
নাছিমা খাতুন সুলতানা,ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলার ৪ নং চন্ডী পাশা ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড মধ্য বাশাটি গ্রামের মৃত আব্দুল কুদ্দুছ এর ছেলে মোঃ আমিনুল ইসলাম ভূমিদস্যু, সন্ত্রাস চাঁদাবাজ ও নারী লোভী, পরধন লোভী কান্ড। সূত্রে জানা যায় গত ২৬/১২/২৫ ইং তারিখ সকালে প্রায় ৮ টার দিকে পূর্বের আদালত মামলার জের ধরে পরিকল্পিত ভাবে জমি দখল, ধান কাটা, ভাঙচুর, লুটপাট চালিয়ে যাচ্ছে। পরে একই গ্রামের মৃত মামুদ হোসেন এর ছেলে মোঃ আব্দুল জলিল বাধা দিলে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। মহিলা সহ বেশ কয়েকজন গুরুত আহত হয়। আহত আব্দুল জলিল ও লোকজনের চিৎকারে আশে পাশের লোকজন দ্রুত এগিয়ে এসে হামলা কারিদের কবল হইতে উদ্ধার করে। নান্দাইল উপজেলা হাসপাতালে দ্রুত নিয়ে যায় সেখানকার কর্মরত ডাঃ রোগীর অবস্থা শোচনীয় দেখে দ্রুত ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আহত আব্দুল জলিল এর শালা মোঃ রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে নান্দাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন, প্রতিপক্ষ মোঃ আমিনুল ইসলাম সহ ১২ জন ও অজ্ঞাত ৭/৮ জন কে আসামি করে। নান্দাইল থানার মামলা নং ২২ উল্লেখিত মামলাটি তুলে নেওয়ার জন্য মামলার বাদী ও তার পরিবারবর্গ লোকজনকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। এই ঘটনায় পুরো এলাকায় আলোচনা, সমালোচনা ঝড় উঠে। পরে ঢাকা থেকে প্রকাশিত জাতীয় দৈনিক পত্রিকার গণমাধ্যম কর্মীগণ ও মানবাধিকার কর্মীগণ তথ্য সংগ্রহ করতে সরজমিনে গেলে গ্রাম ও এলাকাবাসী কাছে জানতে চাইলে তারা সত্যতা স্বীকার করে বলেন আব্দুল জলিল এর সাথে পূর্বের থেকেই জমির মামলা রয়েছে এর জের ধরে জলিল এর সাফ কাওলা জমির ধান কেটে নেবার চেষ্টা করে,প্রতিপক্ষ মোঃ আমিনুল গংরা এবং জমির মালিক জলিল বাধা দিলে সংঘর্ষ বেঁধে পরে এসময় মহিলা সহ বেশ কয়েক জন আহত হয়। তারা আরও বলেন উল্লেখিত বিষয়গুলো নিয়ে কয়েকবার গ্রাম্য শালিস/বৈঠক বসে বিষয়টি এক পর্যায়ে মীমাংসা করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমিনুল ইসলাম সহ তার লোকজন এড়িয়ে যান। এ ব্যাপারে জেলার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও জেলা পুলিশ সুপার সহ স্থানীয় প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপ কামনা করছে ভুক্তভোগী পরিবারবর্গ। গ্রাম ও এলাকাবাসী যারা তারা হলেনঃ মোঃ শাকিল মিয়া, মোঃ জাহাঙ্গীর মিয়া, মোঃ আলম মিয়া, মোঃ বিল্লাল মিয়া, মোঃ রিপন মিয়া, মোঃ খাইরুল মিয়া, মোঃ মিলন মিয়া, মোঃ জসিম মিয়া, মোঃ আবুল বাশার ভূইয়া, মোঃ মনজুরুল হক ভূঁইয়া, মোঃ আবু বক্কর, আব্দুল সাত্তার, মোঃ গোলাপ মিয়া, মোঃ সুজন মিয়া, মোঃ হাফিজ উদ্দিন, মোঃ রশিদ মিয়া, মোঃ নুরুল ইসলাম, মোছাঃ রেজিয়া খাতুন, মোছাঃ হাসনাহেনা, মোছাঃ নুরুন্নাহার, মোছাঃ শোখন তারা, রহিমা আক্তার, মোছাঃ কুলছুম আক্তার, মোছাঃ মাজেদা আক্তার, মোছাঃ তনুর আক্তার সহ আরও অনেকেই প্রমুখ।