ক্রীড়া ডেস্কঃ
বহু নাটকীয়তার পর অবশেষে আজ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালনা পরিষদের নির্বাচন। সোমবার (৬ অক্টোবর) রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ ভোটগ্রহণ চলবে।
তফসিল অনুসারে, ভোটগ্রহণ শেষ হলে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে পরিচালক পদে বিজয়ী হওয়া প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হবে। এরপর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে সভাপতি ও সহ-সভাপতি নির্বাচন।
১, ২ ও ৩ ক্যাটাগরির একটা বড় অংশ নির্বাচনে নেই। সরে দাঁড়িয়েছেন। এক কথায় হেভিওয়েট প্রার্থীদের অনেকেই নির্বাচন বয়কট করেছেন। সরে দাঁড়িয়ে প্রথমে ক্রীড়া উপদেষ্টার কাছে নির্বাচন বাতিলের আবেদনের পাশাপাশি তিন দফা প্রস্তাবও দিয়েছেন নির্বাচন বয়কটকারীরা। তারপর ২৪ ঘণ্টা আগে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপিও পাঠানো হয়েছে।
আরও আছে। জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারদের কাছে বিসিবি প্রধান আমিনুল ইসলাম বুলবুলের পাঠানো এক চিঠির ওপর কোর্টের রিটের শুনানীর দিন ছিল রোববার (৫ অক্টোবর)। এছাড়া দুদকের পর্যবেক্ষণে থাকা ১৫ ক্লাবের ভাগ্য নির্ধারণের শুনানিও ছিল সেদিন। সব মিলিয়ে অনেক কিছুর সম্ভাবনাই ছিল।
নির্বাচন কি আদৌ হবে? নাকি হঠাৎ স্থগিতের ঘোষণা আসবে? এমন প্রশ্নের উদ্রেকও হয়েছিল। কিন্তু সব জল্পনা-কল্পনা আর গুঞ্জনের অবসান ঘটিয়ে অবশেষে আজ নির্ধারিত সূচিতেই হতে যাচ্ছে বিসিবি নির্বাচন।
নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ১৯১ জন, কিন্তু বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় অনেক পদেই আর ভোট প্রয়োজন হচ্ছে না। ফলে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন মাত্র ১৫৬ জন, যাদের মধ্যে ৫৮ জন ভোট দেবেন ই-ব্যালট ও পোস্টাল ব্যালটে, আর ৯৮ জন সরাসরি উপস্থিত থেকে ভোট দেবেন সশরীরে।
জেলা ও বিভাগভিত্তিক ক্যাটাগরিতে ছয় প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন:
সময়মতো মনোনয়ন প্রত্যাহার করলেও জামালপুরের আবদুল্লাহ আল ফুয়াদ রেদুয়ান ও রাজশাহীর হাসিবুল আলম-এর নাম ব্যালটে থেকে যাচ্ছে, যা বিভ্রান্তির কারণ হতে পারে।
নির্বাচনে অংশ নেওয়া একাধিক প্রার্থী ও সংগঠক ইতোমধ্যেই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বা বয়কটের ঘোষণা দিয়েছেন, বিসিবির নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ‘অনিয়ম’, ‘প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ’ ও ‘নির্বাচনী দুর্নীতি’র অভিযোগ তুলে।