ড. আব্দুল ওয়াদুদ:
কখনো চুপসে যায় মন, নীরব হয়ে যায়। কখনো–বা ফেটে পড়ে। ফেটে পড়ে দুঃখের কারণের বিরুদ্ধে, ফেটে পড়ে দুঃখকে ঠেকাতে। এই পথেই মানুষ বাঁচে, সমাজ বদলায়। নক্ষত্র মরে গেলে কৃষ্ণগহ্বর হয়। সেখানে আলো প্রবেশ করতে পারলেও বেরোতে পারে না। মানুষের মনও দুঃখে দুঃখে কৃষ্ণগহ্বর হয়ে যায়; সেখান থেকে কোনো কথা বের হয়ে আসে না। এর নাম ডিপ্রেশন। যদি আমরা ডিপ্রেশনের খুব কাছাকাছি বাংলা প্রতিশব্দ খুঁজতে চাই, সবার আগে আসবে ‘অবসাদ’ শব্দটি। অবসাদ – এই শব্দটির সাথে যে দুঃখ বা বিষাদ লেগে থাকে, সর্বনাশা রোগটিও ঠিক সেইরকমই। ডাক্তারী মতে যা ডিপ্রেশন বলে পরিচিত, তার পরতে পরতে জড়িয়ে থাকে মনখারাপ আর ভাল না লাগা। যে বিভিন্ন আঙ্গিকে ডিপ্রেশন বা অবসাদ রোগটিকে বোঝবার চেষ্টা করা হয়েছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)-র দেওয়া নিয়মাবলী (গাইডলাইন)। এই নিয়মাবলী অনুযায়ী, অবসন্ন মন (‘লো মুড’), শক্তিহীনতা (‘লো এনার্জী’) এবং উৎসাহহীনতা (‘লো ইন্টারেস্ট’)-কে ডিপ্রেশনের আওতায় ফেলা হয়েছে। আরেকটু গভীরে গিয়ে, বিখ্যাত মনোবিজ্ঞানী অ্যারন বেক-এর তত্ত্ব অনুযায়ী, নিজের, পরিবেশের এবং ভবিষ্যত সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা (নেগেটিভ ভিউ)-র সম্মিলিত প্রকাশই হল ডিপ্রেশন। অবশ্য, শুধু নেতিবাচক ধারণা থাকলেই চলবে না, রোজকার জীবনে তার প্রভাবও পড়া চাই। বই-এর ভাষায় যাকে বলে – ‘Significant Socio-occupational impairment’।
খুব সহজভাবে বলতে গেলে ডিপ্রেশন মস্তিষ্কজনিত একটি মানসিক রোগ। এখন প্রশ্ন হল মনের ঠিক কোন অসুখ হলে আমরা তাকে ডিপ্রেশান বলব?সেটা বোঝার আগে স্বাভাবিক সুস্থ মনের কী কী কাজ সেগুলো একটু জেনে নেওয়া ভালো! আমাদের মন বা এখনকার নিউরো-সায়েন্সের যুগে যদি তাকে ব্রেন (Brain) বা মস্তিষ্ক বলে মেনে নেই, তাহলে তার কিছু ব্যাবহারিক কাজ থাকে! তাঁর মধ্যে প্রধান তিনটি হল
(১) কগনিশান (Cognition)—অর্থাৎ আমাদের প্রত্যেকের সুস্থ চিন্তাভাবনা করা এবং মনে রাখার ক্ষমতা,
(২) ব্যবহার (Behaviour)—আমাদের বাহ্যিক আচার-আচারণ,
(৩) আবেগ (Emotion)—আমাদের অনুভূতি অর্থাৎ কোনো কিছু খারাপ বা ভালো লাগার ক্ষমতা।
এখন এই ইমোশনের দুটো ভাগ একটা হল মুড (Mood) আর একটা হল অ্যাফেক্ট (Affect)। মুড হল অনেকদিন ধরে স্থিতিশীল ইমোশানের অন্তর্মুখী রূপ যার উপর নির্ভর করে, সেই ব্যক্তি চারপাশকে কীভাবে অনুভব করবে, দেখবে, বুঝবে তা ঠিক হয়! আর অ্যাফেক্ট হল ইমোশানের বাইরের দিক যা খুব অল্পসময় ধরে থাকে। ঠিক ভূগোল বইতে পড়া জলবায়ু ও আবহাওয়ার পার্থক্যের মতো! মুড হল জলবায়ুর মতো দীর্ঘকালীন, আর অ্যাফেক্ট হল আবহাওয়ার মতো স্বল্পায়ু! এখন ডিপ্রেশান বা অবসাদ রোগ হলে মনের যে স্বাভাবিক তিনটি কাজ নিয়ে আগে বললাম, তাঁর মধ্যে প্রধানত ইমোশানের গণ্ডগোল হয় আরও সুনির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে মুড-এর সমস্যা দেখা যায়!
