ক্রাইম রিপোটারঃ
গোবিন্দগঞ্জ এখন আর শুধু কৃষি কিংবা ব্যবসার জনপদ নয় এটি হয়ে উঠেছিল আধুনিক হ্যাকিং শিল্পের এক ‘ডিজিটাল দস্যু’ নগরী। স্ক্রিনের আড়ালে চলত প্রতারণার অদৃশ্য বাজার। মোবাইল ফোন, সিমকার্ড আর হ্যাকিং সফটওয়্যারের ঠেলায় গড়ে উঠেছিল এক গোপন সাম্রাজ্য যার ছায়ায় থাকত কিছু ‘উপদেষ্টা’ মুখ, যাদের কেউ কেউ রাজনীতির নাম করে হাটতেন, কিন্তু পেছনে সরবরাহ করতেন "মাশোয়ারার মাসিক তেল"।
তবে সে সব দিনের অবসান ঘটেছে একের পর এক সেনাবাহিনী ও পুলিশের ঝটিকা অভিযানে।সাম্প্রতিক অভিযানে আটক হয়েছেন দুই চতুর হ্যাকার আশিকুর রহমান ও আদম হোসেন। সাপমারা ইউনিয়নের তালুক রহিমাপুর।
উদ্ধার: ১৭টি মোবাইল, ১৭টি সিমকার্ড, হ্যাকিং ডিভাইস এবং বিপুল তথ্য। তিন দশকের আশেপাশে। অভিজ্ঞতা? এক যুগের হ্যাকিং ইতিহাস!
অভিযানে নেতৃত্ব দেন সাঘাটা সেনা ক্যাম্পের ক্যাপ্টেন এবং গাইবান্ধা সেনা ক্যাম্পের মেজর। গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি বুলবুল ইসলাম জানালেন, "প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ডিজিটাল প্রতারণা চালাতে এরা শুধু প্রযুক্তি নয় রাজনৈতিক ছাতারও আশ্রয় নিত।"
কিছু নেতা আছেন যারা বক্তৃতায় দেশ বদলের স্বপ্ন দেখান, আর বাস্তবে মাসিক মাশোয়ারার টেবিলে সাইবার চক্রের চা খান! এই চক্র চলত না শুধুই মোবাইলের মাধ্যমে এর ছিল মাসিক হিসাব, ভাগাভাগি ও ‘চোখ বন্ধ’ নীতিমালা।
এখন সেই চক্রের চোখ খুলে দিয়েছে রাতের অভিযান।
নীরব গ্রামে সেনাবাহিনীর পায়ের শব্দ ছিল যেন হ্যাকার সাম্রাজ্যের কাঁপুনি।
স্থানীয়রা বলছেন,আগে গরুর চোর ধরত পুলিশ, এখন ধরছে মোবাইলের চোর তবে এই চোরেরা গরুর চেয়েও দামি!”
“ফেসবুকে নামি, রিয়েল লাইফে হ্যাকার—এরা আমাদের গ্রামের লজ্জা।
হ্যাকার নয়, তারা এখন আসামি। ডিজিটাল প্রযুক্তির আড়ালে গড়ে ওঠা এই অপরাধ জগতে এখন রাষ্ট্রের আলো ঢুকেছে।
আর যারা এতদিন "মাশোয়ারা" দিয়ে অপরাধীকে বাঁচাতো, সময় এসেছে সেই রাজনৈতিক ছায়ারও জবাবদিহির।
মোঃ কামরুজ্জামান মিলন
সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক তুহিন প্রিন্টিং প্রেস ফকিরাপুল ঢাকা থেকে মুদ্রিত।
ই-মেইল: 𝐝𝐚𝐢𝐧𝐢𝐤𝐚𝐥𝐨𝐤𝐢𝐭𝐨𝐧𝐞𝐰𝐬@𝐠𝐦𝐚𝐢𝐥.𝐜𝐨𝐦
ই-পেপার: 𝐞𝐩𝐚𝐩𝐞𝐫.𝐝𝐚𝐢𝐧𝐢𝐤𝐚𝐥𝐨𝐤𝐢𝐭𝐨𝐧𝐞𝐰𝐬.𝐜𝐨𝐦
ওয়েবসাইট: 𝐰𝐰𝐰.𝐝𝐚𝐢𝐧𝐢𝐤𝐚𝐥𝐨𝐤𝐢𝐭𝐨𝐧𝐞𝐰𝐬.𝐜𝐨𝐦
মোবাইল: ০১৯২৭-৩০২৮৫২/০১৭৫০-৬৬৭৬৫৪
আলোকিত মাল্টিমিডিয়া লিমিটেড