
বান্দরবান সদর প্রতিনিধিঃ
বান্দরবান সদর উপজেলার সুয়ালক ইউনিয়নের কাইচতলী সড়ক হয়ে সাতকানিয়া পর্যন্ত প্রতিদিন দিনদুপুরে পারমিটবিহীন প্রাকৃতিক বনের মূল্যবান গাছ পাচার করছে একটি প্রভাবশালী চক্র। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সুয়ালকের কাইচতলী,কদুখোলা,ভাগ্যকুল ও টঙ্গাবতী এলাকা থেকে প্রতিদিন অন্তত ৩০ থেকে ৪০টি ট্রাক ও মিনি ট্রাকে করে এসব কাঠ পাচার করা হচ্ছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বান্দরবান বন বিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া ও বান্দরবান সদরের সুয়ালকের ভাগ্যকুল, কদুখোলা কাইচতলী ও টঙ্গাবতী এলাকার একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে জোত পারমিট ছাড়াই বনাঞ্চল ধ্বংস করছে। তারা বিভিন্ন প্রজাতির মূল্যবান গাছ কেটে পাচার করছে চট্টগ্রাম ও অন্যান্য অঞ্চলে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, কদুখোলা, ভাগ্যকুল,টঙ্গাবতি ও কাইচতলী এলাকায় নির্বিচারে বন কাটা ও কাঠ বোঝাই গাড়ি চলাচল করছে। এলাকাবাসী জানায়, চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার কাট ব্যবসায়ী মো. মিজান,মো. রফিক, মো. জাহেদ, কাইচতলীর বাসিন্দা মো. হোসেন ওরফে জাহেদ, ভাগ্যকুল এলাকার নুরুল ইসলাম এবং জয়নালসহ একটি শক্তিশালী চক্র দীর্ঘদিন ধরে এ চোরাকারবার চালিয়ে আসছে।
কদুখোলা বনের ভেতরে কাজ করা শ্রমিক মো. শফি বলেন, আমি দিনমজুর। প্রতিদিন ৬০০ টাকা মজুরিতে মিজানের বাগানে কাজ করি।তবে ওই বাগানটি মিজান স্থানীয় মির্জারখীলের নাসিরের কাছ থেকে কিনেছেন বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মিজানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে ফোন কেটে দেন।
অন্যদিকে, উত্তর কাইচতলী জামে মসজিদের কবরস্থানের পাশে ২০–২৫ জন শ্রমিককে গাছ কাটতে দেখা যায়। সেখানে স্থানীয় বাসিন্দা মো. হাসেম বলেন, এই বাগানটা মোহাম্মদ হোসেন ওরফে জাহেদের। তবে তাঁর কাছে বৈধ পারমিট আছে কিনা, তা আমি জানি না।”
কদুখোলা-হলুদিয়া সড়কে কাঠ বোঝাই ট্রাকের চালক শাহাবুদ্দিন বলেন, গাছগুলো কদুখোলা থেকে জাহেদ কোম্পানির বাগান থেকে আনা হয়। আমরা প্রতিদিন প্রায় ৩০-৪০ গাড়ি কাঠ পরিবহন করি। আমি শুধু ভাড়ায় গাড়ি চালাই।
বান্দরবানের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মোহাম্মদ আবদুর রহমান বলেন, সুয়ালকে কাঠ পাচারের বিষয়টি আগে জানতাম না। এখন রেঞ্জ অফিসারদের নির্দেশ দিয়েছি। অবৈধ কাঠ পাচারকারীদের কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না।