ভাোলা প্রতিনিধিঃ
মনপুরার মাদক সিন্ডিকেটের মূল হোতা তানভির, আপ্পান, হোসেন হাওলাদার ও জাকিরের ভাগ্নে শামীম সোহাগ। আওয়ামী লীগের সময়ে তারা সরবরাহ ও বিক্রির দায়িত্ব ভাগ করে নিত। ৫ আগস্টের পর সরাসরি লেনদেনের মাধ্যমে তারা দ্বীপের মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছে। জাকির ও মান্নানের জন্য তারা থাকছেন ধরাছোঁয়ার বাহিরে।
জুয়ার আসর: ‘ওপেন সিক্রেট’প্রতিদিন রাতে হাজীরহাটের সোনালী ব্যাংকের নিচের একটি গোপন কক্ষে মান্নানের জুয়ার আসর বসে। এখানে মদ, গাঁজা, ইয়াবা ও নারীসঙ্গের আয়োজন চলে রাতভর। স্থানীয়দের ভাষায় এটি ‘ওপেন সিক্রেট’ হলেও প্রশাসনের কোনো পদক্ষেপ নেই।
বিএনপি থেকে বহিষ্কার, আওয়ামী লীগে যোগদান মান্নান ২০১২ সালে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত হন। পরবর্তীতে ২০১৩ সালে আওয়ামী লীগে যোগদানের উদ্দেশ্যে তিনি সাবেক উপমন্ত্রী জ্যাকবের ন্যাম ভবনের বাসায় যান। সেখানে তিনি আওয়ামী লীগে যোগদানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে জ্যাকবের কাছ থেকে তিন লাখ টাকা গ্রহণ করেন এবং পরে হোটেল রেডিসন ব্লুতে ইফতার করেন। তবে আওয়ামী লীগের একাংশের বিরোধিতার কারণে তিনি শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগে যোগ দিতে পারেননি।
মনপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ আহসান কবির বলেন, “মামলার প্রেক্ষিতে মান্নান হাওলাদারের বড় ছেলে তানবিরকে আমরা গ্রেফতার করেছি। আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণ করেছে।” তানভিরকে গ্রেফতারের পর থানার গেটে এসে মান্নানের ছোট ছেলে আপ্পান উশৃঙ্খল আচরণ করে পালিয়ে যায়।
জেলা বিএনপির সদস্যসচিব রাইসুল আলম বলেন, “তার ছেলে গ্রেফতার ও আগে এক ছেলে বহিষ্কারের বিষয়ে আমি অবগত আছি। আমরা বিভাগীয় সাংগঠনিকের পরামর্শ নিয়ে মান্নানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম নবী আলমগীর বলেন, “এ বিষয়ে আমি জানি না, জেনে দেখবো।