ভোলা প্রতিনিধিঃ
ভোলার বোরহানউদ্দিনে পৌর এলাকায় চাঞ্চল্যকর ফোরকানের বাড়িতে চুরির ঘটনায় মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভোলা জেলা পুলিশ সুপার মোঃ শরিফুল হকের নির্দেশে,ওসি সিদ্দিকুর রহমানের নেতৃত্বে থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে চোর চক্রের দুই সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ,ত্বরিত এ অভিযানে সাফল্যের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন বোরহানউদ্দিন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সিদ্দিকুর রহমান।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,বোরহানউদ্দিন উপজেলার পৌর ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কলেজ রোডে মোঃ ফোরকান হোসেন নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে চোর চক্রের একটি দল আক্রমণ করে গত ৮ ই আগস্ট মোটরসাইকেল,টেলিভিশন,ট্যাব,গহনা,নগদ টাকা পয়সা সহ লাখ লাখ টাকার জিনিসপত্র নিয়ে যায়,পরবর্তীতে ফোরকান বাদী হয়ে বোরহানউদ্দিন থানায় একটি চুরি মামলা দায়ের করেন,মামলা গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গেই বোরহানউদ্দিন থানা পুলিশ ওসি সিদ্দিকুর রহমানের নেতৃত্বে ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশের চৌকস একটি টিম।
পরে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার ও গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে দ্রুত শনাক্ত করা হয় এবং ১১ আগস্ট সোমবার বোরহানউদ্দিন থানার ওসি সিদ্দিকুর রহমান,বোরহানউদ্দিন থানার উপ-পরিদর্শক মেহের অসীম দাশ সহ থানা পুলিশের চৌকস একটি টিম বাবু নামে একজনকে গ্রেফতার করে,তার দেওয়া তথ্যর ভিত্তিতে ১২ আগস্ট নাঈম প্রকাশ অথৈ নামে আরেকজনকে পক্ষিয়া ইউনিয়ন ৮ নম্বর ওয়ার্ডের লালদীঘির পার এলাকার তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় এবং ১৩ ই আগস্ট সকালে গ্রেফতারকৃত অথৈ এর দেওয়া তথ্যর ভিত্তিতে চুরি হয় একটি মোটরসাইকেল,ট্যাব ও টেলিভিশন উদ্ধার করা হয়,বর্তমানে হাওলাদার মার্কেট এলাকার নাগর মাতব্বরের ছেলে রনি নামে আরেকজনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানায় পুলিশ।
এদিকে চুরি হওয়া মাল ফেরত পেয়ে ফোরকান হোসেন বলেন,অতি স্বল্প সময়ের মধ্যে বোরহানউদ্দিন থানা পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে দুইজন চোরকে আটক করেছে,একজনকে এখনো আটকের চেষ্টা চলছে,আমার চুরি হওয়া ৩ টি মাল উদ্ধার করা হয়েছে,আমি ভোলা জেলা পুলিশ সুপার মোঃ শরিফুল হক ও বোরহানউদ্দিন থানার ওসি মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান স্যারকে ধন্যবাদ জানাই ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বোরহানউদ্দিন থানার ওসি মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন,ঘটনার পর আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত শুরু করি। দ্রুত সময়ে অপরাধীকে শনাক্ত করে গ্রেফতার ও চুরি যাওয়া অর্থ উদ্ধার করতে পেরেছি—এটাই আমাদের লক্ষ্য ছিল।
ভোলা জেলা পুলিশ সুপার মোঃ শরিফুল হক মহোদয়ের নির্দেশে বোরহানউদ্দিন থানা পুলিশ সবসময় অপরাধ নির্মূলে জনগণের পাশে আছে এবং থাকবে,অপরাধ করে কেউ পার পাবে না,তিনি আরও বলেন, “পুলিশ সদস্যদের মধ্যে সমন্বিত প্রচেষ্টা, গোয়েন্দা তথ্য বিশ্লেষণ এবং প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহারের কারণেই এ সফলতা এসেছে।”
ওসি আরো জানান,গ্রেফতারকৃত অথৈ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে চুরির কথা স্বীকার করেছে,বাকি একজনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।আটক বাবুও অথৈ কে ভোলা কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এত অল্প সময়ের মধ্যে একটি বড় চুরির রহস্য উদঘাটন এবং চুরি যাওয়া অর্থ উদ্ধার নিঃসন্দেহে পুলিশের একটি ব্যতিক্রমী সাফল্য। তারা বলেন,ওসি সিদ্দিকুর রহমান যে সাহস, দূরদর্শিতা ও দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। এমন অফিসার থাকলে জনগণের মধ্যে পুলিশ সম্পর্কে আস্থা আরও দৃঢ় হবে। এ সাফল্যে বোরহানউদ্দিনের সাধারণ মানুষের মধ্যে যেমন স্বস্তি ফিরেছে,তেমনি পুলিশের প্রতি জনসাধারণের আস্থা ও সম্মানও বেড়েছে।