আলোকিত নিউজ ডেস্কঃ
কলাবাগান থানার সাবেক ওসির বিরুদ্ধে ঢাকার সি এম এম আদালতে দায়ের করা নালিশী মামলার আদেশ হয়। ৮নং আদালতের বিজ্ঞ বিচারক সিফাত উল্লাহ মামলাটি সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। আদালতে মামলার শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মেজর (অবঃ) এম সরোয়ার হোসেন।
সাবেক ওসি মোক্তারুজ্জামান এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন ফিকামলি তত্ত্বের জনক, শিক্ষাবিদ,কলামিস্ট ড. আব্দুল ওয়াদুদ। মামলা নং সি আর ২৫৫/ ২০২৫, ধারা ৪৪৭/৪৪৮/৩৮৫/৩৮৬/৩৮৭/৩৯৩/১৪৯/১০৯/৩৪ দঃ বিঃ
মামলার অন্যান্য আসামী কলাবাগান থানার সাবেক এস আই বেলাল হোসেন ও পুলিশ পরিচয়দানকারী কলাবাগান থানা এলাকার চিহ্নিত চাঁদাবাজ,সন্ত্রাসী আব্দুল মান্নান ভূইয়া।
মামলার প্রধান কৌশলী ব্যারিস্টার এম সরোয়ার হোসেনকে সহায়তা করেন এডভোকেট সৈয়দ আহমেদ গাজী, অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম মল্লিক নিয়ামত, এডভোকেট ওমর ফারুক ও এডভোকেট সোহেল আহমেদ। আদেশ পাওয়ার পর ব্যারিস্টার এম সরোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ড. আব্দুল ওয়াদুদ একজন সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান। তার পিতা ভান্ডারিয়া সরকারি কলেজের প্রিন্সিপাল ছিলেন। তিনি নিজে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে অনার্সসহ এমএ ডিগ্রিধারী, বিদেশ থেকে পিএইচডি করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন। তার লেখা অনেকগুলো বই রয়েছে। নিয়মিত পত্রিকায় কলাম লেখেন। একজন প্রকৃতিপ্রেমী ও ওয়াইল্ড লাইফ বিশেষজ্ঞ। তিনি রয়েল বেঙ্গল টাইগার ও পাখি নিয়ে গবেষণা করেন। ড. আবদুল ওয়াদুদ বাংলাদেশে একমাত্র ব্যক্তি যাকে সরকার বাঘের বাচ্চা লালন পালনের অনুমতি দিয়েছে। বাংলাদেশের আবহাওয়া ও তাপমাত্রায় বিদেশি পাখির সফল ব্রিডিং কার্যক্রম নিয়ে তিনি গবেষণা করছেন দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে। তার গবেষণালব্ধ ফলাফল কাজে লাগিয়ে এদেশের অনেক বেকার যুবক কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করছে। তিনি একজন দানবীর, সমাজ হিতৈষী, পরোপোকারী ব্যক্তি।
গত ২৯ এপ্রিল ২০২৫ গভীর রাতে কলাবাগান থানার পুলিশের সহযোগিতায় একদল সন্ত্রাসী ড. আব্দুল ওয়াদুদ এর বাড়িতে জোরপূর্বক ঢুকে পড়ে। পুলিশ ও সন্ত্রাসীরা তার কাছে ০১ (এক) কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে ও ২ লক্ষ টাকা নিয়ে যায়। বাদবাকি টাকা দিতে না পারলে দশটি মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি প্রদান করে।
