আব্দুল হালিম,বিশেষ প্রতিবেদকঃ
রংপুরের মিঠাপুকুরে বহুল আলোচিত জামাই-শ্বশুরের বিবাদ থামাতে গিয়ে সোহান হত্যাকান্ডের ঘটনায় আসামীরা এখনও গ্রেফতার হয়নি। প্রকাশ্য এলাকায় ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছেনা বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, মিঠাপুকুর উপজেলার লতিবপুর ইউনিয়নের পাইকান গ্রামের মৃত্য শাহজাহান মিয়ার পুত্র মাহমুদুল হাসান সোহান (৩১)। ২০২৪ সালের ১৫ নভেম্বর নিহত হন। সোহানের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকার উত্তেজিত লোকজন হামলাকারী ব্যক্তিকে একটি বাড়িতে আটকে রাখে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে জনতাকে শান্ত করার চেষ্টা করে। এ ঘটনায় নিহতের মা মর্জিনা বেগম মিঠাপুকুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। তাতে আসামি করা হয়েছে হাবিব মিয়া, তৌহিদুল ইসলাম, আব্দুস সালাম,ওয়ারেছা খাতুন,সাদিয়া বেগমকে। এর মধ্যে সালাম, ওয়ারেছা ও সাদিয়াকে ঘটনার স্থান থেকে জনতা আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। মামলার এক নম্বর আসামি হাবিব ও দুই নম্বর আসামি তৌহিদুল ইসলামকে পুলিশ এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অজ্ঞাত করনে গ্রেফতার করেনি। তারা এলাকায় বুক ফুলে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাই এলাকাবাসীর দাবি আসামিদের গ্রেফতার করে সঠিক বিচার করা হউক।
১নং আসামী হাবিব ২নং আসামী তৌহিদুল ইসলাম।
এলাকাবাসী জানায়,উপজেলার পাইকান গ্রামে আকমল আলী ও তাঁর স্ত্রী সাদিয়ার মধ্যে মনোমালিন্য চলছিল। গত ১৫ই নভেম্বর সাদিয়া বেগমের বাবাসহ কয়েকজন আকমল আলীর বাড়িতে আসেন। বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে জামাই-শ্বশুরের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হলে প্রতিবেশী সোহান আহমেদ বিবাদ থামানোর চেষ্টা করেন। এ সময় তাঁর অণ্ডকোষে লাথি মারলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। নিহতের মা মর্জিনা বেগম বলেন,আমার ছেলের হত্যাকারী এক এবং দুই নস্বর আসামী ঘুরে বেড়াচ্ছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফোন দিয়ে আসতে চেয়ে, আজ পর্যন্ত বাদী কিংবা আসামীর বাড়ীতে আসে নাই। তাই আমি আমার ছেলে হত্যার সঠিক বিচার চাই। মিঠাপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ আবু বক্কর ছিদ্দিক বলেন,আসামি গ্রেফতারের প্রক্রিয়া চলমান আছে।