নিজস্ব প্রতিবেদক:
সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ থেকে বিদ্যুৎ আহমেদ বিশেষ প্রতিনিধি: প্রাপ্ত তথ্য অনুসন্ধান জানা গেছে, সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ উপজেলার থানাপাড়া থানা খোলা বাড়ি এলাকার রহিম এর মেয়ে শাম্মী (২১ ) এর সাথে বগুড়া জেলার ধনুট উপজেলার সাঘাটিয়া গ্রামের সিরাজ এর ছেলে সাগর ৩০ এর সাথে ২০২০ সালে ইসলাম শরিয়া অনুযায়ী বিবাহ হয়।
বিয়ের পর থেকে টাকা পয়সার জন্য স্ত্রী শাম্মীর পরিবারের উপর চাপ সৃষ্টি করে। শাম্মীর পরিবার দিনমজুর হওয়া সত্ত্বেও গবাদি পশু বিক্রি করা সহ অন্যান্য জিনিসপত্র বিক্রি করে মেয়ের সুখের জন্য বখাটে সাগর এর হাতে তিন লক্ষ টাকা প্রদান করে, এছাড়াও স্বর্ণালংকার ও ঘরের আসবাবপত্র ঘাতক সাগর এর পরিবারকে দেয়। এর কিছুদিন পর থেকে বিভিন্নভাবে সম্মিকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে সাগর এর পরিবার। যার ফলশ্রুতিতে শাম্মী বাবার বাড়িতে বারবার ফিরে এসে অভিযোগ করে।
শাম্মীর বাবার পরিবার মেয়ের অভিযোগ কর্ণপাত না করে পুনরায় শ্বশুরবাড়ি ধনুট পাঠিয়ে দেয়। গত ১০/ ৫ / ২০২৫ তারিখে শাম্মীর স্বামী সাগর ও সাগরের মা আসমা ও সাগরের বাবা সিরাজ ও সাগরের ভাবি রাশিদা সাগরের বোন সুফলা সহ আরো অনেকে শাম্মীর মুখের ভিতর গ্যাস ট্যাবলেট জোর করে ঢুকিয়ে দেয়। এতে এতে শাম্মী অসুস্থ হলে গ্রামের লোকজন বগুড়া জেলা শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করায়।
অসুস্থ শাম্মী মেডিকেলে ভর্তির খবর পেয়ে শাম্মীর পরিবার শাম্মী কে দেখতে যায়। শাম্মীকে যারা জোর করে গ্যাস ট্যাবলেট মুখের ভিতর দিয়ে গিলতে বাধ্য করেছে তাদের নাম মোবাইল ফোনে ভিডিও রেকর্ড করে রেখেছে। শাম্মী মেডিকেলে ভর্তি থাকা অবস্থায় পরের দিন ১১/ ৫/ ২০২৫ ইং তারিখে সকাল ১১টার সময় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করে।
এ বিষয়ে বগুড়া জেলার ধনুট থানায় ইউডি/ অপ-মৃত্যু মামলা হয়েছে। উল্লেখিত ধুনুট থানার অফিসার ইনচার্জ সাইদুল আলম ও মামলার আয়ু এসআই গনি কে মৃত শাম্মীর ভিডিও জবানবন্দি দেখালে হত্যা মামলা রুজু করতে রাজি হয়। হত্যা মামলা না হওয়ায় ঘাতক স্বামী সাগরের এর পরিবার বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। মৃত শাম্মীর নাবালক পুত্র সন্তান রয়েছে, পুত্র সন্তানটি মাকে খুঁজে বেড়াচ্ছে।
এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশিত হলে শাম্মীর স্বামী খুনি সাগরকে গ্রেফতার করেছে ধনুট থানা পুলিশ। বাকি খুনিরা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। প্রশাসনের আশু দৃষ্টি ও পদক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।