলাররা। তানভির ইসলামের ঘূর্ণিতে ভেঙে যায় আফগানদের উদ্বোধনী জুটি—২৩ রানে বিদায় নেন ইব্রাহিম জাদরান। এরপর সেদিকুল্লাহ অটলকেও ফেরান তানজিম সাকিব।
তবে রহমত শাহ ও রহমানউল্লাহ গুরবাজের জুটিতে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পায় আফগানিস্তান। দুজনই তুলে নেন অর্ধশতক। পরে মিরাজ ও সাকিবের ঘূর্ণিতে তারা ফিরলেও আজমতউল্লাহ ওমরজাই ও শাহিদির জুটিতে জয় নিশ্চিত হয় আফগানদের।
শেষ পর্যন্ত আফগানিস্তান ২২১ রানের লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে ৪৭.১ ওভারে। আজমতউল্লাহ খেলেন ম্যাচজয়ী ৪০ রানের ইনিংস, শাহিদি অপরাজিত থাকেন ৩৭ রানে।
বাংলাদেশের হয়ে তানভির ইসলাম, তানজিম সাকিব ও মিরাজ নেন দুটি করে উইকেট, কিন্তু ব্যাটিং ব্যর্থতাই শেষ পর্যন্ত হার ডেকে আনে টাইগারদের জন্য।
সংক্ষেপে ফলাফল:
বাংলাদেশ: ২২১ (৪৮.৫ ওভারে অলআউট)
আফগানিস্তান: ২২২/৫ (৪৭.১ ওভারে)
ফল: আফগানিস্তান জয়ী ৫ উইকেটে
ম্যাচসেরা: আজমতউল্লাহ ওমরজাই