রোকসানা কাজল,স্টাফ রিপোর্টরঃ
গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় মেলার নামে জমজমাট জুয়ার আসর চলছে। এসব অবৈধ মেলা বিগত বহু বছর বন্ধ থাকলেও আবারও শুরু হয়েছে অবৈধ মেলা বানিজ্য।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গাছা, রাজেন্দ্রপুরে, কালিয়াকৈর, শিমুলতলী, সহ বেশকিছু এলাকায় চলছে মেলার
নামে একযুগে অবৈধ জুয়া বাণিজ্য।
সরেজমিন অনুসন্ধানে দেখা গেছে, গাজীপুরের গাছা থানার গাছায় চলছে এসব মেলা। এবং নয়নপুর ঈদগাহের মাঠে।
রাজেন্দ্রপুর ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের এক্সিকিউটিভ (সিও) অফিস সংলগ্ন গাজীপুর সদর থানার বিআইডিসি এলাকায়।
এই মেলা পরিচালনা করার জন্য রয়েছে একাধিক সংঘবদ্ধ দল। অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে এ ধরনের কাজ করা হয়। এদের মধ্যে একদল স্থানীয় প্রশাসন কে সামাজিক ও উন্নয়নমূলক কাজের ফিরিস্তি শুনিয়ে কখনো লিখিত আবার কখনো অলিখিত অনুমোদন পাইয়ে দেয়।
অন্য আরেকটি দলের কাজ হচ্ছে দৈনিক নগদ অর্থ লেনদেনের বিষয়ে, স্থানীয় মিডিয়া কর্মীদের সাথে কাজ করেন। সংবাদ প্রকাশ যেন কোন প্রকার না হয়।
মেলা পরিচালনা কমিটিরা, তারা সুযোগ ও পরিস্থিতি বুঝে তাদের মূল লক্ষ্য জুয়ার আসর চালায়। এইটাই মেলার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়,দোকানীরাও সিন্ডিকেটের সক্রিয় সদস্য। মেলাতে নিন্ম মানের কিছু দোকান থাকে যা শুধু লোক দেখানোর জন্য।
গুরুত্বপূর্ণ সব চেয়ে যে বিষয়টি তা হলো, মেলার, কার্যক্রম ও মেলার ব্যবহৃত সাইনবোর্ড এর মধ্যে কোনো মিল নেই।
ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা নিয়ে সারা দিন মাইকিংয়ের মাধ্যমে যদি ১ লাখ টিকিট বিক্রি হয় তার মূল্য দাঁড়ায় ২০ লাখ টাকা। শুধু লাকি কুপন বিক্রি করে প্রতিটি মেলা থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি টাকা। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে বিক্রি হওয়া ১ লাখ টিকিট থেকে অর্ধেক দিয়ে ড্র,পরিচালনা করা হয়। আর বাকি অর্ধেক চলে যাচ্ছে সুয়ারেজ লাইনের ময়লা আবর্জনা সাথে। যেখানে পুরস্কার বিতরণ করা হয় ৫ থেকে ৬ লাখ টাকার সমপরিমাণ। আর প্রকাশ্যেই সমস্ত দুর্নীতি করে যাচ্ছে, সব দেকেও নিরব ভূমিকায় প্রশাসন দিনের পর দিন।
গাজীপুরবাসী কি এইসমস্ত অসামাজিক কার্যকলাপ থেকে আদৌও মুক্তি পাবে কি। গাজীপুর বাসী প্রশ্ন, দেশের বিদ্যমান পরিস্থিতিতে মেলা বা মেলার নামে অবৈধ জুয়া বাণিজ্য কি সমাজের কল্যাণ সাধন করছে।