জাকীরুল ইসলাম সবুজ,ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
পঞ্চগড়ে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে জাবেদ উমর জয় (১৯) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। বুধবার (৬ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮টার দিকে জেলা শহরের সিনেমা হল মার্কেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে। নিহত জয় জেলা শহরের পুরাতন ক্যাম্প এলাকার জহিরুল হকের ছেলে। তিনি পঞ্চগড় পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের কর্মী বলে জানা গেছে।
এ ঘটনায় শহরে উত্তেজনা দেখা দেয়। দোকানপাট বন্ধ করে হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে শহরের পঞ্চগড়-ঢাকা মহাসড়কে বিক্ষোভ করে তার প্রতিবেশী, সহপাঠী ও বন্ধুরা। অপরাধীদের গ্রেফতার না করা পর্যন্ত মরদেহ থানায় নিতে আপত্তি করেন বিক্ষুব্ধরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাসদস্যসহ অতিরিক্ত পুলিশের টহল বৃদ্ধি করা হয়। এ ঘটনায় মধ্যরাত পর্যন্ত শহরে থমথমে অবস্থা ছিল।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, পূর্বশত্রুতার জের ধরে জাবেদ উমর জয়কে ছুরিকাঘাত করা হয়। সেখানে তার প্রতিপক্ষ জেলা শহরের নতুনবস্তী এলাকার আল আমিন, পারভেজসহ কয়েকজন ছিল। স্থানীয়রা গুরুতর আহতাবস্থায় জয়কে উদ্ধার করে প্রথমে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। গভীর রাত পর্যন্ত তার মরদেহ বাসাতেই ছিল। জয়ের পেটে বাম পাশে ছুরিকাঘাত করা হয়।
নিহতের বড় ভাই আশরাফ বলেন, রাতে মোটরসাইকেল নিয়ে তিনজন জয়কে খুঁজছিল। আমিও তাকে না পেয়ে দোকানে চলে যাই। এরপর একটা ফোন পেয়ে জানতে পারি জয়কে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। শুনে দ্রুত হাসপাতালে গিয়ে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর রংপুরে নেওয়ার পথেই সে মারা যায়। প্রকাশ্যে এই হত্যার আমরা উপযুক্ত বিচার চাই।
পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের চিকিৎসক রেজওয়ানুল্লাহ বলেন, জয় নামে এক যুবকের পেটের বাম পাশে ছুরিকাঘাত করা হয়েছিল। তার একটি হাতেও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তার অবস্থা গুরুতর ছিল। আমরা জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসা শেষে রংপুরে পাঠানোর পরামর্শ দেই।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শইমী ইমতিয়াজ বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষের আঘাতে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। আল আমিন ও পারভেজসহ কয়েকজন ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তাদের গ্রেফতারে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযান অব্যাহত রয়েছে। মরদেহ ভুক্তভোগীর বাসাতেই রয়েছে। দ্রুত সময়ে মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য আনা হবে।