আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
২০৩০ সালের মধ্যে সেনাবাহিনীকে আধুনিক ও শক্তিশালী বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে চীন থেকে ভয়ঙ্কর এসওয়াই-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
ডিফেন্স সিকিউরিটি এশিয়ার বরাতে রোববার (২ নভেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য উইকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমনই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশ তার প্রতিরক্ষা খাতের জন্য যত আমদানি করেছে, তার ৭০ শতাংশেরও বেশি এসেছে বেইজিং থেকে। চীনের কাছ থেকে জে-১০সি যুদ্ধবিমান কেনার চুক্তির খবরটি বেরোনোর কিছুদিন পরই এসওয়াই-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা গ্রহণের খবরটি সামনে এসেছে।
চীনে স্থানীয়ভাবে ডিএফ-১২এ নামে পরিচিত এসওয়াই-৪০০ সর্বপ্রথম প্রকাশ্যে এসেছিল ২০০৮ সালে; ঝুহাই এয়ারশোতে। চীনা পিএলএ ছাড়াও বর্তমানে কাতার এবং মিয়ানমার এ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ব্যবহার করছে।
এসওয়াই-৪০০ এর আধুনিক ভার্সনগুলোর পাল্লা প্রায় ২৮০ কিলোমিটার। এর স্ট্যান্ডার্ড কনফিগারেশনে কঠিন জ্বালানি ক্ষেপণাস্ত্রসহ আটটি ক্যানিস্টার রয়েছে। কেনার সময় প্রজেক্টাইলগুলি এই পাত্রে কারখানায় লাগানো হয় এবং অতিরিক্ত রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন ছাড়াই বছরের পর বছর ধরে সংরক্ষণ করা যেতে পারে।
ডিফেন্স সিকিউরিটি এশিয়া এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, প্রতিটি ক্ষেপণাস্ত্র প্রায় ছয় মিটার লম্বা এবং ০.৪ মিটার ব্যাস বিশিষ্ট। ওয়ারহেড কনফিগারেশনের উপর নির্ভর করে এগুলো ৯০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ কেজি পর্যন্ত ভারী হতে পারে। ওয়ারহেড বিকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে উচ্চ-বিস্ফোরক ফ্র্যাগমেন্টেশন, সাবমিনিশন ডিসপেন্সার এবং ক্লাস্টার পেলোড।
এসওয়াই-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাগুলোতে সক্রিয় রাডার বা প্যাসিভ রাডার বা আইআইআর সিকার রয়েছে, যার টার্মিনাল পর্যায়ে লক্ষ্য-শনাক্তকরণ ক্ষমতা রয়েছে।
প্রতিটি এসওয়াই-৪০০ মাত্র ১০ মিনিটেরও কম সময়ে লঞ্চের জন্য প্রস্তুত হতে পারে এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বা ছোট রকেট দিয়ে দ্রুত পুনরায় লোড করতে পারে
মোঃ কামরুজ্জামান মিলন
সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক তুহিন প্রিন্টিং প্রেস ফকিরাপুল ঢাকা থেকে মুদ্রিত।
ই-মেইল: 𝐝𝐚𝐢𝐧𝐢𝐤𝐚𝐥𝐨𝐤𝐢𝐭𝐨𝐧𝐞𝐰𝐬@𝐠𝐦𝐚𝐢𝐥.𝐜𝐨𝐦
ই-পেপার: 𝐞𝐩𝐚𝐩𝐞𝐫.𝐝𝐚𝐢𝐧𝐢𝐤𝐚𝐥𝐨𝐤𝐢𝐭𝐨𝐧𝐞𝐰𝐬.𝐜𝐨𝐦
ওয়েবসাইট: 𝐰𝐰𝐰.𝐝𝐚𝐢𝐧𝐢𝐤𝐚𝐥𝐨𝐤𝐢𝐭𝐨𝐧𝐞𝐰𝐬.𝐜𝐨𝐦
মোবাইল: ০১৯২৭-৩০২৮৫২/০১৭৫০-৬৬৭৬৫৪
আলোকিত মাল্টিমিডিয়া লিমিটেড