ফায়েজুল শরীফ,ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
মাদারীপুর র্যাব-৮, সিপিসি-৩ মাদারীপুর ও ব্যাটালিয়ান সদর কোম্পানী কর্তৃক পরিচালিত যৌথ অভিযানে শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট থানায় রুজুকৃত আলোচিত মোঃ মারুফ সরদার হত্যা মামলার এজহারভূক্ত পালাতক আসামী বাচ্চু সরদার (৫৩)-কে বরিশাল থেকে গ্রফতার করা হয়েছে বলে এক প্রেস রিলিজে জানিয়েছেন মাদারীপুর সিপিসি-৩ এবং মাদারীপুর ব্যাটালিয়ান কোম্পানী কমান্ডার পুলিশ সুপার মীর মনির হোসেন। রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় তার স্বাক্ষরিত এ দসংক্রান্ত প্রেস বিজ্ঞপ্তি ও ঘটনার বিবরণে জানা যায়, মাত্র ২০০ টাকার একটা ধার-দেনাকে কেন্দ্র করে মারুফ সরদার নিহত হন। উক্ত হত্যা মামলার আসামী রিফাত সরদারের নিকট থেকে মাত্র ২০০ টাকা ধার নিয়েছিলেন নিহত মারুফ সরদার। তার কাছে উক্ত টাকা চাইলে তখন নিহত মারুফ বলেছিলেন, আমার কাছে এখন টাকা নেই, তোমাদের পাওনা টাকা পরে দিবো কিন্তু রিফাত তা মানতে রাজি না হলে কথা কাটাকাটির পাশাপাশি তাকে গালিগালাজ করতে থাকলে গ্রেফতারকৃত বাচ্চু সরদার সহ আরো কয়েকজন তার আত্মীয়-স্বজন বিবাদী রিফাতের সাথে যোগ দেয় এবং এসময় দল ভারী হলে তারা আরো উত্তেজিত হয়ে মারুফ সরদারকে বেদম প্রহার করতে-করতে একপর্যায়ে ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে পেটে কোপ মারলে তার পেট থেকে নারী-ভূড়ি বের হয়ে গিয়ে মারাত্মক আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। মারাত্মক আহত মারুফ সরদারের চিৎকারে তখন তার আত্মীয়-স্বজন ও আশে-পাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে গোসাইরহাট সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে এবং পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
এ হত্যার ঘটনায় মোসাঃ পাপিয়া আক্তার বাদী হয়ে গোসাইরহাট থানায় বাচ্চু সরদার, রিফাত সরদার সহ আরো ৩/৪ জনকে বিবাদী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন যার মামলা নং-০৩, তারিখ-০৯/৬/’২৫ ইং। মামলার খবরে এর সাথে যুক্ত আসামীরা তখন গা-ঢাকা দেয়। তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে উক্ত হত্যা মামলার এজাহার ভূক্ত আসামী মোঃ বাচ্চু সরদারকে র্যাবের উক্ত টিম বরিশালের মুলাদী উপজেলার একটি আবাসিক হোটেল থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারকৃত আসামী বাচ্চু সরদারের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে মামলা মূলে তাকে বরিশাল মুলাদী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কোম্পানী কমান্ডার পুলিশ সুপার মীর মনির হোসেন।