ড. আব্দুল ওয়াদুদঃ
জরা বা বার্ধক্য জীবনের এক চরম সত্য। শৈশবে সোনালি সকাল শেষ করে তারুণ্য আর যৌবনের রোদেলা দুপুর পাড়ি দিয়ে মাঝ বয়সের ব্যস্ত বিকালটাও যখন চলে যায় তখনই জীবন সায়াহ্নের গোধূলি বেলায় নেমে আসে বার্ধক্য। এ সময়টা আসলে মানব জীবনের শেষ অধ্যায়। নেহায়েত অকাল মৃত্যু না হলে এই স্তরটিতে শেষ পর্যন্ত পদার্পণ করতেই হবে। বার্ধক্য তাই জীবনের চরম সত্য নিয়তি। শৈশব, কৈশর, যৌবন ও বার্ধক্য সাধারণ এই চারটি পর্ব নিয়ে একজন মানুষের জীবন।
শরীরে যতক্ষন শক্তি থাকে মানুষ কখনো মনে করে না সে একদিন প্রবীণ হবে। কিন্তু প্রকৃতির টানে আমরা একদিন প্রবীণ হবই। এটা জীবন পরিক্রমা। এটা সব প্রাণীদের এমনকি বৃক্ষদের মধ্যেও আছে। ভারতের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বিজ্ঞানী এ.পি.জে আবদুল কালাম বলেছেন “আজ হয়তো তুমি শক্তিশালী কিন্তু সময় তোমার চেয়েও বেশি শক্তিশালী কারণ কালস্রোতে তুমি একদিন শক্তি হারা–রোগে কাতর একজন প্রবীণ।” তাই কোন অবস্থাতেই প্রবীণদের অবহেলা করা মোটেই সমীচীন নয়। সুতরাং তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসা উচিত। তাদের মনের বা শারীরিক ভাবে কষ্ট না দেওয়া উচিত। প্রবীণ মানে সেকেলে, অথর্ব, অক্ষম এবং সংসারের বোঝা নয় বরং তারাই আজকের এই সুন্দর সমাজ গড়ার কারিগর। একটা পারিবারের গার্ডিয়ান হিসাবে বটবৃক্ষের মতো। তাদের প্রজ্ঞা, অভিজ্ঞতা সদা প্রাসঙ্গিক অথচ কোন কোন পরিবারের চরম অবহেলার পাত্র। তাদের প্রতি উদাসীনতা তাদের মনকে ভীষণ ভাবে আহত করে। বর্তমান সময়ে প্রবীণদের মধ্যে একাকিত্বের সমস্যা প্রবল ভাবে দেখা দিয়েছে। অনেক পরিবার আছে তাদের ছেলেমেয়েরা কেহই তাদের কাছে নেই। এটা ভাগ্যের নিমর্মম পরিহাস অগত্যা বৃদ্ধাশ্রমে কারো কারো স্থান হয়। এটা বেশি হয় পারিবারিক ও আর্থিক কারনে শ্বশুর শাশুড়ীকে কিছুতেই সহ্য করতে চায়না অনেক পুত্রবধূ। শিল্পী নচিকেতার স্বরে বলতে চাই “ছেলে আমার মস্ত মানুষ–মস্ত অফিসার, মস্ত ফ্ল্যাটে যায় না দেখা এপার ওপার। নানারকম জিনীষ আসবাব–দামী দামী – সব চেয়ে কম দামী একমাত্র আমি। ছেলে আমার প্রতি অগাধ সম্ভ্রম– আমার ঠিকানা তাই বৃদ্ধাশ্রম।” সামাজিক অবক্ষয়ের কারণে প্রবীণরা আজ অরক্ষিত, অসহায়, বিচ্ছিন্ন ও দুর্ব্যবহারের জর্জরিত। মোগল সম্রাট আওরঙ্গজের ১৭০৭ খ্রিষ্ঠাব্দে ৮৯ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। তারপুত্র কামবক্সকে লেখা এক চিঠিতে বলেছিলেন। "আজ আমি বৃদ্ধ, জরাজীর্ন, দুর্বল, বিগত জীবনে, আমার কত লোকবল এশ্বর্য, প্রাচুর্যইনা ছিল। আজ আমার জীবনের উজ্জ্বল দিনগুলো চলেগেছে। আছে শুধু আস্থি চর্ম আর কষ্কাল। আজ আমি একা, অসহায়, বিমূঢ়, উপার্জনে অক্ষম দুর্বল স্বাস্থ্য একজন প্রবীণ ব্যক্তি"
