অর্থনীতি ডেস্কঃ
দেশের বিভিন্ন স্থানে টানা বৃষ্টির প্রভাবে বাজারে শাক-সবজির সরবরাহ কমে যাওয়ায় এসব পণ্যের দাম বেড়েছে।
শাক-সবজির দাম কিছুটা বেড়েছে। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে কাঁচামরিচের দাম, যা বিক্রি হচ্ছে কেজি ২৮০ থেকে ২৯০ টাকায়।আগের সপ্তাহে ছিল ৮০ থেকে ১০০। এছাড়া বেগুনসহ একাধিক সবজির দাম কেজিতে বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা।
শুক্রবার (১১ জুলাই) রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে এমন এ চিত্র দেখা গেছে।
বৃষ্টির অজুহাতে সব ধরনের সবজির দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন বিক্রেতারা এমন দাবি করছেন ক্রেতারা। তারা বলেন, কাঁচামরিচ কিনেছিলাম ১০০ টাকা কেজি, সেটা এখন কেনা লাগছে ২৮০ থেকে ২৯০ টাকা। ঢাকার বাইরে থেকে পণ্য আসছে না।
তবে টানা বৃষ্টি হওয়ায় পাইকারি ব্যবসায়ীরা মজুত করে দাম বাড়িয়ে দিতে পারেন, এ জন্য দাম একটু চড়া। তবে বৃষ্টি শেষ হলে দাম আবার আগের মতো হয়ে যাবে।পাইকারি বাজারে কাঁচামরিচের সরবরাহ খুব কম। পাইকারি বাজার থেকে ২৫০ টাকার ওপরে কাঁচামরিচ কিনতে হয়েছে। খুচরা বিক্রেতাদেরও বেশি দাম দিয়েই কিনতে হচ্ছ
সবজির বাজার, এদিকে প্রতিকেজি পটোল, ঝিঙে, ধুন্দল ৬০-৭০ টাকা, শসা ৬০-৮০ টাকা, কচুরমুখি ৮০-১০০ টাকা, কাঁকরোল ৮০-১০০ টাকা, সজনেডাটা ১২০-১৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০-৫০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৩০-৪০ টাকা, কাঁচকলা ৩০-৪০ টাকা হালি, টমেটো ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৯০-১২০ টাকা, একইভাবে বেগুন ৯০-১০০ টাকা। করলা ৮০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
স্থিতিশীল রয়েছে আলু, মসলা,মাছ ও মাংসের দাম। দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি মানভেদে ৫৫-৬০ টাকা, দেশি আদা ১৩০-১৫০ টাকা, দেশি রসুন ১২০-১৫০ টাকা, আমদানি করা রসুন ১৯০-২০০ টাকা, দেশি মসুর ডাল (চিকন দানা) ১৪০ টাকা, আমদানি করা মসুর ডাল (মোটাদানা) ১১৫-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি ডজন ডিম ১২৮-১৩০ টাকা, প্রতিকেজি গরুর মাংস ৭৫০-৮০০, খাসির মাংস ১১০০-১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মুরগির বাজার, সোনালি মুরগির দাম কিছুটা বাড়লেও ব্রয়লার মুরগি আগের মতো ১৭০-১৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে ট্যাংরা, চিংড়ি ৮০০-১২০০ টাকা, ১ কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২২০০-২৪০০ টাকায়। আকারভেদে রুই ও কাতলের কেজি ৩০০-৪৫০ টাকা, পাবদা ৪০০-৫০০, তেলাপিয়া ও পাঙাশ ২২০-২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।