1. news@dainikalokitonews.com : দৈনিক আলোকিত নিউজ : দৈনিক আলোকিত নিউজ
  2. info@www.dainikalokitonews.com : দৈনিক আলোকিত নিউজ :
শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:৩১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের উদ্যোগে পুরোহিত ও সেবাইতদের সাতক্ষীরায় ৯ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণের সমাপনী ও সনদপত্র বিতরণ চুয়াডাঙ্গার নতুন পুলিশ সুপার উপ-পুলিশ কমিশনার গৌতম কুমার বিশ্বাস মিঠাপুকুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৭ জন শিক্ষার্থীর জন্য ৫ জন শিক্ষক প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ফুলকুঁড়ি বিজ্ঞানচক্র বান্দরবানের বিজ্ঞানমেলা অনুষ্ঠিত মাদক সেবনকারী এবং মানব পাচারকারীদের কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন মতবিনিময় সভায় অনুজা নওগাঁয় প্রেমের বিয়ের পর স্বামীর ছুরিকাঘাতে স্ত্রী নিহত পার্বতীপুরে ভ্রাম্যমান আদালতে ২ মাদক সেবীর সাজা গাজীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ কাতারের পর এবার ইয়েমেনে হামলা চালালো ইসরায়েল, নিহত-৩৫ পিটার হাসের কোম্পানি’ থেকে ১ লাখ কোটি টাকার এলএনজি কিনবে সরকার

গ্রাহকের ৫ কোটি টাকা নিয়ে উধাও সিটি এজেন্ট ব্যাংকিং শাখার মালিক

  • প্রকাশিত: রবিবার, ২৪ আগস্ট, ২০২৫
  • ৭০ বার পড়া হয়েছে

ঘাটাইল (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধিঃ

এজেন্ট ব্যাংকে টাকা রেখে মাথা চাপড়াচ্ছেন গ্রাহকরা
গ্রাহকের বোধোদয় হওয়ার আগেই উধাও সিটি ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংক। পালিয়েছে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা নিয়ে। এফডিআর করে পথে বসেছেন বহু মানুষ। ঘাটাইল উপজেলার গারোবাজারে এই ব্যাংকের এজেন্ট শাখা খুলে এমন প্রতারণা করেছেন নাহিদ হাসান নামে এক যুবক। তাঁর বিরুদ্ধে কয়েকদিন আগে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

লক্ষিন্দর ইউনিয়নের সিংহচালা গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে নাহিদ হাসান এলাকায় পরিচিত ছিলেন নম্র-ভদ্র ছেলে হিসেবে। তাঁর ভাই শফিকুল ইসলাম এলাকার মানুষের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের ঋণ করে পালিয়ে প্রবাসে বাড়ি জমিয়েছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, ভাইয়ের ছিটেফোঁটা লক্ষণও নাহিদের মধ্যে ছিল না। গ্রামীণ পর্যায়ে ব্যাংকের সেবা দিতে ২০১৮ সালে গারোবাজারে আব্দুল মজিদের ঘর ভাড়া নিয়ে সিটি ব্যাংকের এজেন্ট শাখার কার্যক্রম শুরু করেন নাহিদ। তাঁর এ কাজে মানুষ বেশ সাড়া দেন। নাহিদ টার্গেট করেন প্রবাসী এবং ব্যবসায়ীদের। উদ্বুদ্ধ করেন এফডিআর করতে। সফলও হন। হঠাৎ করে গত ২ আগস্ট ব্যাংকে তালা ঝুলানো দেখতে পান গ্রহকরা। তারা ভাবেন কোনো কারণে হয়তো ব্যাংক বন্ধ। ৬ আগস্ট গ্রাহকরা পুরোপুরি বুঝতে পারেন বড়ভাই শফিকুল ইসলামের পথ বেছে নিয়েছেন নাহিদ। অর্থাৎ টাকা নিয়ে পালিয়েছেন।

গারোজাবারে রয়েছে আন্তর্জাতিক মানের একটি
এনজিও সিসিডিবির শাখা। এই এনজিওর ব্যবস্থাপক পবিত্র কুমার সরকার বলেন, ব্যাংক দেখিয়ে এনজিও থেকে ২৫ লাখ টাকার এসএমই ঋণ নিয়েছেন নাহিদ। এক লাখ ৬২ হাজার ৫০০ টাকার তিনটি কিস্তি দিয়ে পালিয়ে গেছেন। আমার মাধ্যমেও এক-দেড়শ লোক ওই ব্যাংকে একাউন্ট খুলেছেন। অনেক মানুষ টাকা জমা রেখে চোখের পানি ফেলছেন।

