নরসিংদী প্রতিনিধিঃ
নরসিংদী সদর উপজেলাধীন শিলমান্দী ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের অধিবাসী ওকিল উদ্দিন খুব শখ করে তার ছেলেকে বিয়ে করিয়েছিলেন নাতি-নাতনীদের নিয়ে আনন্দে দিনাতিপাত করবেন! কিন্তু তার কপালে আর সইলো কোথায়? তিন বছরের নাতী এবং ছেলের বউকে নিয়ে গেছে তার পরিবার; ছেলে প্রবাসে অথচ বউকে নিয়ে অন্যত্র বিয়ে দেয়ার ঘটনায় পুরো এলাকা স্তব্দ! ছেলের শশুর বাড়ির লোকজন ছেলের বউকে নিয়ে অন্যত্র বিয়ে দিয়ে দিয়েছে। এলাকায় ঘৃণার ঝর উছেঠে।
জানা যায়, উকিল উদ্দিনের ছেলে ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক পারিবারিকভাবে বিবাহ করেন রায়পুরার চরমধুয়া ইউনিয়নের সমিবাদ গ্রামের জালাল উদ্দীন ও খোশ পেয়ারার মেয়ে সুমি আক্তারকে। দীর্ঘ সংসার জীবনে তাদের একটি সাড়ে তিন বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
ঘটনার দিন ২৫ জুন ২০২৫ সকালে উকিল উদ্দিন সাময়িক অনুপস্থিত থাকা কালে ছেলের শ্বশুর জালাল উদ্দিন ও শাশুড়ি খোশপিয়ারা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তাঁর ছেলের স্ত্রী ও নাতিকে বাড়ি থেকে জোর পূর্বক নিয়ে যায়।
বিষয়টি জানতে পেরে উকিল উদ্দিন আত্মীয়-স্বজন নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে গেলে, উল্টো তাঁদের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়। এরপর থেকে একাধিকবার চেষ্টা করেও স্ত্রী ও ছেলেকে ফেরত আনতে ব্যর্থ হয়েছেন প্রবাসী শফিক ভুইয়ার পরিবার। এতে পরিবারটি চরম উৎকণ্ঠার মধ্যে দিনপার করছে।
এ দিকে উকিল উদ্দিনের ছেলে সফিক ভূইয়া প্রবাসে থাকা অবস্থায় তার নিজ সংসারের করুন পরিনতি দেখে পুরোপুরি ভেঙ্গে পড়েছেন।
মুঠোফোনে জানান, তার স্ত্রী সুমা আক্তারের বিয়ে হয়ে গেছে অন্যত্র! এদিকে দীর্ঘ দিনের সংসারবাস; একটি ৩ বছরের সন্তানের অনিশ্চিত জীবনের যাত্রা; পরিনতি কী হবে? ভাবতে শিউরে উঠছে পরিস্থিতি। এভাবেই যদি প্রবাসীরা নারীদের ছলনায় আটকে যায় ভবিষ্যত নিয়ে খুবই ভয়াবহ দুশ্চিন্তায় বিভোর তিনি! স্ত্রীর বিয়ে অন্যত্র; জানারও সুযোগ হয়নি তার!
প্রতিনিধি সফিক ভুইয়ার শশুর বাড়িতে যোগাযোগ করলে তার শাশুড়ি খোশ পেয়ারা বেগম প্রতিনিধির সাথে কথা বলেননি; বরং প্রতিনিধির সাথে আরো বাজে ব্যবহার করেছেন কোন ধরণের সহযোগিতা করতে নারাজ তারা।
চরমধুয়ার বিবাহ ও তালাক রেজিস্ট্রার কাজী অলিউর রহমানকে প্রবাসী শফিক ভুইয়ার তালাক ও সুমার অন্যত্র বিয়ের ব্যপারে জানতে চাইলে তিনি জানান, কাজীর দায়িত্ব বিয়ে পড়ানো নয় রেজিস্ট্রার করা; বিয়ে পড়ায় ইমাম সাহেব।
বার্তায় তিনি বলেন—“আমি রক্ত-ঘামে উপার্জন করে সংসার চালাই, অথচ আমার স্ত্রীকে অন্যত্র বিয়ে দিয়ে দিয়েছে! জানানোর ও প্রয়োজন বোধ করেনি। আমার সন্তানের ভবিষ্যৎ কী হবে ভেবে শিউরে উঠছি আমি।”
এদিকে ভুক্তভোগী পরিবার তাদের অধিকার ফিরে পেতে ১০০ ধারায় মামলা দায়ের করেন (মামলা নং- ৭১/২৫) নরসিংদী জেলা জজকোর্টে।
প্রবাসীদের প্রতি এরকম আনাচার প্রতিনিয়ত ঘটছে সমাজে। তাদের টাকা-পয়সা সব মেরে স্ত্রী ধরছেন পরের হাত; টাকা ছাড়া প্রবাসীরা যেন একটা নিথর দেহ। তাদের সাথে কৃত ঘটনার কয়টিরই বা সমাধান হয়েছে। নিরবে নিভৃতে ঘটছে দূর্ঘটনা এমন হাজারো। প্রবাসীদের প্রতি এই অন্যায়ের বিচার তারা কোথায় দিবে এবং কোথায় পাবে সুনির্দিষ্ট সুবিচার! এখন প্রবাসের শফিকের চাওয়ার কোন সমাধান হবে কী? ফিরে আসবে কী তার প্রেয়সী সুমা ও কলিজার টুকরা সন্তান!