নরসিংদী প্রতিনিধি;
এসময় তিনি আরো বলেন, ‘বাজার ঠিক করতে কোন রাজনৈতিক দলের নেতারদের টাকা দেয়া হতে বিরত থাকবেন; টাকা দিতে হলে সরকারকে দিন। যেন সরকার আপনাদের কাজ করে দিতে পারে। আমরা কোন রাজনৈতিক ফায়দা নিতে নয় জনগণের সহযোগিতায় বাজারের ব্যবসায়ীদের উপকারের জন্য আসা! কারণ, এটা আমার ও এলাকা। রাজনৈতিক পরিচয় ভিন্ন থাকতে পারে। বারবার এভাবে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করলে সকলেই পথে বসতে হবে। বারবার উচ্ছেদের নামে সাধারণ ব্যবসায়ীদের সর্বনাশ ডেকে আনা হচ্ছে। সারোয়ার তুষার নরসিংদীর পলাশের ঘোড়াশাল পৌরশহরের সাদ্দাম বাজার পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন। এসময় তিনি ব্যবসায়ীদের দাবী পূরণের পক্ষে কথা বলেন।
নরসিংদীর ঘোড়াশালে বাংলাদেশ রেলওয়ে ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) মালিকানাধীন জমিতে অর্ধশতাব্দীকাল ধরে ব্যবসা চালাচ্ছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। এসব ব্যবসায়ীরা বহু বছর ধরে রাজস্ব প্রদান করে জীবিকা নির্বাহ করলেও বারবার উচ্ছেদের মুখে পড়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন। বছরের শুরুতে অভিযান পরিচালিত হলেও বছর মাঝে আবার অভিযান এ যেন মরার উপর খরার ঘাঁ।
পলাশের সাদ্দাম বাজারে রেল প্রশাসনের অভিযানে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সাধারণ ব্যবসায়ীরা। সেপ্টেম্বরের ১৮ তারিখ অভিযান পরিচালনা করার কথা থাকলে ও নরসিংদী-২ আসনে সংসদ পদপ্রার্থী সারোয়ার তুষার (কেন্দ্রীয় সংগঠক, জাতীয় নাগরিক পার্টি) রেল উপদেষ্টার সাথে কথা বলে আপাতত বন্ধ করেছেন এবং স্থায়ীভাবে সমাধান করার চেষ্টা করবেন যাতে নির্বাচনী সরকার এলেও সাদ্দাম বাজারের ব্যবসায়ীরা আর কোন ধরনের ক্ষতির শিকার হতে না হয় এমন আশ্বাস প্রদান করেন তিনি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন নরসিংদী জেলার এনসিপির প্রধান সমন্বয়কারী আওলাদ হোসেন জনি, যুগ্ম সমন্বয়কারী মোতালিব রহমান ফারাবি (এমআর ফারাবি), জেলা সদস্য নাঈম খান, পলাশের প্রধান সমন্নয়কারী সাইদুল ইসলাম রাকিব, ইসলামী আন্দোলন পলাশ উপজেলার সাধারণ সম্পাদক ইকরাম হোসেন, এনসিপি পলাশের যুগ্ম সমন্বয়কারী জুয়েল ভূইয়া প্রমূখ!