সিঙ্গাপুর প্রবাসী ওমর আলী তাঁর মায়ের নামে সিটি ব্যাংকের ওই এজেন্ট শাখায় একাউন্ট খুলে ১২ লাখ টাকার এফডিআর করেন। মোবাইল ফোনে ওমর আলী দৈনিক আলোকিত নিউজ কে বলে ইসলামী ব্যাংকে তাঁর এফডিআর করা ছিল। নাহিদ তাঁকে বোঝান সিটি ব্যাংকে লাভ বেশি, তাই সেটি ভেঙে এই এজেন্ট ব্যাংক টাকা রাখা হয়। তিনি বলেন, এলাকার মানুষের প্রায় পাঁচ কোটি টাকা নিয়ে গেছেন নাহিদ।

১৪ লাখ আট হাজার টাকার এফডিআর করেছিলেন গারোবাজারের আব্দুস সাত্তার। নাহিদ পলাতক থাকায় থানায় অভিযাগ দিয়েছেন তিনি। সাত্তার জানান, দুই দিন আগে সিটি ব্যাংকের হেড অফিস থেকে লোক এসেছিলেন গারোবাজারে। তারা বলে গেছেন, গ্রাহকের টাকা ফেরত দেওয়া হবে।

এজেন্ট ব্যাংকটির ভুক্তভোগী গ্রাহকরা জানান, মানববন্ধন করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তারা। এ খবর পেয়ে ব্যাংকের হেড অফিসের লোকজন মানববন্ধন এলাকার ‘ভদ্র’ ছেলে নাহিদও তাঁর বড় ভাই শফিকুলের পথ ধরেছেন বলে অভিযোগ

করা থেকে তাদের বিরত থাকতে এবং বিষয়টি সাংবাদিকদের না জানাতে অনুরোধ করেন। এর আগে কয়েকজন লোক ১৭ আগস্ট ওই এজেন্ট ব্যাংকের সাইনবোর্ড ভেঙে ফেলেন। স্থানীয়রা সাইনবোর্ড ভাঙার বিষয়ে জানতে চাইলে ওই লোকগুলো পরিচয় দেন তারা ঘাটাইল সিটি ব্যাংকের লোক।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চেয়ারম্যানের সই জাল করে এজেন্ট ব্যাংকের নামে ২০২৩ সালে ট্রেড লাইসেন্স করেন নাহিদ। বিষয়টি তৎকালীন লক্ষিন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান জানতে পেরে ওই বছরের ৯ অক্টোবর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

স্থানীয়রা জানান, নাহিদের পালানোর খবর পেয়ে ব্যাংকের গ্রাহকরা ভিড় করেন তাঁর বাড়িতে। নাহিদকে না পেয়ে তারা ঘরের আসবাব নিয়ে যান। এ বিষয়ে কথা বলতে নাহিদের বাড়ি গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। নাহিদের মোবাইল ফোনে কল করলে সেটি বন্ধ পাওয়া গেছে।

ঘাটাইল সিটি ব্যাংকের উপশাখার ব্যবস্থাপক খালিদ ইবনে তুষার বলেন, ‘আমি ঘাটাইলে দুই বছর ধরে আছি। গারোবাজারে যে আমাদের এজেন্ট শাখা আছে, তা আমার জানা ছিল না। এজেন্ট ব্যাংকের লোকজন পালানোর পর জানতে পেরেছি।’ নিয়মিত এজেন্ট ব্যাংকগুলো অডিট করা হয় কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, উপশাখা এ কাজ করে না, শাখা অফিস বলতে পারবে।

কথা হয় সিটি ব্যাংকের টাঙ্গাইল শাখা অফিসের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ জাহিদ হোসাইনের সঙ্গে। তাঁর ভাষ্য, শাখা ব্যাংক থেকে এজেন্ট ব্যাংকের বিষয়ে কোনো প্রকার তদারকি করা হয় না। হেড অফিস এজেন্ট ব্যাংকিং বিভাগের সঙ্গে এজেন্ট ব্যাংকের লোকজন যোগাযোগ করে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকেন।

এ বিষয়ে ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মোশারফ হোসেন বলেন, একটি এজেন্ট ব্যাংকিং শাখার টাকা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী গ্রাহকরা। অভিযোগ তদন্ত করে সত্যতা পেলে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ,কলাম,তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট