রাজাপুর প্রতিনিধিঃ
ঝালকাঠির রাজাপুরে স্বর্ণা মিস্ত্রী নামের এক সন্তানের জননীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় তার স্বামী ও স্বামীর স্বজনদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ এনে মানববন্ধন করেছে স্বর্ণার বাবার বাড়ীর স্বজনরা। রবিবার সকালে উপজেলার পুটিয়াখালী কামারখালী এলাকায় ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন তারা।
মানববন্ধনে স্বর্ণার বাবা,মা ও বোন অভিযোগ করে বলেন, “আমার মেয়ে আতœহত্যা করারা মতো না” তাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে। ২০২১ সালে পারিবারিকভাবে স্বর্ণার বিয়ে হয় ভান্ডারিয়া উপজেলার ভুবেনেশ^র এলাকার মতিলাল দাসের ছেলে আসুতোষ দাসের সঙ্গে। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে মেয়ের ওপর শুরু হয় অমানবিক নির্যাতন।দিনমজুরের কাজ করে স্বর্ণার সংসারে স্বর্ণালংকারসহ প্রায় ৮ লাখ টাকা যৌতুক হিসেবে দিয়েছেন। তবুও আসুতোষ দাস ও তাঁর পরিবারের নির্যাতন বন্ধ হয়নি। গত ২৪ সেপ্টেম্বর বিকেলে আসুতোষ দাস ফোন করে তাঁকে বলেন, “আপনার মেয়ে এসে এখনই নিয়ে যান।” কথার মাঝেই মেয়ের চিৎকার শুনতে পান তিনি, এরপরই ফোনটি কেটে দেওয়া হয়। পরে ভান্ডারিয়া হাসপাতালে তার লাশ পরে থাকতে দেখেন। সে সময় মেয়ের স্বামী ও তাঁর পরিবারের কেউ হাসপাতালে বা থানায় উপস্থিত ছিলেন না। এমনকি স্বর্ণার তিন বছরের শিশু পুত্র সন্তানকেও তাঁরা লুকিয়ে রেখেছিলেন। স্বর্ণার পরিবারের দাবি, এটি আত্মহত্যা নয়, পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে ঘটনাকে আত্মহত্যা হিসেবে চালিয়ে দেওয়া হয়েছে।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন স্বর্ণার বাবা হরিবল মিস্ত্রি,মা মনিকা মিস্ত্রি,বোন মুক্তা মিস্ত্রি ও রুপা মিস্ত্রি এবং দীপংকার মিস্ত্রি।স্বর্ণার হত্যার সাথে জড়িতদের ফাসির দাবি জানায় তার স্বজনরা।