ফেনী,রিয়া আক্তারঃ
ফেনীর উত্তরাঞ্চলে মুহুরী, কহুয়া ও সিলেনিয়া নদীর ৮ স্থানে বাঁধ ভেঙে সীমান্তবর্তী ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলায় কমপক্ষে ২০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। নদীর পানি বেড়িবাঁধের উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় পরশুরাম সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে কয়েক হাজার মানুষ। গত দুই দিনের টানা ভারী বৃষ্টির কারণে জেলা শহরের রামপুর, পাঠানবাড়ি, শাহীন একাডেমি এলাকা, নাজির রোড,পেট্রো বাংলাসহ বিভিন্ন এলাকায় তৈরি হয়েছে জলাবদ্ধতা। তাতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন খেটে খাওয়া শ্রমজীবিসহ বিভিন্ন শ্রেণি- পেশার মানুষ।
এদিকে ফুলগাজীতে দেড়পাড়া, শ্রীপুর,মুন্সিরহাট, বরইয়া, নিলক্ষীসহ ১০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ফুলগাজী বাজারে পানি ঢুকে দোকানপাট পানিত নিমজ্জত হয়েছে। পরশুরাম উপজেলার উত্তর ধনীকুন্ডা, মধ্যম ধনীকুন্ডা, রামপুর, দুর্গাপুর ও রতনপুর প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া পরশুরামের বল্লামুখায় ভারতের অংশে বাঁধ ভেঙে বাংলাদেশ অংশে পানি ঢুকেছে।
জেলা প্রশাসক (ডিসি) জানিয়েছেন, ১৩১ টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। নিরাপদ থাকতে রাতেই আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন অনেক বাসিন্দা।
গত বছরের আগস্টের ভয়াবহ বন্যায় পর্যদুস্ত হওয়া ফেনীতে গত ২৪ ঘন্টায় ৪০৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের রেকর্ড করছে আবহাওয়া অফিস। যা চলতি মৌসুমে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড। এবার ২৪ ঘন্টায় ৩০৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশল আক্তার হোসেন মজুমদার বলেন, আমরা সকাল পর্যন্ত ১১ টি স্থানে ভাঙনের তথ্য পেয়েছি। নদীর পানি এখনো বিপদসীমার ১৩৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে মধ্যরাত থেকে পানি কিছুটা কমেছে। উজানে বৃষ্টি বন্ধ থাকলে ভাঙনের শঙ্কা কমবে।