তরিকুল ইসলাম,দামুড়হুদা প্রতিনিধি:
চুয়াডাঙ্গা জেলার চুুয়াডাঙ্গা সদর জাফরপুর বিজিবি ক্যাম্পের সামনে অয়েল ট্যাংকার ও ইজিবাইকের মুখোমুখী সংঘর্ষ।
চুয়াডাঙ্গায় অয়েল ট্যাংকার (তেলবাহী ট্যাংকার) ও ইজিবাইকের মুখোমুখী সংঘর্ষে নারীসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। একই দুর্ঘটনায় নারী ও শিশুসহ আরও চারজন গুরুতর জখম হয়েছেন। গতকাল রাত সাড়ে সাতটার দিকে সদর উপজেলার জাফরপুর বিজিবি ক্যাম্প ও বন বিভাগের নিকট এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনাস্থলেই নিহত হন দুজন। নিহতরা হলেন- সদর উপজেলার নেহালপুর ইউনিয়নের হিজলগাড়ী গ্রামের আসকার আলীর মেয়ে মোছা. মাছুরা (৫৯) ও চুয়াডাঙ্গা পৌর শহরে মুসলিমপাড়ার আলী মুন্সীর ছেলে আবু তালেব (৬৫)। আর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত পৌনে নয়টার দিকে মারা যান ইজিবাইকের চালক আরিফুল ইসলাম (৩৫)। তিনি দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর গ্রামের নূর মোহাম্মদের ছেলে। তাদের লাশ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
আহতরা হলেন- ইজিবাইকের যাত্রী সরোজগঞ্জ সিপি ফ্যাক্টরিতে কর্মরত দেলোয়ার হোসেন সাইম (২৮), দামুড়হুদার দুধপাতিলা গ্রামের জিল্লুর রহমানের ছেলে আল আমিন (২২), চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার পদ্মবিলা ইউনিয়নের হায়দারপুর গ্রামের মৃত সোনা মিয়ার ছেলে ফাহাদ আহম্মেদ (২২), তার স্ত্রী রিয়া খাতুন (২০) ও তাদের শিশু সন্তান ইয়াসিন (১)।
প্রত্যক্ষদর্শী রাকিব আলী বলেন, ‘দুপুর থেকে বন বিভাগের অদূরে একটি গাছের ডাল ভেঙে রাস্তার মধ্যে হেলে ছিল। তেলবাহী একটি ট্যাংকার চুয়াডাঙ্গা থেকে ঝিনাইদহের দিকে যাচ্ছিলো। ট্যাংকারটি ডালের সামনে থেকে বাঁক নিতে গেলে চুয়াডাঙ্গামুখী একটি ইজিবাইকের সঙ্গে মুখোমুখী সংঘর্ষ হয়। এতে ইজিবাইকের দুই যাত্রীর ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। আহত হন ইজিবাইকের চালক, নারী ও শিশুসহ আরও পাঁচজন। পরে আমরা স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসি।
সরোজগঞ্জ সিপি ফ্যাক্টরিতে কর্মরত দেলোয়ার হোসেন সাইম সুবদিয়া থেকে চুয়াডাঙ্গার উদ্দেশ্যে ইজিবাইেকে ওঠেন। তিনি বলেন, ‘আমি ও চালকসহ ইজিবাইকে মোট ৭ জন যাত্রী ছিলাম। সবাই চুয়াডাঙ্গার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন। পথে হঠাৎই একটি জ্বালানি তেলবাহী ব্যারেল ট্যাংকারের সঙ্গে ইজিবাইকের মুখোমুখী সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুজনের মৃত্যু হয়। আমি ইজিবাইকের ভেতরে সিটে বসেছিলাম, কিছু বুঝে ওঠার আগেই দুর্ঘটনা ঘটে যায়।’
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আফরিনা ইসলাম বলেন, ‘সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত একই দুর্ঘটনায় জখম পাঁচজনকে জরুরি বিভাগে আনা হয়। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা শঙ্কাজনক। তাকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিয়ে অবজারভেশনে রাখা হয়েছে। একইসঙ্গে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।’
এছাড়াও হাসপতালের জরুরি বিভাগের রাত্রীকালীন দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. আল ইমরান জুয়েল বলেন, ‘সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত একই দুর্ঘটনায় জখম পাঁচজনকে জরুরি বিভাগে আনা হয়। দায়িত্বরত চিকিৎসক তাদেরকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিয়ে অবজারভেশনে রাখেন। তাদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা শঙ্কাজনক ছিল। উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছিলো। তবে রাজশাহী নেয়ার আগেই পুরুষ সার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত পৌনে ৯টার দিকে আরিফুল ইসলাম নামের একজনের মৃত্যু হয়। এছাড়াও, দুর্ঘটনায় দুজনকে মৃত অবস্থায় জরুরি বিভাগে আনা হয়েছিলো।’
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খালেদুর রহমান বলেন, ‘ঘটনাসম্পর্কে জেনেছি, ঘটনাস্থলে দুজন ও চিকিৎসাধীন একজনসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। প্রথমে দু’জনের পরিচয় না পাওয়া গেলেও পরবর্তীতে সকলের পরিচয় পাওয়া যায়।’ তিনি আরও বলেন, ‘দুর্ঘটনার শিকার ট্যাংকার ও ইজিবাইক জব্দ করা হয়েছে। তবে ট্যাংকারের চালককে পাওয়া যায়নি। তাকে খুঁজতে অনুসন্ধান চলছে।
মোঃ কামরুজ্জামান মিলন
সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক তুহিন প্রিন্টিং প্রেস ফকিরাপুল ঢাকা থেকে মুদ্রিত।
ই-মেইল: 𝐝𝐚𝐢𝐧𝐢𝐤𝐚𝐥𝐨𝐤𝐢𝐭𝐨𝐧𝐞𝐰𝐬@𝐠𝐦𝐚𝐢𝐥.𝐜𝐨𝐦
ই-পেপার: 𝐞𝐩𝐚𝐩𝐞𝐫.𝐝𝐚𝐢𝐧𝐢𝐤𝐚𝐥𝐨𝐤𝐢𝐭𝐨𝐧𝐞𝐰𝐬.𝐜𝐨𝐦
ওয়েবসাইট: 𝐰𝐰𝐰.𝐝𝐚𝐢𝐧𝐢𝐤𝐚𝐥𝐨𝐤𝐢𝐭𝐨𝐧𝐞𝐰𝐬.𝐜𝐨𝐦
মোবাইল: ০১৯২৭-৩০২৮৫২/০১৭৫০-৬৬৭৬৫৪
আলোকিত মাল্টিমিডিয়া লিমিটেড