নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতাল চত্বরে ভাঙারি ব্যবসায়ী লালচাঁদ সোহাগকে পাথর দিয়ে মাথা থেঁতলে দেয়া আসামি গ্রেফতার হয়েছেন। পটুয়াখালীর ইটবাড়িয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে ঢাকার ডিবি পুলিশ।
আজ বুধবার সকালে পটুয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাজেদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে, মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
পটুয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাজেদুল ইসলাম জানান, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল এসে রাতে সোহাগ হত্যা মামলার এক আসামিকে ইটবাড়িয়া থেকে ধরে নিয়ে চলে গেছে। মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান এখনো চলমান থাকায় গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তির পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
ঢাকার ডিবি পুলিশের নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, গ্রেফতার অন্য আসামিদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য এবং তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় নিশ্চিত হয়েই তারা রাতে পটুয়াখালীতে অবস্থান করে। পরবর্তীতে প্রযুক্তির সহায়তায় ইটবাড়িয়া এলাকার একটি বাসা থেকে ওই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।
তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী, আরো এক আসামিকে গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
সূত্র আরো জানায়, পটুয়াখালীর ইটবাড়িয়া থেকে গ্রেফতার হওয়া আসামিই ব্যবসায়ী সোহাগের নিথর দেহের ওপর পাথর নিক্ষেপকারী এতটুকু নিশ্চিত হওয়া গেছে। কিন্তু গ্রেফতার না হওয়া অন্য আসামিরা যাতে সতর্ক না হয়ে যায়, সে কারণে তার নাম প্রকাশ করা হচ্ছে না জানান তিনিও।
উল্লেখ্য, এই গ্রেফতারের মাধ্যমে আলোচিত সোহাগ হত্যা মামলায় গ্রেফতার হওয়া আসামির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল নয়জনে।
এর আগে, সোমবার (১৪ জুলাই) র্যাব-১১ ও র্যাব-১০ এর যৌথ অভিযানে নারায়ণগঞ্জের বন্দরের একটি এলাকা থেকে মামলার অন্যতম আসামি মো: নান্নু কাজীকে (৩৩) গ্রেফতার করা হয়।
গত ৯ জুলাই বিকেলে মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর ফটকের সামনে নির্মমভাবে খুন হন ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগ। প্রত্যক্ষদর্শীদের সামনে তাকে কংক্রিটের বড় বোল্ডার দিয়ে মাথা ও শরীরে বারবার আঘাত করে হত্যা করা হয়। ঘটনাটি সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায় এবং দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করে।
ঘটনার পরদিন নিহত সোহাগের বড় বোন মঞ্জুয়ারা বেগম সংশ্লিষ্ট থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
নৃশংস এই হত্যাকাণ্ড ঘিরে তদন্ত জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। দ্রুত সময়ের মধ্যেই বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মোঃ কামরুজ্জামান মিলন
সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক তুহিন প্রিন্টিং প্রেস ফকিরাপুল ঢাকা থেকে মুদ্রিত।
ই-মেইল: 𝐝𝐚𝐢𝐧𝐢𝐤𝐚𝐥𝐨𝐤𝐢𝐭𝐨𝐧𝐞𝐰𝐬@𝐠𝐦𝐚𝐢𝐥.𝐜𝐨𝐦
ই-পেপার: 𝐞𝐩𝐚𝐩𝐞𝐫.𝐝𝐚𝐢𝐧𝐢𝐤𝐚𝐥𝐨𝐤𝐢𝐭𝐨𝐧𝐞𝐰𝐬.𝐜𝐨𝐦
ওয়েবসাইট: 𝐰𝐰𝐰.𝐝𝐚𝐢𝐧𝐢𝐤𝐚𝐥𝐨𝐤𝐢𝐭𝐨𝐧𝐞𝐰𝐬.𝐜𝐨𝐦
মোবাইল: ০১৯২৭-৩০২৮৫২/০১৭৫০-৬৬৭৬৫৪
আলোকিত মাল্টিমিডিয়া লিমিটেড