বিশেষ প্রতিবেদকঃ
প্রধান শিক্ষক রেফাজ মিয়ার ব্যাতিক্রম উদ্যোগে চলছে চর মকিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টি নদীর চর এলাকায় অবস্থিত। সেখানকার মানুষ মাছ ধরে বিক্রয় করে জীবিকা নির্বাহ করেন। তাদের ছেলে মেয়েদের বিদ্যালয়ে পাঠাতে চায়না দারিদ্রতার কারনে। প্রধান শিক্ষক রেফাজ মিয়া বন্ধের দিন ছাড়া বিদ্যালয়ে ছাত্র ছাত্রীদের মাঝে শিক্ষা উপকরন ও টিফিন বিতরণ করেন তাঁর নিজ তহবিল থেকে। এ ছাড়াও ছাত্রদের চুলকাটার জন্য নিজ তহবিল থেকে টাকা দিতে হয প্রধান শিক্ষককে। প্রধান শিক্ষকের এ কার্যক্রমে অভিভাবকগণ খুশি। উক্ত বিদ্যালয়ে আজ ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিনে পরিদর্শন করতে গিয়ে মিলেছে এ তথ্য ও চিত্র। উক্ত বিদ্যালয়টি রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার মিলনপুর ইউনিয়নে অবস্থিত চর মকিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। শিশু
শ্রেনীতে ১৭ জনের মধ্যে ১৬ জন, ১ম শ্রেনীতে ১৬ জনের মধ্যে ১৪ জন, ২য় শ্রেনীতে ১৪ জনের মধ্যে ১৩ জন, ৩য় শ্রেনীতে ১৪ জনের মধ্যে ১৩ জন, ৪র্থ শ্রেনীতে ৮ জনের মধ্যে ৭ জন ও ৫ম শ্রেনীতে ৭ জনের মধ্যে ৫ জন। মোট ৭৬ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৬৮ জন শিক্ষার্থী উপস্থিত পাওয়া যায়।
উক্ত বিদ্যালয়ে শিক্ষকের পদ ৬ টি। কর্মরত শিক্ষক ৩ জন। শুন্য শিক্ষক ৩ জন। উপস্থিত শিক্ষক ৩ জন। বিদ্যালয়টি ১৯৫৩ সালে স্থাপিত হয়। যার জমির পরিমান ১.২১ শতাংশ। ৩৭ শতাংশ জমি আছে অবশিষ্ট জমি নদীতে বিলিন হয়েছে। বিদ্যালয় নম্বর ২০। প্রধান শিক্ষক মোঃ রেফাজ মিয়ার অফিস রুম দৃষ্টি নন্দন।
উক্ত বিদ্যালয়টি ক্লাসটার এটিইও শামীম আক্তার গোপালপুর ক্লাসটারে রয়েছেন। বিদ্যালয়ে অল্প বৃষ্টিতে মাঠে পানি জমে থাকে। এলাকাবামী শুন্য ৩ জন শিক্ষক পূরণ সহ মাঠে মাটি ভরাটকরনের জন্য তারা প্রাথমিক অধিদপ্তরের ডিজি আবু নুর মোঃ সামসুজ্জামানের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন।