নবীনগর(ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধিঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগর উপজেলায় পার্টনার প্রকল্পের আওতায় দিনব্যাপী উত্তম কৃষি চর্চা (Good Agricultural Practices) এর আওতায় কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। প্রশিক্ষক হিসেব উপস্থিত ছিলেন উপপরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ডঃ মোস্তাফা এমরান হোসেন এবং অতিরিক্ত উপপরিচালক (উদ্ভিদ সংরক্ষণ) কৃষিবিদ সারমিন জুঁই। নবীনগর উপজেলা কৃষি অফিস হল রুমে প্রতি ব্যাচে ২৫ জন করে তরুণ কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। আগামীর বাণিজ্যিক কৃষি সম্প্রসারণে উত্তম কৃষি ভালো ভূমিকা রাখবে।
উত্তম কৃষি চর্চার মূল উপাদানগুলো সুষম সার প্রয়োগ, জৈব সার ব্যবহার এবং ফসল আবর্তনের মাধ্যমে মাটির উর্বরতা বজায় রাখা। রোগমুক্ত, উচ্চফলনশীল জাতের বীজ বা চারা ব্যবহার করা। পানি সাশ্রয়ী প্রযুক্তি যেমন ড্রিপ বা স্প্রিঙ্কলার ব্যবহার। সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি অনুসরণ করে কম রাসায়নিক ব্যবহার। কীটনাশক ও অন্যান্য রাসায়নিক কম ব্যবহার করে পরিবেশবান্ধব কৃষি। কৃষিকাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করা। ফসল তোলার পর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নভাবে সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম লিটন জানান, সারবিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে বাংলাদেশ GAP পরিচালনা হচ্ছে। আমরা কৃষকদের পাঁচটি মডিউল এবং ২৪৬ প্রকারের অনুশীলনে খাতে কলমে দক্ষ করে গড়ে তুলতে ইতিমধ্যে আমরা নবীনগর উপজেলায় ৪৫০ জনকে প্রশিক্ষিত করেছি। ছয়টি কৃষক মাঠ স্কুলের মাধ্যমে ১৫০ জন কৃষকে মৌসুমব্যাপী প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। প্রথমবারের মতো মাঠে লাউ এবং বেগুন আবাদের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা শুরু হয়েছে। উত্তম কৃষি চর্চার আওতায় উৎপাদিত সবজি শতভাগ নিরাপদ যা রপ্তানিযোগ্য হিসেবে আবাদ হচ্ছে। আগামীতে এই পদ্ধতিতে আবাদ দ্রুত সম্প্রসারিত হবে। GAP ভবিষ্যতে টেকসই কৃষি, নিরাপদ খাদ্য, রপ্তানি সম্ভাবনা ও কৃষকের উন্নয়নের কেন্দ্রে পরিণত হবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ডঃ মোস্তফা এমরান হোসেন জানান, উত্তম কৃষি চর্চার আওতায় উৎপাদিত সবজি শতভাগ নিরাপদ যা রপ্তানিযোগ্য হিসেবে আবাদ হচ্ছে। আগামীতে এই পদ্ধতিতে আবাদ দ্রুত সম্প্রসারিত হবে। GAP ভবিষ্যতে টেকসই কৃষি, নিরাপদ খাদ্য, রপ্তানি সম্ভাবনা ও কৃষকের উন্নয়নের কেন্দ্রে পরিণত হবে।