প্রবীণরা কর্মস্থলে, হাসপাতালে, বাজারে, পেনশন তোলার সময় বিনোদনস্থলে সর্বত্রই অনাহুত, উপেক্ষিত। কিন্তু অনেক উন্নত–অনুন্নত দেশে এমনকি পাশের দেশেও সামাজিক ও সরকারীভাবে তারা সিনিয়র সিটিজেন হিসাবে স্বীকৃত। যেটা আমাদের দেশে এখনও প্রতিষ্ঠিত হয় নাই। প্রবীণদের বোঝা না ভেবে পারিবারের সম্পদ ভাবা উচিত। রাষ্ট্র, সমাজ ও পরিবারে রয়েছে তাদের অমূল্য অবদান। তাদের প্রজ্ঞা, অভিজ্ঞতা ও কর্মসহায়তা সব সময়ের জন্য প্রাসঙ্গিক। তার পরেও দেশে দেশে সমাজে প্রবীণদের প্রতি রয়েছে এক ধরনের অবহেলা। আমাদের দেশে আর্থিক ও সামাজিক কারণে বর্তমানে দিন দিন বিভাজন বেড়ে চলেছে। যৌথ পরিবার ভেঙ্গে একক পরিবার তৈরী হয়েছে। এতে আমাদের কাঙ্ক্ষিত সমাজ ব্যবস্থা কিছুটা ভেঙ্গে পড়েছে। এটা গুনগত না সমাজিক পরিবর্তন সেটা ভাববার বিষয়। প্রবীণদের অভিজ্ঞতা লব্ধ জ্ঞান এবং নবীদের সৃষ্টিশীল বিজ্ঞান মনষ্ক দক্ষতা মূলক জ্ঞানের নতুন প্রজন্ম এ বিশ্বকে নবযুগের ধারায় এগিয়ে নিয়ে যাবে। এটাই আমাদের প্রত্যাশা। আমরা একীভূত শিক্ষার কথা বলি। তবে কাউকে পিছনে ফেলে বা বোঝা মনে করে নয়। কাজেই প্রবীণদের বোঝা মনে না করে তাদের অভিজ্ঞতা লব্ধ জ্ঞানকে কাজে লাগানো যায় কিনা ভেবে দেখা উচিত।
আজ পরিবারকাঠামো ভেঙে পড়ছে, প্রবীণরা স্থান পাচ্ছেন বৃদ্ধাশ্রমে। অথচ সমাজবিজ্ঞান প্রমাণ করে-প্রবীণরা শুধু পরিবারের সদস্য নন, তারা সমাজের নৈতিক দিশারি।
নবীনরা যদি প্রবীনদের কাছ থেকে থেকে শিক্ষা নিতে পারে, তবে সমাজের বিভাজন কমবে, সহনশীলতা বাড়বে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রবীণদের ভূমিকা হতে পারে সমঝোতার সেতুবন্ধ। নেলসন ম্যান্ডেলা ২৭ বছরের কারাজীবনের পর প্রতিশোধ নয়, বরং ক্ষমা ও ঐক্যের বার্তা দিয়ে বিশ্বকে পথ দেখিয়েছিলেন। আমাদের প্রবীণ রাজনীতিবিদ, চিন্তাবিদ ও শিক্ষকেরাও নবীনদের শেখাতে পারেন-শর্টকাট পথ নয়, ধৈর্য ও গণতান্ত্রিক চর্চার মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাওয়াই জীবনের লক্ষ্যে ছুটে চলা। প্রবীণরা জানেন কীভাবে সীমিত সম্পদে টিকে থাকতে হয়। নবীন উদ্যোক্তারা যদি প্রবীণের কাছ থেকে শিখতে পারেন, তাহলে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায়ও তারা দৃঢ়ভাবে এগিয়ে যেতে পারবে। চীনের কনফুসীয় দর্শনে প্রবীণদের পরিবার ও সমাজের ভিত্তি বলা হয়েছে। পাশ্চাত্যে প্রবীণরা নীতিনির্ধারণ ও শিক্ষায় বিশেষ অবদান রাখছেন। বাংলাদেশেও সময় এসেছে প্রবীণদেরকে অতীতের বোঝা নয়, বরং ভবিষ্যতের আলোকবর্তিকা হিসেবে দেখা উচিত।
