ভোলায় দুই সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হলেও গত ৩ দিনেও মামলার আসামিদের আটক করতে পারেনি পুলিশ। এ ঘটনার প্রতিবাদে এবং অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তারপূর্বক শাস্তির দাবিতে বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) সকাল ১১ টায় জেলা প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন ভোলা প্রেস ক্লাব,ভোলা জেলা রির্পোটার ইউনিটি, দৈনিক ভোলা টাইমস্ পরিবার ও ভোলা জেলা সংবাদপত্র হর্কাস ইউনিয়নের ব্যানারে প্রায় ঘন্টাব্যাপী এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
এই সময় বক্তারা বলেন, অভিযুক্ত কালিমুল্লাহ বোরহানউদ্দিন উপজেলার একটি ইউনিয়নের সচিব হওয়ার সুবাদে দীর্ঘদিন যাবত ভোলার বিভিন্ন খাদ্য গুদামের অসাধু কর্তাদের ও ইউপি চেয়ারম্যানদের যোগসাজশে সরকারী চাল কম দামে ক্রয় করে বস্তা পাল্টিয়ে বেশি দামে তার খালপারের দোকানে বিক্রি করে,এসময় বক্তারা প্রশাসনের দৃস্টি আকর্ষণ করে বলেন, আগামী ১২ঘন্টার মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় না আনলে সাংবাদিকরা প্রশাসনের সকল পজিটিভ নিউজ বর্জন করে অনিয়মের নিউজ প্রচার করবে।
মানববন্ধনে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) ভোলা জেলা প্রতিনিধি আল-আমিন শাহরিয়ারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় সিনিয়র সাংবাদিক মোকাম্মেল হক মিলন, দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি ইউনুস শরীফ, দৈনিক রূপালী বাংলাদেশের জেলা প্রতিনিধি ও ভোলা মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি শিমুল চৌধুরী, গাজী টিভির জেলা প্রতিনিধি হেলাল উদ্দিন গোলদার, ভোলা অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি তুহিন খন্দকার, অ্যাড. রিয়াজ হোসেন সহ সাংবাদিকরা। এই ঘটনা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে হামলাকারী দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন বক্তারা।
উলেখ্য, ভোলার আগারপোল এলাকার বাসিন্দা এবং খাল পাড়ের ব্যবসায়ী মোঃ কালীমুল্লাহ, মোঃ হাবিবুল্লাহ খোকনের সাথে তাদের আরেক ভাই অলিউল্লাহর পৈত্রিক টাকা-পয়সা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অলিউল্লাহ নিরুপায় হয়ে খাল পাড়ারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তালা ঝুলিয়ে দেন। পরে মঙ্গলবার সকালের দিকে কালীমুল্লাহ ও মোঃ হাবিবুল্লাহ খোকন সন্ত্রাসী দলবল নিয়ে তালা ভেঙে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল ও মালামাল নেওয়া চেষ্টার করার সময় সাংবাদিকরা ছবি ও ভিডিও করতে গেলে কালিমুল্লাহ, হাবিবুল্লাহ খোকন ও কামাল হোসেনসহ তাদের দলবল দৈনিক ভোলা টাইমস্ এর প্রধান সম্পাদক মো: আলী জিন্নাহ রাজীব ও একটি অনলাইন পত্রিকার সাংবাদিক বিজয় বাইনের উপর চড়াও হয়ে হামলা চালিয়ে আহত করেন।