আব্দুল হালিম,বিশেষ প্রতিবেদকঃ
রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার ২৭৫ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৫০টি বিদ্যালয়ে যতেষ্ট রয়েছে। ২২৫ টি বিদ্যালয়ে হাজিরা খাতায় শিক্ষার্থীর হাজিরা খাতায় নাম থাকলেও শিক্ষার্থীরা কেজি ও বেসরকারি বিদ্যালয়ে পড়ে। অভিভাবকগণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছেলে মেয়েদের পড়াতে নারাজ। কারণ শিক্ষকগণ বিদ্যালয়ে আগমন ও প্রস্থান অনিয়মতান্ত্রিক। এ ছাড়াও তারা হোম ওয়ার্ক করেন না। মা সমাবেশ /অভিভাবক সমাবেশ করেন না। সহকারী শিক্ষা অফিসারগণ সংশ্লিষ্ট ক্লাসটার বিদ্যালয়ের সভাপতি হওয়ায় শিক্ষকগণদের উপজেলায় ডেকে পরিদর্শন বই সহ সকল কাগজপত্র স্বাক্ষর করেন বলে অভিভাবকগণ অভিযোগ করেন। বই বিতরণের সময় কেজি ও বেসরকারি স্কুলের প্রধানগণ টাকার বিনিময়ে সরকারি বই বিদ্যালয়ে নিয়ে যান। এ ছাড়াও রংপুর শহর থেকে শিক্ষকগণ দেরিতে বিদ্যালয় আসেন, ফেরৎ যান ২টা হতে আড়াইটার মধ্যে। যাওয়ার পথে সজিনার পাতা, কচুশাক, দুধ সহ অন্যান্ন পণ্য নিয়েযান। রিজিকদাতা আল্লাহ উপলক্ষ্য শিক্ষকতা তারা মনেকরেন না। এ কারনে স্থানীয় অভিভাবকগণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছেলে মেয়েদের বিদ্যালয়ে পাটাতে নারাজ। বিদ্যালয় স্লিপ ওসংস্কার মেরামতের বরাদ্ধের টাকার কাজ না করে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি ভুয়া ভাউচার দিয়ে বাগবাটোয়ারা করেন নেন বলে অভিভাবকগণ অভিযোগ করেন। ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে লোহাকুচি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরিদর্শনকালে দেখাগেছে শিক্ষক পদ ৬টি। কর্মরত ৩ জন উপস্থিত ২ জন। অনুপস্থিত প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমান সরকার ও ১ জন সহকারী শিক্ষক। উক্ত বিদ্যালয়ে ৩য় শ্রেনিতে ১২ জনের মধ্যে ৮ জন, ৪র্থ শ্রেনিতে ২৪ জনের মধ্যে ১৬ জন, ৫ম শ্রেনিতে ১৯ জনের মধ্যে ১৩ জন উপস্থিত পাওয়া যায়। অপর দিকে বড়পীর মহিউদ্দিন বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৯৯১ সালে স্থাপিত। যার বিদ্যালয় নং ৯৬। উক্ত বিদ্যালয়ে শেহেলী বেগম ১৯৯৭ সারের ১৫ ফেব্রয়ারি যোগদান করে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দাপটের সাথে কর্মরত রয়েছেন। উক্ত বিদ্যালয়ে পদ ৬টি। কর্মরত ৬ জন। অনুপস্থিত প্রধান শিক্ষিকা শেহেলী বেগম। তাঁকে বারংবার মোবাইল করলেও তিনি মোবাইল রিসিফ করলে কথা বলতে নারাজ। সহ শিক্ষক মামুনর রশীদ আইটিসি প্রশিক্ষনে ছিল বলে এটিইও শাহানা পারভীন জানান।
উক্ত বিদ্যালয়ে ৩য় শ্রেনিতে ৭ শিক্ষার্থীর মধ্যে ৫ জন, ৪র্থ শ্রেনিতে ১৬ জনের মধ্যে ১৪ জন, ৫ম শ্রেনিতে ১২ জনের মধ্যে ১০ জন শিক্ষার্থী উপস্থিত পাওয়া যায়। মিঠাপুকুর সদর থেকে ২ কিলোমিটার দুরে কৃষ্ণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। উক্ত বিদ্যালয় শিক্ষকের পদ ৬টি। কর্মরত ৬ জন।
প্রধান শিক্ষক শাহনাজ বেগম জানান, ৩য়, ৪র্থ ও ৫ম শ্রেনিতে ৩৮ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১৮ জন শিক্ষার্থী উপস্থিত। ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ বৃহস্পতিবার বিকেল ৩ টায সরেজমিনে অনুসন্ধান চালাতে গিয়ে মিলেছে এ তথ্য ও চিত্র।
গত ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ সোমবার দুপুরে ভিকনপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ প্রতিবেদক সহ সাংবাদিক টিম সরেজমিনে পরিদর্শনকালে দেখা যায় বিদ্যালয়ে ৬ জন শিক্ষকের পদ রয়েছে। কর্মরত রয়েছেন ৫ জন শিক্ষক। ৩ জন শিক্ষক উপস্থিত, অনুপস্থিত ২ জন শিক্ষক। তারা হলেন, ভারপ্রাপ্ত প্রধান নাজমা বেগম ও শাহনাজ বেগম।
শ্রেনী কক্ষে গিয়ে দেখাগেছে, ৩য় শ্রেনীতে ১০ জনের মধ্যে ০০,৪র্থ শ্রেনীতে ১০ জনের মধ্যে ৪ জন ও ৫ম শ্রেনীতে ১০ জনের মধ্যে ৩ মোট ৩০ শিক্ষার্থীর মধ্যে ৭ জন শিক্ষার্থী পাওয়া যায়। এ ছাড়াও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নাজমা বেগম ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের স্লিপ এর ৫০ হাজার টাকা কোন কাজ না করে আত্মসাৎ করেছেন বলে এলাকাবাসী জানান।
মোঃ কামরুজ্জামান মিলন
সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক তুহিন প্রিন্টিং প্রেস ফকিরাপুল ঢাকা থেকে মুদ্রিত।
ই-মেইল: 𝐝𝐚𝐢𝐧𝐢𝐤𝐚𝐥𝐨𝐤𝐢𝐭𝐨𝐧𝐞𝐰𝐬@𝐠𝐦𝐚𝐢𝐥.𝐜𝐨𝐦
ই-পেপার: 𝐞𝐩𝐚𝐩𝐞𝐫.𝐝𝐚𝐢𝐧𝐢𝐤𝐚𝐥𝐨𝐤𝐢𝐭𝐨𝐧𝐞𝐰𝐬.𝐜𝐨𝐦
ওয়েবসাইট: 𝐰𝐰𝐰.𝐝𝐚𝐢𝐧𝐢𝐤𝐚𝐥𝐨𝐤𝐢𝐭𝐨𝐧𝐞𝐰𝐬.𝐜𝐨𝐦
মোবাইল: ০১৯২৭-৩০২৮৫২/০১৭৫০-৬৬৭৬৫৪
আলোকিত মাল্টিমিডিয়া লিমিটেড