নাছিমা খাতুন,ক্রাইম রিপোর্টারঃ
নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা উপজেলাধীন সিংধা ইউনিয়নের মৃত ফজর রহমান এর ছেলে মোঃ হাবিবুর রহমান পবিত্র কুরআন শরীফকে অপমান করায় এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ বারহাটা থানায় মামলা । ইতিমধ্যে জানা যায় একই এলাকার জীবনপুর গ্রামের মৃত মকবুল হোসেন এর ছেলে মোঃ তরিকুল ইসলাম (৩৭) বাদী হয়ে বারহাট্টা থানায় মামলাটি করে। মামলা সূত্রে জানা যায় গত ১২/৭/২৫ ইং তারিখ রাত প্রায় ৯.৩০ মিনিটে উপজেলার চন্দ্রপুর বাজার জামে মসজিদ থেকে পবিত্র কুরআন শরীফকে এনে হাবিবুর রহমান সহ তার সহযোগী লোকজন ১ ব্যক্তির কথা মত এবং প্রকাশ্যে ধর্ম প্রাণ মুসলমান ভাইদের সামনে কোরআন শরীফ কে পায়ের স্যান্ডেল দিয়ে বারী দিতে থাকে। এই ঘটনা এলাকাবাসী ও বাজারে লোকজন দেখতে পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে পড়ে এক পর্যায়ে বিক্ষোভ মিছিলে রূপ নেয়। পরে কুরআন অপমানকারী হাবিবুর রহমান সহ তার লোকজন দ্রুত পালিয়ে যায়। বিষয়টি থানা কে অবগত করিলে থানা পুলিশ ঘটনা স্থানে দ্রুত পৌঁছে ধর্ম পান মুসলমান গংদের নিয়ন্ত্রণ করে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তরিকুল বাদী হয়ে বারহাট্টা থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দ্বারেল করেন প্রতিপক্ষ মোঃ হাবিবুর রহমান সহ ৩ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ১ ব্যক্তিকে আসামি করে। অভিযোগ পেয়ে থানার এস আই ঘটনার স্থান থেকে এক জন কে আটক করে। জেল হাজতে প্রেরণ করেন। বারহাট্টা থানা মামলা নং ১০/১১৫ মামলা ধারা ৪৪৮/২৯৫/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০ রুজু করা হইল। মামলার আসামি যারা তারা হলেনঃ মোঃ হাবিবুর রহমান, মোছাঃ বেগম আক্তার, মোছাঃ নাজমা আক্তার, এই মামলায় আসামিগণ জামিনে গিয়ে প্রকাশ্যে বাজারে মামলার বাদী কে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। এই ঘটনায় মামলার বাদী তরিকুল ইসলাম বারহাট্টা থানার সাধারণ ডায়েরি করে। মামলার আসামি বেগম আক্তার সহ ৭ জন কে আসামি করে। বর্তমানে মামলার বাদী তরিকুল ইসলাম ও তার পরিবারবর্গ চরম নিরাপত্তায় ভুগছে। এই নিয়ে পুরো এলাকায় আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠে ঢাকা থেকে প্রকাশিত জাতীয় দৈনিক পত্রিকার সাংবাদিক গন ও মানবাধিকার কর্মীগণ তথ্য সংগ্রহ করতে সরজমিনে গেলে বাজার কমিটি ও এলাকাবাসীর কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তারা সত্যতা স্বীকার করে বলেন ভন্ড ফকির কে আশ্রয় দিয়ে আসামিগণ বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে টাকা আদায় ও বিভিন্ন জিনিসপত্র আদায় করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এরপরেও মামলার আসামি গণ কে কেউ কিছুই বলেনি কিন্তু পবিত্র কোরআনকে অপমান করায় ক্ষিপ্ত হয় এলাকাবাসী। এ ব্যাপারে জেলার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও জেলা পুলিশ সুপার এর পদক্ষেপ কামনা করছে এলাকার সচেতন মহল ও ধর্ম পান মুসলমান ভাইয়েরা। এলাকাবাসী যারা তারা হলেনঃ চন্দ্রপুর বাজারের নুরে মদিনা পরিষদ সভাপতি মোঃ আব্দুল ওহাব, সাবেক মেম্বার ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আজিজ, মোঃ দুলাল মিয়া, মোঃ নুরু মিয়া, পল্লী চিকিৎসক মোঃ কবির খান, মোঃ আবু সাদেক সেলিম, মোঃ মাহাবুব মিয়া, মোঃ শাজাহান মিয়া,মজিবর রহমান, বাজার কমিটির আহবায়ক মোঃ জালাল উদ্দিন খান (ফুল মিয়া) মোঃ আবু তাহের ফকির, মোঃ হাফিজ উদ্দিন, মোঃ জিয়াউর রহমান খান, মোঃ তারা মিয়া সহ এলাকাবাসী। প্রকাশ থাকে যে উল্লেখিত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা আশঙ্কা।