জাপানে প্রবীণদের বলা হয় 'living treasure' তথা জীবন্ত সম্পদ। জাপানে প্রবীণদের স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য বিশেষ খাদ্যাভ্যাস ও উন্নত জীবনশৈলির সঙ্গে অভ্যস্ত করানোর চেষ্টা হচ্ছে । এজন্য প্রবীণদের তৈলাক্ত আমিষ খাদ্যের পরিবর্তে বলা হচ্ছে ফল, সবজি, মাছ, সামুদ্রিক ছত্রাক ও সোয়াবিন খেতে । এর জেরে প্রবীণদের হৃদযন্ত্র সংক্রান্ত সমস্যা প্রায় ৩৬ শতাংশ কমে গেছে । প্রবীণদের চিকিৎসা সংক্রান্ত খরচ বহন করছে সরকার । এছাড়া তাঁদের খাবার পরিবেশনে, পার্কে ও জিমে সাহায্য করার জন্য তৈরি করা হয়েছে বিশেষ রোবট । প্রবীণরাও দেশের অর্থনীতিতে সাহায্য করতে পারে ভ্রমণ, বিনোদন ও খাদ্যপণ্যের জন্য অর্থ খরচ করে । জাপানে তাই প্রবীণদের সমাজের বোঝা মনে না করে সম্পদ হিসেবে গণ্য করা হয় । সে দেশে প্রবীণরা পরিবারে, কর্মস্থলে যথেষ্ট সম্মান ও প্রাধান্য পান । তাঁরা একা একাই বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করেন এবং প্রতি বছর সেপ্টেম্বরের তৃতীয় সোমবারটিকে প্রবীণরা ‘প্রবীণ দিবস’ হিসেবে পালন করেন
১৯৭৪ সালে বুখারেস্টে অনুষ্ঠিত প্রথম বিশ্ব জনসংখ্যা সম্মেলনে স্বীকার করা হয়েছে যে, "বর্তমানে বিশ্ব জনসংখ্যার দুটো বিষয়ই তাৎপর্যপূর্ণ, জনবিস্ফোরণ এবং বার্ধক্য-যা ধীর গতিতে ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বার্ধক্য জনসংখ্যার ভয়াবহতা বিবেচনায় এনে বিশ্বব্যাপী প্রবীণ বিষয়ক নীতি, পরিকল্পনা ও কর্মসূচী প্রণয়নের লক্ষ্যে ১৯৮২ সালে Vienna International Plan of Action on Ageing (VIPAA) গৃহীত হয় যা জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশন কর্তৃক অনুমোদিত হয়। জাতিসংঘ বার্ধক্যকে মানবজীবনের প্রধানতম চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করে এ সমস্যা সম্পর্কে ব্যাপক গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ১৯৯১ সাল থেকে প্রতি বছর ১ অক্টোবর বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস পালন করে আসছে। বিশ্বজুড়ে প্রবীণ জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বেড়ে চলেছে। ২০৫০ সালের মধ্যে বয়স্ক জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বিশ্বে দ্বিগুণ হবে যা প্রায় ২.১ বিলিয়নে পৌঁছাবে বলে অনুমান করা হয়।
