দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার গোলাপগঞ্জ উচ্চবিদ্যালয় মাঠে শেষ হলো সাঁওতাল সম্প্রদায়ের মেয়েদের জীবন সঙ্গী খোঁজার মিলনমেলা। হাতে চুড়ি, কপালে টিপ, রঙিন শাড়িতে অপরূপ সাজে পছন্দের জীবন সঙ্গীর খোঁজে দূরদূরান্ত থেকে মিলনমেলায় হাজির হয়েছিল ক্ষুদ্র জাতি গোষ্ঠীর তরুণ-তরুণীরা। গত শুক্রবার বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত নিজপাড়া ও মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদ এবং বীরগঞ্জ আদিবাসী সমাজ উন্নয়ন সমিতির বিদ্যালয় মাঠে মিলনমেলা আয়োজন করে। বউমেলাকে ঘিরে বিদ্যালয়ের মাঠে নানা পণ্যের পসরা নিয়ে বসেন বিক্রেতারা। আর তাই মেলা প্রাঙ্গণ বিদ্যালয়ের মাঠসহ পুরো গোলাপগঞ্জ বাজার এলাকায় ছিল উৎসবের আমেজ । সনাতন ও ইসলাম ধর্মাবলম্বী অসংখ্য মানুষও এই মেলা দেখতে আসেন।
মেলার আয়োজকরা জানান, আগে মেলায় তরুণ-তরুণীরা পছন্দের মানুষ খুঁজে পেলে পরিবারের কাছে জানাতো, পরের বছর মেলায় তাদের নাম-পরিচয় তুলে ধরে বিয়ের আয়োজন করা হতো।
মতো বিয়ে-শাদির ব্যাপারগুলো তত হৈ হুল্লোড় নেই, এরপরও শত বছরের পুরোনো ঐতিহ্য ধরে রেখেছে আয়োজকরা।
মেলায় খুঁজে পাওয়া হরিপুরের চিন্তামনি হাসদা (১৯) ও মোহনপুরের হোপনা সরেন (২৫) নামের নতুন জুটি এবং তাদের অভিভাবকরা জানান, ছেলেমেয়ে একে অপরকে খুব পছন্দ করেছে, তাই আমাদের কোনো আপত্তি নেই, রীতিনীতি ও নিয়ম অনুযায়ী বিয়ে হবে। সাবেক আদিবাসী সমাজ উন্নয়ন সমিতির চেয়ারম্যান বাজুন বেসরা ও শীতল মার্ডি বলেন, প্রতি বছর এই মেলায় ২০০ থেকে ২৫০ জুটি, এবার আরো বেশি বিয়ে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
মেলা উপলক্ষে আলোচনা সভায় আদিবাসী সমাজ উন্নয়ন সমিতির নেতা যোসেফ হেমরমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বীরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি, মঞ্জুরুল ইসলাম মনজু। বিশেষ অতিথি ছিলেন মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহিনুর রহমান চৌধুরী শাহিন, কারিতাসের আঞ্চলিক পরিচালক রবিন মার্ডি, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের আহ্বায়ক মনোজ কুমার রায়।