1. news@dainikalokitonews.com : দৈনিক আলোকিত নিউজ : দৈনিক আলোকিত নিউজ
  2. info@www.dainikalokitonews.com : দৈনিক আলোকিত নিউজ :
শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ০১:৫১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :

সিলেটে বাড়ছে এডিস মশার প্রকোপ!! আগষ্ট- সেপ্টেম্বরে বেশি বাড়তে পারে ডেঙ্গু

  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৮ জুলাই, ২০২৫
  • ১২ বার পড়া হয়েছে

সিলেট প্রতিনিধি :

সিলেটে দিন-দিন বাড়ছে এডিস মশার প্রকোপ। গত বছরের চেয়ে এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্তের হার বেশি বলে জানা গেছে। বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন আগষ্ট- সেপ্টেম্বরে বেশি বাড়তে পারে ডেঙ্গু।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখনও আমরা  ডেঙ্গুর আসল প্রকোপ দেখিনি। কেবল শুরুটা দেখছি। দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার আক্রান্তের সংখ্যা বেশি হবে এবং মৃত্যুর সংখ্যাও সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যেতে পারে।
এডিস মশার লার্ভার ঘনত্ব পরিমাপের সূচক ব্রুটো ইনডেক্স’ নামে পরিচিত। কোনো এলাকায় লার্ভার ঘনত্ব যদি ২০ শতাংশের  বেশি হয়, তাহলে সেই স্থানকে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ধরা হয়। এ বছর রাজধানীসহ সারাদেশের বিভিন্ন এলাকা উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে।
সম্প্রতি ডেঙ্গু নিয়ে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) এক জরিপে দেখা যায়, রাজধানীর দুই সিটি করর্পোরেশনের ৭২টি ওয়ার্ডে মশার ঘনত্ব নির্দিষ্ট সূচকের চেয়ে বেশি যা ডেঙ্গু রোগের ক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ। এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করর্পোরেশনের সাত এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ছয়টি ওয়ার্ডকে ডেঙ্গু উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
জরিপে মশার প্রজনন উৎস হিসেবে সিমেন্টের পানির ট্যাঙ্ককে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ (ব্রুটো ইনডেক্স ২২ শতাংশ) হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এরপরই রয়েছে মেঝেতে জমে থাকা পানি (২০ শতাংশ), প্লাস্টিকের ড্রাম (১৩ শতাংশ), ওয়াটার মিটার চেম্বার (১১ শতাংশ), প্লাস্টিকের বালতি (১০ শতাংশ), ফুলের টব ও ট্রে/প্লাস্টিকের পাইপের গর্ত (৭ শতাংশ), পরিত্যক্ত টায়ার (৬ শতাংশ), বাড়ির ভেতরের পানির চ্যানেল (৫ শতাংশ) এবং সিমেন্টের প্লট (৪ শতাংশ)। প্রাক-বর্ষাজরিপ অনুযায়ী, এডিস মশার লার্ভার সবচেয়ে বেশি ঘনত্ব (৫৮.৮৮ শতাংশ) পাওয়া গেছে বহুতল ভবন  গুলোতে।
জেলা ওয়ারী এডিস মশা নিয়ে আইইডিসিআরের জরিপের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকার বাইরে ঝিনাইদহ, মাগুরা, পটুয়াখালী ও পিরোজপুর, সিলেটে এডিস মশার লার্ভার উপস্থিতি বেশি। অন্য বছরের চেয়ে এবার ডেঙ্গুর আক্রান্তের হার বেশি। ২০২৩ সালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ এক হাজার ৭০৫ জন মারা যান। সে বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন মোট তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন। ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত সারাদেশে মোট  ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ছিলেন সাত হাজার ৯৭৮ জন এবং ডেঙ্গুতে মোট মৃত্যুবরণ করেছেন ৪৭ জন। চলতি বছর ২৭জুন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ২০২৩ সালের প্রথমার্ধের চেয়েও বেশি। ২০২৪ সালে মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ছিলেন এক লাখ এক হাজার ২১৪ জন এবং ডেঙ্গুতে মোট মারা গেছেন ৫৭৫ জন। ২০২৫ইং ৩০ জুন পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ছিলেন তিন হাজার ৬৫১ জন এবং সে সময় মোট মারা গেছেন ৪৪ জন।

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত -২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ,কলাম,তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট