ক্রাইম রিপোর্টারঃ
পল্লী গ্রামে এরকম গুলির ঘটনায় আতঙ্কিত হয়েছে এলাকার সাধারণ মানুষ।
১৩ আগস্ট বুধবার সকালে প্রতিদিনের মতো নাপিত বাজার হোটেল ব্যবসায়ী আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে অসীম হোটেলের কাজে নিয়োজিত ছিল। সকাল ১০ টার দিকে উক্ত হোটেলে প্রবেশ করে গোলাপ। নাস্তা সেরে কিছু না বলে উঠে যাওয়ার সময় দোকান মালিক অসীম বিল চাইতে গেলে গোলাপ বলে সে কোথাও কোন খরচ করলে তার কোন টাকা লাগে না। অসীম গোলাপকে বলে যে আগেরও বাকি রয়েছে সেই টাকাও দিয়ে যাও নাহলে যাওয়া হবে না এই নিয়ে দুজনার মধ্যে কথা কাটাকাটি সহ হাতাহাতি হয়। এক পর্যায়ে গোলাপ তার কোমড়ে থাকা পিস্তল বের করে অসীমের দিকে তাক করে গুলি চালায় অসীম গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে সেলিনা বেগম নামের একজন মহিলা অসীমকে উদ্ধার করতে আসলে গোলাপ তাকেও গুলি করে। গুলির শব্দে স্থানীয় জনসাধারণ ছুটে আসলে সন্ত্রাসী গোলাপ ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। গুলিবিদ্ধ আহত অসীম ও সেলিনা বেগমকে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। সাদুল্লাপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সন্দেহজনক বেশ কয়েকটি জায়গায় অভিযান পরিচালনা করলেও সন্ত্রাসী অস্ত্রধারী গোলাপকে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি।
সাদুল্লাপুর উপজেলার ঈদুল পুর ইউনিয়নের দক্ষিণ চক দারিয়া গ্রামের মৃত্যু তয়েজ উদ্দিন এর পুত্র গোলাপ। বাবা মা মারা যাওয়ার পর বেপরোয়া জীবনযাপন করত গোলাপ। সময়ের সাথে সাথে মাদক অস্ত্র ব্যবসা চোরাকারবারী সহ নানান অপকর্মের সাথে জড়িয়ে পরে। পালিয়ে যাওয়া ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের এমপি উম্মে কুলসুম স্মৃতির পালিত সন্তান হিসেবে পরিচিত গোলাপ স্থানীয় আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করার অন্যতম দায়িত্বশীল নেতা বলে এলাকায় চাউর আছে। এলাকার লোক বলছেন সে সারাক্ষণ অস্ত্র সাথে নিয়ে ঘুরে বেড়াতো যে কারণে তার বিরুদ্ধে কোনো মানুষ কথা বলার সাহস পেত না।
এরকম ঘটনায় এলাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে অবিলম্বে সন্ত্রাসী গোলাপকে গ্রেপ্তা*র করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছেন এলাকার সাধারণ মানুষ।