স্টাফ রিপোর্টার
পঞ্চগড় জেলা শহরের একটি বালিকা বিদ্যালয়ের গণিত বিষয়ের সহকারী শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান (৩২) এর বিরুদ্ধে দায়ের করা ধর্ষণ চেষ্টার মামলায় আদালত ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন। একই সঙ্গে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেছেন । বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫) জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মাসুদ পারভেজ এ রায় ঘোষণা করেন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল, পঞ্চগড় মাত্র পাঁচ মাসে এই মামলার বিচারিক কার্যক্রম সম্পন্ন করে দৃষ্টান্তমূলক এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান গত ১৬ এপ্রিল ২০২৫ পঞ্চগড় পৌর এলাকার মসজিদপাড়ায় তার পরিচালিত কোচিং সেন্টারে একই বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে । ঘটনার পর ভুক্তভোগীর পরিবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০-এর ৯ (৪) (খ) ধারায় মামলাটি দায়ের করে। মাত্র পাঁচ মাসের মধ্যে চার্জ গঠন, সাক্ষ্যগ্রহণ, যুক্তিতর্ক এবং রায় সম্পন্ন হওয়া দেশের বিচার ব্যবস্থার জন্য এক অনন্য দৃষ্টান্ত। স্থানীয় এক মানবাধিকারকর্মী বলেন, ÔÔপঞ্চগড়ের ইতিহাসে এটি একটি দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী দ্রুত বিচারকার্য। বিচারকের সাহসিকতা ও দ্রুত সিদ্ধান্ত সমাজে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’’ মামলার রায়ের মাধ্যমে শুধু অপরাধীর শাস্তিই নয়, বরং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নারীদের নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচারের বার্তাও তুলে ধরা হয়েছে। এই রায় ঘোষণার পর পঞ্চগড় আদালত প্রাঙ্গণ ও বিদ্যালয় এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়। সাধারণ মানুষ ও অভিভাবক মহল এই দ্রুত বিচার কার্যক্রম ও দৃষ্টান্তমূলক রায়কে সাধুবাদ জানিয়েছেন।