আব্দুল হালিম,বিশেষ প্রতিবেদকঃ
মিঠাপুকুরে প্রাথমিক ৩টি বিদ্যালয়ে ছাত্র সংখ্যা অপ্রতুল ২টায় বিদ্যালয় ছুটি দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। আজ ২৬ আগষ্ট ২০২৫ মঙ্গলবার দুপুর ১টা হতে বিকেল ২ টায় বিদ্যালয়ে সরেজমিনে অনুসন্ধান চালাতে গিয়ে মিলেছে এ তথ্য ও চিত্র। এ সময় বিএনপি উপজেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মোজাহিদুল ইসলাম, রানীপুকুর বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শরিফ হানান সবুজ, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা, সহ সভাপতি আখতারুজ্জামান মন্ডল ও সহ ছাত্র বিষক সম্পাদক ফিরোজ খান উপস্থিত ছিলেন।
মোলং নয়াপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৯৯৫ সালে স্থাপিত হয়। উক্ত বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক আ ন ম আশরাফুল আলম ৩০ বছর ধরে একই বিদ্যালয়ে অবস্থান করে বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্নীতে রেকর্ড করেছেন। উক্ত বিদ্যালয়ে ৫ জন শিক্ষিকা রয়েছেন তারা সকলেই প্রধান শিক্ষকের বদলী দাবি করেছেন। উক্ত বিদ্যালয়ে ৩য় শ্রেনীতে ৩ জন, ৪র্থ শ্রেনীতে ৬ জন ৫ম শ্রেনীতে ৪ জন মোট ১৩ জন পরীক্ষা দিতে দেখাগেছে। উক্ত ইউনিয়নে হাবিবপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৯৬৭ সালে স্থাপিত। বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক অজয় কুমার সরকার জানান, বিদ্যালয়ে ৫ জন শিক্ষকের মধ্যে ১ জন ছুটিতে রয়েছেন। তিনি হলেন, আখতারুজ্জামান। বিদ্যালয়ে ৩য় শ্রেনীতে ১০ জনের ধধ্যে ৯ জন, ৪র্থ শ্রেনীতে ১৩ জনের মধ্যে ১১ জন, ৫ম শ্রেনীতে ৭ জনের মধ্যে ৪ জন মোট ২৪ জন পরীক্ষা দিতে দেখাগেছে। তিনি বলেন, প্র্যাক, ১ম শ্রেনী ও ২য় শ্রেনীতে মোট ৩৪জন পরীক্ষার্থী সহ ৩য়, ৪র্থ ও ৫ম শ্রেনীতে ২৪ জন মোট স্কুলে ৫৮ জন পরীক্ষার্থী রয়েছেন। এ দিকে উক্ত ইউনিয়নে জুমা জলসত্তর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিকেল ২টায় বিদ্যালয় তালাবদ্ধ পাওয়া যায়। রতনা ও আফরিন আক্তারকে মাঠে দেখায়ায়। তাদেরকে বিদ্যালয় তালাবদ্ধকেন জিজ্ঞাস করলে তারা বলেন পরীক্ষা হয়েগেছে। সাংবাদিক ও বিএনপি নেতাদেরকে দেখে বিদ্যালয়ের তালা খুলেদেন। ওই বিদ্যালয়ে ৩য় শ্রেনীতে ১৫ জনের মধ্যে ৪জন, ৪র্থ শ্রেনীতে ১৩ জনের মধ্যে ৪ জন ৫ম শ্রেনীতে ১৩ জনের মধ্যে ৮ জন মোট ১৬ জন পরীক্ষার্থীর খাতা পাওয়া যায়। এ সময় এলাকাবাসী ভাপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সহ সকল শিক্ষকদের বদলীর দাবী করেন।
বিষয়টি আইনানুক ব্যবস্থা নিতে প্রার্থমিক অধিদপ্তরের উদ্ধর্তন কর্মকর্তার সুদৃষ্টি কামনা করেছেন এলাকাবাসী।