নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
নোয়াখালী, হাতিয়া, ভোলা এবং মনপুরার বেশ কিছু এলাকায়,এবং কোম্পানীগঞ্জের মুছাপুর ইউনিয়ন ও চরএলাহী ইউনিয়নের কিছু অংশ জোয়ারের পানিতে বেশ কিছু ঘরবাড়ি ও মসজিদ প্লাবিত হয়েছে। এতে প্রায় ২ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে যে মেঘনার পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়ায় এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে।
শনিবার (২৬ জুলাই)নোয়াখালী, হাতিয়া, ভোলা, মনপুরা এবং কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় জোয়ারের পানিতে ৫ শতাধিক ঘরবাড়ি এবং একটি মসজিদ প্লাবিত হয়েছে। এতে স্থানীয় বাসিন্দারা দুর্ভোগে পড়েছেন।
জানা যায়, গতকাল শুক্রবার সকালে জোয়ারের পানিতে নিঝুম দ্বীপের প্রধান সড়ক পুরোপুরি তলিয়ে যায়। একই সঙ্গে নিঝুম দ্বীপের নামার বাজার এলাকা প্লাবিত হয়েছে। মানুষের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকেছে। এলাকার অনেক পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। এছাড়া জোয়ারের পানিতে উপজেলার নলচিরা, সোনাদিয়া ও সুখচর ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, জোয়ারের পানিতে অনেক ঘরবাড়ি, ফসলি জমি ও সড়ক প্লাবিত হয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন হাজারো পরিবার। বিশেষ করে নিঝুম দ্বীপ জাতীয় উদ্যানের হরিণসহ বন্য প্রাণীগুলোর জন্য এ দুযোর্গপূর্ণ আবহাওয়াহ হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অপরদিকে জেলা শহর মাইজদীর বেশ কয়েকটি এলাকায় এখনো জলাবদ্ধতা রযেছে। এতে জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। নোয়াখালী পৌরসভার ড্রেন ও খালে ময়লা আবর্জনা জমে থাকার কারণে পানি নামতে না পারায় এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।
জেলা আবহাওয়া কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চলে দমকা হাওয়া ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় নোয়াখালীতে ৫১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রের্কড করা হয়েছে। মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থাকতে বলা হয়েছে।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আলাউদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, সুখচর ইউনিয়ন, সোনাদিয়া ইউনিয়নের কিছু অংশ ও নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের বেশ কিছু গ্রাম পানির নিচে তলিয়ে আছে। কোথাও ২-৩ ফুট করে পানি আছে। সুখচরের একটি বেড়িবাঁধ শুক্রবার ভেঙে গিয়ে সেখানে প্লাবিত হয়।
ইউএনও আরও বলেন, বেড়ির বাহিরে জেলে পাড়া গুলোতে পানি উঠে নামে। বেশ কিছু জায়গায় বেড়ির বাহিরে ও নলচিরা ইউনিয়নের কিছু জায়গায় নদী ভাঙনের মুখে অনেকেই তাদের ঘরবাড়ি, দোকান ঘর সরিয়ে নিয়েছে। আজকে বিকেলে নদীর অবস্থা কিছুটা ভালো থাকায় কয়েকটা রুটে বোট চলেছে।
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে,মেঘনার পানি বিপদসীমার ৭০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। অনেক রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় জনসাধারণের চলাচল কঠিন হয়ে পড়েছে। মনপুরা উপজেলায় ৫টি ট্রলারডুবির ঘটনাও ঘটেছে, যেখানে ১৩ জন জেলে নিখোঁজ ছিলেন, যাদেরকে হাতিয়া ও সন্দ্বীপের ফিশিং বোটের মাধ্যমে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
নোয়াখালী কোম্পানিগঞ্জ প্রতিনিধি
আবদুল আউয়াল
মোঃ কামরুজ্জামান মিলন
সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক তুহিন প্রিন্টিং প্রেস ফকিরাপুল ঢাকা থেকে মুদ্রিত।
ই-মেইল: 𝐝𝐚𝐢𝐧𝐢𝐤𝐚𝐥𝐨𝐤𝐢𝐭𝐨𝐧𝐞𝐰𝐬@𝐠𝐦𝐚𝐢𝐥.𝐜𝐨𝐦
ই-পেপার: 𝐞𝐩𝐚𝐩𝐞𝐫.𝐝𝐚𝐢𝐧𝐢𝐤𝐚𝐥𝐨𝐤𝐢𝐭𝐨𝐧𝐞𝐰𝐬.𝐜𝐨𝐦
ওয়েবসাইট: 𝐰𝐰𝐰.𝐝𝐚𝐢𝐧𝐢𝐤𝐚𝐥𝐨𝐤𝐢𝐭𝐨𝐧𝐞𝐰𝐬.𝐜𝐨𝐦
মোবাইল: ০১৯২৭-৩০২৮৫২/০১৭৫০-৬৬৭৬৫৪
আলোকিত মাল্টিমিডিয়া লিমিটেড