
ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
রংপুর জেলার পীরগাছা, কাউনিয়া, মিঠাপুকুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অ্যানথ্রাক্স (Anthrax) সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার সংবাদে গরু বিক্রির পাশাপাশি গরুর মাংস বিক্রি কমেছে।জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে এটি একটি গুরুতর জনস্বাস্থ্য সমস্যা এবং সকলকে সতর্ক হওয়া জন্য আহবান জানিয়েছে।জানাগেছে -অ্যানথ্রাক্স একটি ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণ যা মূলত গবাদিপশু যেমন গরু, ছাগল, মহিষ, ভেড়া ইত্যাদিতে হয়। সংক্রামিত প্রাণীর রক্ত, মাংস, চামড়া বা মৃতদেহের সংস্পর্শে এসে মানুষের শরীরে জীবাণুটি প্রবেশ করতে পারে।সংক্রামিত পশুর মাংস, রক্ত, চামড়া বা হাড় স্পর্শ করার মাধ্যমে এবং অসুস্থ পশু জবাই করার সময় ক্ষত বা কাটা জায়গা দিয়ে জীবাণু শরীরে ঢুকে যেতে পারে।কখনও কখনও আধা সেদ্ধ বা কাঁচা মাংস খাওয়ার মাধ্যমেও সংক্রমণ ঘটতে পারে। মানুষের মধ্যে অ্যানথ্রাক্স সাধারণত তিনভাবে সংক্রমণ ঘটায়—ত্বক, ফুসফুস ও অন্ত্রে। সবচেয়ে বেশি দেখা যায় ত্বকের অ্যানথ্রাক্স। এতে প্রথমে ছোট ফোস্কা হয়, পরে তা কালো ঘায়ে পরিণত হয়। অন্য উপসর্গগুলোর মধ্যে রয়েছে—জ্বর ও দুর্বলতা শরীর ব্যথা ও মাথাব্যথা ঘা বা ফোস্কার চারপাশে ফোলা ও গলা বা বুকে ব্যথা।
জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে হঠাৎ অসুস্থ বা মারা যাওয়া গরু ও ছাগল জবাই করা সন্দেহভাজন পশুর রক্ত, মাংস বা চামড়া কোনোভাবেই স্পর্শ না করা
এছাড়াও জবাইয়ের আগে পশুটি সুস্থ কিনা। সহ গরু মারা গেলে সেটি দাফন করার আগে অবশ্যই প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার পরামর্শ নিতে বলা হয়েছে। আক্রান্ত এলাকার পশু কেনা-বেচা থেকে বিরত থাকার ও ত্বকে ঘা, কালো দাগ বা ফোস্কা দেখা দিলে অবহেলা না করে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়ার জন্য আহবান জানিয়েছে।
Like this:
Like Loading...
Related