বাংলাদেশে প্রবীণ জনগোষ্ঠী বৃদ্ধির একটি উদ্বেগজনক হার হল ৬৫ বছর বা তদূর্ধ্ব জনসংখ্যা ক্রমান্বয়ে বেড়ে চলেছে। ২০২২ সালে আদম শুমারিতে দেখা যায়, ৬৫ বছর বা তদূর্ধ্ব জনসংখ্যা ৯.৭ মিলিয়ন যা মোট জনগোষ্ঠীর ৫.৮৯%। প্রবীণ জনসংখ্যাকে বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য বড় ঝুঁকি হিসেবে বিবেচনা করেছে ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরাম। প্রবীণ জনসংখ্যা ভবিষ্যৎ পৃথিবীর জন্য বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে আসছে। ২০০২ সালে ১৫৯টি দেশের উপস্থিতিতে মাদ্রিদে প্রবীণ জনসংখ্যা বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বিশ্ব অর্থনীতির জন্য ৪৫টি ঝুঁকি চিহ্নিত করা হয়, যার ৫ম টি বয়স্ক জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বৃদ্ধি। সম্প্রতি পরিসংখ্যানে দেখা যায়, বাংলাদেশে বয়স্ক জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার শিশু বৃদ্ধির হারের চেয়ে অনেক বেশী। ফলে, মোট প্রবীণ জনসংখ্যা শিশু জনসংখ্যা ছাড়িয়ে যাবে। সুতরাং, এটিই প্রতীয়মান হয় যে, ভবিষ্যতে বাংলাদেশে প্রবীণরাই জনসংখ্যার একটি বড় অংশ হবে। বিশ্বায়নের এ যুগে যৌথ পরিবার ব্যবস্থা ভেঙে তৈরি হচ্ছে একক পরিবার। এ পরিবর্তনের নীরব শিকার হচ্ছে প্রবীণ জনগোষ্ঠী। এদেশের শতকরা প্রায় ৭৫ ভাগ লোক গ্রামে বসবাস করে। এ হিসেবে মোট প্রবীণের প্রায় ৭৫ শতাংশ গ্রামে বাস করে। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, আর্থ-সামাজিক সমস্যা নিরূপণ করলে দেশের ৫৫ শতাংশের অধিক প্রবীণ দারিদ্র্য সীমার নিচে গ্রামে বাস করে। এই ব্যাপক দারিদ্র্যের মাঝে অধিকাংশ প্রবীণ স্বাস্থ্য সমস্যাসহ বিভিন্ন প্রতিকূল অবস্থার শিকার হচ্ছেন। গ্রামাঞ্চলে অনেক পরিবারেই সন্তানরা পিতামাতাকে বিষয় সম্পত্তির মতো নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে ভরণ পোষণের দায়িত্ব নিয়ে থাকে, ফলে চিকিৎসাসহ মৌলিক সেবা হতে প্রবীণরা বঞ্চিত হয়। প্রবীণরা পারিবারিক ও সামাজিকভাবে উপেক্ষিত ও অবহেলার শিকার হচ্ছে। অনাকাঙ্ক্ষিত অবস্থায় সমাজের বাড়তি বোঝা হিসেবে বিবেচিত প্রবীণ ব্যক্তি চরম হতাশা ও হীনমন্যতায় ভোগে।
