মোয়াজ্জেম সরকার রুবেল,দিনাজপুর প্রতিনিধি:
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে দিনাজপুরের বীরগঞ্জে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হয়েছে। গতকাল শনিবার (১০ মে) সকাল সাড়ে ১১ টায় সর্বস্তরের ছাত্র-জনতার ব্যানারে বীরগঞ্জের বিজয় চতুর থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের
হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি বীরগঞ্জ পৌর শহরের বিভিন্ন সড়ক (ঢাকা-পঞ্চগড়) মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে বিজয় চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। পরে শহরের বিজয় চতুরে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বীরগঞ্জের ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি ও প্রচেষ্ঠা ব্লাড
ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আবু বক্কর সুমনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক আল আমিন ও জেলা কমিটির সদস্য মিম আক্তার হিমু, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা (শেষের পাতায় দেখুন)
সাভার থানা আমির আব্দুল কাদের, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির দিনাজপুর জেলা উত্তর শাখার অর্থ সম্পাদক মনিরুজ্জামান, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের দিনাজপুর জেলা সাবেক দপ্তর সম্পাদক আব্দুর রহমান রাশেদ, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের বীরগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি সাকিব আহমেদ ও কাহারোল উপজেলা শাখার সভাপতি জুয়েল বিশ্বাস। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দিনাজপুর জেলা অফিস সেক্রেটারি মাওলানা সহিদুল ইসলাম খোকন ও বীরগঞ্জ পৌর শাখার আমীর মুসাদ্দেক হোসাইন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির বীরগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি আনোয়ার হোসেন, বীরগঞ্জের ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি ইয়াসিন আলী, ফাহমিদ হোসাইন ফাহমিদ, সাকিব আহমেদ, নুরুলসহ তরুণ সমাজ কর্মী মাহমুদুল ইসলাম, কেএম সালাউদ্দিন, মাজহারুল, তানভীর হোসেন শাকিল, সাইফুল্লাহ সাইফ, প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী। সমাবেশে নো মোর আওয়ামী লীগ, নো মোর হাসিনা’ ইত্যাদি বলে প্রতিবাদ জানানো হয়। বক্তারা বলেন, ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ সব অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনকে নিষিদ্ধ না করা পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। এই আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠন রাজনীতি করার অধিকার রাখে না। তাদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগকে আমরা আর রাজনীতিতে দেখতে চাই না। আমাদের আদায় না হওয়া পর্যন্ত দূর্বার আন্দোলন করেই যাবো। বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের বীরগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি সাকিব আহমেদ বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করতে হবে। আন্তর্জাতিক আদালত ট্রাইব্যুনাল আইন করে আওয়ামী লীগকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। ২৪ ঘন্টার মধ্যে আমাদের এ সকল দাবী যদি না মানা হয়, জুলাই অভ্যুত্থানের মত আবারো একটার পর একটা কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। বীরগঞ্জ থানা প্রশাসনের সামনে দিয়ে নিষিদ্ধ সংগঠনের নেতা কর্মীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং ফেসবুকে নিয়মিত হুমকি ধামকি দিচ্ছে। দ্রুত তাদের গ্রেপ্তার করে শাস্তির আওতায় আনা হোক অন্যথায় আপনাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশনে যাব। বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির দিনাজপুর জেলা উত্তর শাখার অর্থ সম্পাদক মনিরুজ্জামান বলেন, আমরা দেখেছি জামায়াত ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের বিনা অপরাধে বিভিন্ন ট্যাগ দিয়ে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের শাসনামল সাবলীল ছিল না এবং জুলাই আন্দোলনে দুই হাজারেরও অধিক জীবন দিতে হয়েছে। এ কারণে অবিলম্বে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। বীরগঞ্জে আওয়ামী লীগের দোসরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে বীরগঞ্জ থানা পুলিশ কেন গ্রেফতার করছে না। সাভার থানা আমির আব্দুল কাদের বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ মানুষের ভোটাধিকার হরণ করেছে এবং নির্বিচারে মানুষকে গুলি চালিয়ে হত্যা করেছে। তাদের রাজনীতি করার অধিকার নাই, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের জন্য আমরা আপসহীন। জেলা কমিটির সদস্য মিম আক্তার হিমু বলেন, আমরা চাই অচিরেই আঃ লীগ নিষিদ্ধ হয়ে যাক। পুলিশ প্রশাসন আপনারা ভুলে গেছেন, ৫ আগষ্টের পর বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ছাড়া কোথাও বের হতে পারেননি আপনাদের কর্মকান্ডের কারণে। আমরা চাই ছাত্র জনতার সাথে এক হয়ে আঃ লীগ নিষিদ্ধ করতে কাজ করেন। তা নাহলে অচিরেই আপনাদের একই ভাবে সম্মুখীন হতে হবে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক আল আমিন বলেন, দীর্ঘ ৯ মাস পরে এসেও আমাদের আজকে রাজপথে দাঁড়াতে হয়েছে। আমরা দেখছি আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সদস্যরা প্রকাশ্যে বীরগঞ্জ শহরে ঘুরে বেড়াচ্ছে, তার কোনো তৎপরতা দেখতে পাচ্ছি না। ২ হাজার শহীদের রক্তের বিনিময়ে যে সব উপদেষ্টারা আজকে দেশ চালাচ্ছেন তাদের উদ্দেশ্য করে বলতে চাই, আপনারা থাকার পরেও কেন নিষিদ্ধ সংগঠনের নেতা কর্মী দেশ থেকে পালিয়ে যাচ্ছে। আমরা ৩টি কর্মসূচি নিয়ে একত্রিত হয়েছি- ১। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করতে হবে, ২। আন্তর্জাতিক আদালত ট্রাইবুনালের আঃ লীগের বিরুদ্ধে দাবি
জানিয়ে বিচারের আওতায় আনতে হবে ও ৩। জুলাই ঘোষণা পত্র।