জাকীরুল ইসলাম সবুজ, ষ্টাফ রিপোর্টার পঞ্চগড়
তামাক নিয়ন্ত্রণে এবছর জাতীয় সম্মাননা পেলেন পঞ্চগড় জেলা প্রশাসনে কর্মরত সহকারি কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আমিনুল ইসলাম তারেক।
তাঁকে শ্রেষ্ঠ মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকারী কর্মকর্তা ক্যাটাগরিতে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়।
বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবস উপলক্ষ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য বিভাগ প্রতিবছর বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে এই সম্মাননা প্রদান করে থাকেন।
শনিবার দুপুরে ঢাকার উসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে তার হাতে এই সম্মাননা তুলে দেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম।
এসময় মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব সাইদুর রহমান, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ফাহিমুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহা পরিচালক ডা. মো: আবু জাফর সহ বিভন্ন মন্ত্রণালয় এবং দপ্তরের উদ্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন ।
আমিনুল ইসরাম তারেক গত তিন মাসে তামাক নিয়ন্ত্রণে ২২ টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। তামাক নিয়ন্ত্রণ কাজে প্রশংসনীয় অবদান রাখার জেলা টাস্ক ফোর্স ক্যাটাগরিতে তাঁকে এই সম্মাননা প্রদান করা হয়।
তিনি গত আট মাস ধরে নেজারত ডেপুটি কালেক্টর হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজের এই প্রাক্তন ছাত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ম্যাথমেটিক্স বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন। তারপর ৪০ তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তির্ণ হয়ে তিনি ২০২২ সালে সহকারি কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট পদে চাকুরিতে যোগদান করেন।
সম্মাননা প্রাপ্তিতে অভিভূত এই কর্মকর্তা। মুঠোফোনে অনুভূতি জানিয়ে তিনি বলেন আমি কল্পনাও করিনি এই সম্মাননা আমি পাবো।
জেলা প্রশাসক মো: সাবেত আলী এই জেলায় যোগদান করার পর কাজের গতি বেড়ে যায়। প্রতিদিন যা করি তার রিপোর্ট পাঠানোর জন্য তিনি সবসময় আমাদের উৎসাহিত করেন। এই সম্মাননা পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক এবং জেলাবাসীরও।
জেলা প্রশাসক মো: সাবেত আলী জানান, আমাদের কর্মকর্তারা সবাই অত্যন্ত এ্যাকটিভ। আমিনুল ইসলাম তারেকের সম্মাননা প্রাপ্তিতে আমরা গর্বিত। এই সম্মাননা আমাদের গর্বিত ও প্রেরনা জাগিয়েছে।