ফায়েজুল কবীর,ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
মাদারীপুর জেলার সদর উপজেলা কমপ্লেক্সের এলজিইডি ও পিআইও অফিসের কাবিখা ও কাবিটা প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ এবং জাজিরা থানার সাবেক পুলিশ কর্মকর্তার একটিমাত্র বাড়িতে যাতায়াতের নিমিত্তে খালের উপর এডিপি প্রকল্পের অর্থায়নে কালভার্ট সেতু নির্মাণ করার অভিযোগের ভিত্তিতে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। উক্ত অভিযানে অন্যান্য সঙ্গীয় কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে অভিযানে নেতৃত্ব দেন মাদারীপুর জেলা দুদকের উপ-পরিচালক (এডি) মোঃ আখতারুজ্জামান। মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পায় টিম। অভিযানকালে মাদারীপুর সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার বক্তব্য গ্রহণ করা হয় এবং অভিযোগ সংশ্লিষ্ট মাদারীপুর সদর উপজেলার সকল ইউনিয়নে কাবিখা, কাবিটার ২০২৩-২৪ ও ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের বরাদ্ধ সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়। অভিযান পরিচালনাকালে এনফোর্সমেন্ট টিম মাদারীপুর সদর উপজেলার ঘটমাঝি ইউনিয়নের ছয়না গ্রামে ইটেরপোল- পাথড়িয়াপাড় পাকা সড়ক সংলগ্ন ৯ মিটার দৈর্ঘ্য কালভার্ট সরেজমিন পরিদর্শন এবং সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়। সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, কেবল ১ টি বাড়ির জন্য এডিপি এর অর্থায়নে ৩২ লক্ষ টাকা সরকারি বরাদ্ধ দিয়ে কালভার্ট নির্মাণ করা হয়। অভিযানকালে এনফোর্সমেন্ট টিমের নিকট উক্ত কালভার্ট কোন প্রকার জনস্বার্থে নির্মাণ হয়েছে মর্মে প্রতীয়মান হয়নি বলে এক সংবাদ ব্রিফিং-এ জানান এডি আখতারুজ্জামান । তিনি বলেন, কেবল ব্যক্তি স্বার্থে উক্ত কালভার্টটি নির্মাণ আইনের ব্যত্যয় এবং ক্ষমতার অপব্যবহার হয়ে সরকারী অর্থের অপচয় করা হয়েছে বলে তাদের কাছে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়েছে। এছাড়াও পুলিশ কর্মকর্তা জনাব মোস্তাফিজুর রহমান মোল্লা এর বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ বিষয়ে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করেছে এনফোর্সমেন্ট টিম।
অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সংগৃহীত তথ্য ও রেকর্ডপত্র পর্যালোচনাপূর্বক এনফোর্সমেন্ট টিম কমিশন বরাবর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করবে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, ৫ আগষ্ট/'২৪ পরবর্তী সময়ে মাদারীপুর সদর উপজেলার ১৫ টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের মধ্যে কয়েকজন আত্মগোপনে রয়েছেন- এসব ইউনিয়নে বিভিন্ন প্রকল্পে অর্থ বরাদ্ধ করা হলেও তা বাস্তবায়নে অনিয়ম, দূর্ণীতির তথ্য- উপাত্ত তাদের অনুসন্ধানে প্রতীয়মান হয়েছে- যার পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে দুদকের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দিক নির্দেশনা চাওয়া হবে, দিক নির্দেশনা পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। অধিক তদন্ত ও সত্য উদঘাটনের স্বার্থে আপাততঃ এটুকুই আপনাদেরকে আমরা অবহিত করতে পেরেছি। পরিশেষে তিনি আরো বলেন, যেখানেই অন্যায়, অপকর্ম, দূর্ণীতি সেখানেই দুদকের অভিযান পরিচালনার দিক নির্দেশনা রয়েছে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের। দূর্ণীতিগ্রস্থ সবাই আইনের আওতায় আসবে এবং দেশ ও জাতির কাছে অপমানিত হবে।
মোঃ কামরুজ্জামান মিলন
সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক তুহিন প্রিন্টিং প্রেস ফকিরাপুল ঢাকা থেকে মুদ্রিত।
ই-মেইল: 𝐝𝐚𝐢𝐧𝐢𝐤𝐚𝐥𝐨𝐤𝐢𝐭𝐨𝐧𝐞𝐰𝐬@𝐠𝐦𝐚𝐢𝐥.𝐜𝐨𝐦
ই-পেপার: 𝐞𝐩𝐚𝐩𝐞𝐫.𝐝𝐚𝐢𝐧𝐢𝐤𝐚𝐥𝐨𝐤𝐢𝐭𝐨𝐧𝐞𝐰𝐬.𝐜𝐨𝐦
ওয়েবসাইট: 𝐰𝐰𝐰.𝐝𝐚𝐢𝐧𝐢𝐤𝐚𝐥𝐨𝐤𝐢𝐭𝐨𝐧𝐞𝐰𝐬.𝐜𝐨𝐦
মোবাইল: ০১৯২৭-৩০২৮৫২/০১৭৫০-৬৬৭৬৫৪
আলোকিত মাল্টিমিডিয়া লিমিটেড