বিকাশ কুমার দাস,স্টাফ রিপোর্টারঃ
পাবনার ফরিদপুর উপজেলার বেড়হাউলিয়া পুর্বচিথুলিয়া গ্রামে জজ কোর্টের ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে ঘরনির্মাণ এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মিথ্যা মালমা দায়ের করেছেন একই গ্রামের প্রতিপক্ষ মোঃ সাবান আলীর বড় পুত্রবধু মোছাঃ তানিয়া খাতুন। ভূ-সম্পত্তির উপর কোর্টের ১৪৪ ধারা জারি বলবদ থাকলেও মোঃ সাবান আলী গং প্রভাবখাটিয়ে জমিতে ঘরবাড়ী নির্মাণ করেছেন। ১৪৪ ধারা চলমানের প্রথম পর্যায়ে সরজমিন “আলোকিত টিভি”র সংবাদকর্মী ঘটনাস্থলে গেলে মোঃ সাবান আলী বাড়ীতে না থাকায় তার তার স্ত্রী ও কন্যা স্বাক্ষাতকার দেন, নিউজ কইরেন না, আমরা শুধু খুটি গেরেছি যা করেছি আর কোন কিছু করবোনা। ১৪৪ ধারা ভঙ্গকরে বিরোধপূর্ণ সম্পত্তিতে আমরা আর ঘরবাড়ির নির্মাণ কাজ করবো না, এই মর্মে মোঃ সাবান আলী ফরিদপুর থানায় মুসলেকা দিয়ে আসেন।এ অবস্থায় কিছু দিন হওয়ার পরে প্রতিপক্ষ মোঃ সাবান আলী ১৪৪ ধারা ভঙ্গকরে পুনরায় ওইস্থানে ঘর নির্মাণ করেন।ঘর নির্মাণের সময় মোঃ আঃ মজিদ বাধা দিতে গেলে মোঃ সাবান আলী তার পুত্রবধুকে দিয়ে আঃ মজিদের ছেলে সাগর হোসেন(২৪),মৃতঃ আজাহার আলীর ছেলে আব্দুল(৩৫) ও মজিদ (৫৫)এর বিরুদ্ধে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের( সংশোধনী ২০০৩) এর ১০/৩০ ধারায় জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন।বাদিনীর প্রকৃত বাড়ি ফরিদপুর থানায় হলেও মামলার তথ্যে তা গোপন করে( মিথ্যাতথ্য দিয়ে) ভাঙ্গুড়ায় থানার ঠিকানা ব্যবহার করে মামলা দাযের করা হয়।তদন্ত কালে তথ্যে গোপন বা ভূয়া হওয়ায় পরবর্তিতে ফরিদপুর থানায় স্থানান্তর করা হয়।প্রতিবেদনের সময় মোঃ সাবান আলীর স্ত্রী ও মেয়ে কখনে বলেনি সাগর, আব্দুল ও মজিদের সাথে বিরোধ আছে।শুধু আঃ মজিদকে ভূমি জরিপের বাধাদান করি হিসাবে দোষারোপ করে আসছিলেন। অথচ দায়েরকৃত মামলার তারিখ অনুযায়ী ঘটনাটি ঘটেছে প্রতিবেদন তৈরির ৭ দিন পুর্বে।উল্লেখ মামলার বিষয়ে তানিয়া খাতুনের কাছে জানতে চাইলে সে বলে, আপনার সাথে যা ঘটেছে সে বিষয়ে আপনি কি প্রশাসনকে অবগত করেছিলেন? তিনি প্রথমে বলেন পুলিশ সব জানে সাংবাদিক এই প্রশ্নের জবাবে বলেন তখন পুলিশ কিছুই জানেনা এধরণের ঘটনা পুলিশ জানলে পুলিশ নিজেই তো ব্যবস্থা গ্রহণ করতো আপনাকে কোর্টে যেতে হতো না তখন তানিয়া খাতুন বলেন আমারা আদালতের শরণাপন্ন হয়েছি থানাতে যায়নি সুতরাং এখন সেটা আদালত দেখবে এবং আদালত যা করার করবে। এ বিষয়ে মোঃ সাবান আলী বলেন অনেক বার মাপার কথা থাকলেও আঃ মজিদ মাপতে চাননি। মাপার কথা বললে মোঃ মজিদ বলেছেন আমি যে যায়গা কিনেছি সেই যায়গাতেই ঘর তুলবো।
এ বিষয়ে ফরিদপুর থানার (ওসি) মোঃ হাসনাত জামান বলেন,এটা কোর্টের বিষয়,কোর্ট দেখবে। কিন্তু সাবান আলী যে ১৪৪ ধারা আইন অমান্য করে ঘর নির্মাণ করেছেন এ বিষয়ে আমরা কোটে প্রতিবেদন পাঠাবো।