অনেকেই পারিবারিক ভাঙ্গন, মানসিক পীড়ন, নিঃসঙ্গতা এবং অবহেলার শিকার। শহুরে বসবাসরত প্রবীণ স্বাস্থ্য সেবার সুবিধা কিছুটা ভোগ করলেও গ্রামে তা একেবারেই অনুপস্থিত। তাদের পেশাগত সেবাদান আমাদের সমাজব্যবস্থায় এখনো গড়ে উঠেনি। প্রবীণদের জন্যে দীর্ঘমেয়াদী ও পেলিয়াটিভ সেবা দরকার। কিন্তু এ ব্যাপারে আমরা তেমন সচেতন নই।
সংবিধানের ১৫ (ক) অনুচ্ছেদে অন্ন, বস্ত্র, আশ্রয়, শিক্ষা ও চিকিৎসাসহ জীবনধারণের মৌলিক উপকরণের নিশ্চিতের ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে ও ১৫ (ঘ) অনুচ্ছেদে সামাজিক নিরাপত্তার অধিকার অর্থাৎ বেকারত্ব, ব্যাধি বা পঙ্গুত্বজনিত কিংবা বৈধব্য, মাতাপিতৃহীনতা বা বার্ধক্যজনিত কিংবা অনুরূপ অন্যান্য পরিস্থিতিজনিত কারণে অভাবগ্রস্ততার ক্ষেত্রে সরকারি সাহায্যলাভের অধিকার নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০ "Left no one behind." এ প্রতিশ্রুতি পূরণ করার জন্য বয়স্ক জনসংখ্যার সাথে সম্পর্কিত অর্থনৈতিক এবং সামাজিক পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া অপরিহার্য।
সরকার বয়স্ক ব্যক্তিদের সামাজিক সুরক্ষা ও নিরাপত্তায় বয়স্ক ভাতা প্রদানসহ জাতীয় প্রবীণ নীতিমালা ২০১৩ এবং পিতামাতা ভরণপোষণ আইন ২০১৩ প্রণয়ন করেছে যা একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
সক্রেটিস বলেছেন-'An unexamined life is not worth living।' প্রবীণদের জীবনই সেই পরীক্ষিত জীবন, যেখানে সঞ্চিত রয়েছে সংগ্রামের শিক্ষা আর ধৈর্যের মহিমা। আফ্রিকান প্রবাদে বলা আছে-When an elder dies, a library burns to the ground।' প্রবীণ হারানো মানে একেকটি গ্রন্থাগারের ভস্মীভূত হয়ে যাওয়া। তাই নবীন প্রজন্ম যদি প্রবীণের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা না নেয়, তাহলে তারা ভবিষ্যতের পথে আলোহারা হয়ে পড়বে। হারাবে পথপ্রদর্শক। আজকের যারা নবীন, তারাই আগামীর প্রবীণ। এ অমোঘ সত্য ও বাস্তবতা মেনে নিয়ে প্রবীণদের যথাযথ মর্যাদা ও সম্মান দেওয়ার দৃপ্ত শপথ নেওয়ার এইতো সময়।
লেখক : ফিকামলি তত্ত্বের জনক, শিক্ষাবিদ, গবেষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক
ওয়াইল্ডলাইফ বিশেষজ্ঞ।
মোঃ কামরুজ্জামান মিলন
সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক তুহিন প্রিন্টিং প্রেস ফকিরাপুল ঢাকা থেকে মুদ্রিত।
ই-মেইল: 𝐝𝐚𝐢𝐧𝐢𝐤𝐚𝐥𝐨𝐤𝐢𝐭𝐨𝐧𝐞𝐰𝐬@𝐠𝐦𝐚𝐢𝐥.𝐜𝐨𝐦
ই-পেপার: 𝐞𝐩𝐚𝐩𝐞𝐫.𝐝𝐚𝐢𝐧𝐢𝐤𝐚𝐥𝐨𝐤𝐢𝐭𝐨𝐧𝐞𝐰𝐬.𝐜𝐨𝐦
ওয়েবসাইট: 𝐰𝐰𝐰.𝐝𝐚𝐢𝐧𝐢𝐤𝐚𝐥𝐨𝐤𝐢𝐭𝐨𝐧𝐞𝐰𝐬.𝐜𝐨𝐦
মোবাইল: ০১৯২৭-৩০২৮৫২/০১৭৫০-৬৬৭৬৫৪
আলোকিত মাল্টিমিডিয়া লিমিটেড