
সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধিঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলের একটি মাত্র সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরাইল অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকগন অবস্থান কর্মসূচীর পর গতকাল সোমবার থেকে লাগাতার কর্মবিরতিতে থাকায় অভিভাবকরা উদ্ভিগ্ন ও দুশ্চিন্তায় এবং শিক্ষার্থীরা হতাশায় ভোগছে। সারা বছর পড়াশোনা করিয়ে যথাসময়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত না হওয়ায় অভিভাবক এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে দেখা দিয়েছে বিরুপ প্রতিক্রিয়া। অনেকেই বলছেন এইসময়ে শিক্ষকদের আন্দোলনে যাওয়া ঠিক হয় নাই।
এবিষয়ে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কুমিল্লা অঞ্চলের সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আব্দুস সাকিব জানান, শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের সমস্যা ও বৈষম্য দূরীকরণে আমাদের ন্যায্য ও প্রাপ্য অধিকার আদায়ের লক্ষে আন্দোলনে আছি। আমরা কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশনা অনুযায়ী কর্মবিরতিতে আছি এবং তাদের নির্দেশনায় প্রত্যাহার করবো । যতদিন পর্যন্ত অধিদপ্তর আলাদা করাসহ , এন্ট্রিপদ ৯ম গ্রেড ধরে চার স্তরীয় একাডেমিক সোপান তৈরি, টাইমস্কেল,সিলেকশন গ্রেড, প্রমোশন অতিরিক্ত যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষকদের এডভান্স ইনক্রিমেন্ট প্রদান ইত্যাদি দাবী দাওয়া না মানা পর্যন্ত আন্দোলনে থাকবেন বলে জানান।
আন্দোলনের কারণে আমাদের সন্তানতুল্য পরীক্ষার্থীদের যেকোন সমস্যা উত্তোরনের ব্যবস্থা নেবেন প্রয়োজনে শুক্র ও শনিবার পরীক্ষা নেবেন বলেও দৈনিক আলোকিত নিউজকে অবহিত করেন । তিনি আশা করছেন সরকার স্বল্প সময়ের মধ্যে তাদের দাবি দাওয়া মেনে নেবেন।
এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক শারমিন আক্তার জাহান সরকারি বিদ্যালয়সমুহের প্রধান শিক্ষকদের ডেকে নিয়ে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে পরীক্ষা নেওয়ার আহবান জানালে কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশ না পেলে পরীক্ষা গ্রহণ না করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন তাঁরা।
এবিষয়ে ষষ্ঠ শ্রেণির এক অভিভাবক হাসান জানান, খুব শখ করে ছেলেকে সরকারি বিদ্যালয়ে পড়াচ্ছিলাম, যথাসময়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত না হওয়ায় ছেলের আর পড়াশোনা করেনা ,ফলাফল ভাল হবেনা। অষ্টম শ্রেণির এক অভিভাবক মনসুর বলেন, ঠিক সময়ে পরীক্ষা না হওয়ায় আমার ছেলে আর পড়ার টেবিলে বসে না,বড়ই দুশ্চিন্তায় আছি।
স্যারদের আন্দোলন করা ঠিক হয় নাই।সপ্তম শ্রেণির ছাত্র হাছিব জানায় অন্যান্য স্কুলের পরীক্ষা শেষ হয়ে যাচ্ছে,আমাদের পরীক্ষা পরে হলে আমরা শীতকালীন ছুটি পাইব না এবং বেড়াতে যেতে পারবো না। সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আন্দোলনের কারণে জেলার ৭ টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ৭ হাজারের অধিক শিক্ষার্থী সময়মত পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করতে পারছে না।