সন্ত্রাসীরা পুলিশের সহযোগিতায় বাড়ির বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর ও লুটপাট করে নিয়ে যায়। বিশেষ করে গবেষণার জন্য সংগ্রহ করা ২০ জোড়া দুর্লভ পাখি নিয়ে যায়, যার আনুমানিক মুল্য ২.৫ কোটি টাকা। হরিণ ধরার চেষ্টা করলে ১টি গর্ভবতী হরিণ মারা যায়।
এ ব্যাপারে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ করলে কলাবাগান থানার তৎকালীন ওসি মোক্তারুজ্জামান, এস আই বেলাল হোসেন ও এস আই আবু হোরায়রা জিহান বরখাস্ত হয়। গত ৬ মে বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় এ সংক্রান্ত খবর প্রকাশিত হয়েছে।
ব্যারিস্টার সারোয়ার সাংবাদিকদের আরও বলেন,
কোন মামলা-মোকদ্দমা না থাকা সত্ত্বেও, কোন ওয়ারেন্ট,অভিযোগ না থাকা সত্ত্বেও গভীর রাতে যেকোনো নাগরিকের কাছে গিয়ে পুলিশের চাঁদা দাবি ও চাঁদা আদায় কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। পুলিশ কেন সন্ত্রাসীদের নিয়ে একটি বাড়িতে ঢুকবে? পুলিশ জনগণের জান মালের রক্ষক। অসাধু কিছু সদস্য রক্ষক না হয়ে ভক্ষকের ভূমিকা পালন করছে যা পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছে। কিছু সংখ্যক দুষ্কৃতকারী পুলিশ সদস্যদের কারণে মানুষের জান মাল বর্তমানে নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়ছে। ২৯ এপ্রিল ২০২৫ কলাবাগান থানার তৎকালীন ওসি ও কিছু সদস্য তাদের দায়িত্বের অংশ হিসেবে জান, মাল ও সম্পত্তি রক্ষা না করে ডাকাতদের সহযোগীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়।
ঝ
ব্যারিস্টার সরোয়ার আরও বলেন, গত ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর ড. আবদুল ওয়াদুদ এর বাসায় বেশ কয়েকবার হামলা,ভাঙচুর ও লুটপাট হয়েছে। সে সময় ক্ষয়ক্ষতির পরিমান ছিল প্রায় ৫ কোটি টাকা। তখন থানায় পুলিশ ছিল না। পুলিশ জান নিয়ে পালিয়েছে। কিন্তু ১০ মাস পর কেন এমনটি হবে। কিছু সংখ্যক অসাধু পুলিশ সদস্যের অপেশাদারী আচরণ জনগণের মাঝে আতঙ্কের সৃষ্টি করছে।
ব্যারিস্টার সরোয়ার আরও বলেন আমি মেজর (অব:) সিনহা হত্যা মামলায় লড়েছি। টেকনাফের সাবেক ওসি প্রদীপের ফাঁসি হয়েছে। আমি এ মামলায় শেষ পর্যন্ত লড়ে যাবো। কলাবাগান থানার অসাধু পুলিশ সদস্য ও দুষ্কৃতকারীদের অবশ্যই শাস্তি হইতে হবে। কেউ আইনের উর্ধ্বে নয়।
মোঃ কামরুজ্জামান মিলন
সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক তুহিন প্রিন্টিং প্রেস ফকিরাপুল ঢাকা থেকে মুদ্রিত।
ই-মেইল: 𝐝𝐚𝐢𝐧𝐢𝐤𝐚𝐥𝐨𝐤𝐢𝐭𝐨𝐧𝐞𝐰𝐬@𝐠𝐦𝐚𝐢𝐥.𝐜𝐨𝐦
ই-পেপার: 𝐞𝐩𝐚𝐩𝐞𝐫.𝐝𝐚𝐢𝐧𝐢𝐤𝐚𝐥𝐨𝐤𝐢𝐭𝐨𝐧𝐞𝐰𝐬.𝐜𝐨𝐦
ওয়েবসাইট: 𝐰𝐰𝐰.𝐝𝐚𝐢𝐧𝐢𝐤𝐚𝐥𝐨𝐤𝐢𝐭𝐨𝐧𝐞𝐰𝐬.𝐜𝐨𝐦
মোবাইল: ০১৯২৭-৩০২৮৫২/০১৭৫০-৬৬৭৬৫৪
আলোকিত মাল্টিমিডিয়া লিমিটেড