আমাদের মুড ভালো অর্থাৎ স্বাভাবিক থাকলে আমাদের ভালো জিনিস ভালো আর খারাপ জিনিস খারাপ লাগে। সেটা অবশ্যই প্রত্যেকের নিজস্ব নিজস্ব পছন্দ স্বাপেক্ষে! এবার মুড যদি খারাপ হয় কিংবা ডিপ্রেসড মুড হলে, আগে যা ভালো লাগত, তা এখন আর ভালো লাগে না। ডিপ্রেসিভ ডিসঅর্ডার (Depressive Disorder) বা অবসাদ রোগ হলে সঙ্গে আর একটি জিনিস এসে যোগ হয়, তাহল আমাদের কোনো কিছু ভালো লাগার যে স্বাভাবিক অনুভূতি তা নষ্ট হয়ে যায়! আমাদের কোনো কিছুই আর ভালো লাগে না, এটিই হল ডিপ্রেশনের প্রধান জায়গা।
ডিপ্রেশনের নেতিবাচক ভাবনা নিয়ে প্রখ্যাত মনোবিজ্ঞানী , ড. অ্যারন বেক (Aaron Beck ) তিনটি উল্লেখযোগ্য কথা বলেন—১) নিজেকে নিয়ে নেতিবাচক ভাবা—‘আমি একজন খুব বাজে মানুষ’, ২) পৃথিবী বা আশেপাশের পরিবেশ নিয়ে নেতিবাচক চিন্তা—‘আমার আশেপাশের কোনো মানুষজনই আমাকে ভালোবাসে না’ ৩) ভবিষ্যৎ নিয়ে নিরাশায় ভোগা—‘কোনো কিছুরই পরিবর্তন হবে না, সবকিছু আরও খারাপ হবে, আমি আশাবাদী নই’।
ডিপ্রেশন যদি তীব্র আকার ধারণ করে তাহলে সাইকোসিস (Psychosis) অর্থাৎ বাস্তবতা সম্পর্কে ভ্রান্ত অভিজ্ঞতা তৈরি হয়।
ডিপ্রেশন বিভিন্নভাবে আমাদের জীবনে অনুপ্রবেশ করতে পারে, তার প্রকাশের রূপও আলাদা। একেক জনের ক্ষেত্রে এক ধরনের লক্ষণ বেশি মাত্রায় দেখা যায় অথবা অন্য কোনোরকমভাবে ডিপ্রেশন লুকিয়ে থাকতে পারে।
ডিপ্রেশন আজ সামাজিকভাবে সুপরিচিত একটি রোগ। এটি হয়তো খুব সাধারণ কিন্তু তা হতে পারে ভয়ংকর, জীবন কেড়ে নেওয়ার মতো। অন্যান্য সমস্ত মানসিক রোগের বিচার করলে ডিপ্রেশনের প্রাদুর্ভাব বেশির দিকেই থাকবে। ডিপ্রেশনে আক্রান্ত মানুষ বিভিন্নভাবেই লজ্জা পান, নানা ধরনের সামাজিক স্টিগমার বা বৈষম্যের স্বীকার হয়ে থাকেন। আমাদের দেশে এই ডিপ্রেশনে আক্রান্ত হবার পরিসংখ্যান বেশ ভয়াবহ। যেকোনো সময়ে দেশের ১০০ জনের মধ্যে প্রায় ২-৩ জনের ডিপ্রেশন থাকে। অর্থাৎ ভারতে প্রায় ৩.৬ কোটি লোক এই ডিপ্রেশনে আক্রান্ত। এবং প্রতি ১০০ জনের মধ্যে জীবনের কোনো-না-কোনো সময়ে ডিপ্রেশনে আক্রান্ত হন ৫-৬ জন লোক। মানে প্রায় ২০ জনের মধ্যে ১ জন ডিপ্রেশনে ভুগছেন। সমস্ত পৃথিবীতেও এর সংখ্যাটা কম নয়। প্রায় ৩০ কোটির কাছাকাছি লোক ডিপ্রেশন-এর। বোঝায় নিজে এবং নিজের পরিবারকে জড়িয়ে ফেলেছেন। এর ট্রিটমেন্ট গ্যাপ অর্থাৎ চিকিৎসা থেকে দূরে থাকার পরিমাণ প্রায় ৮০-৮৫ % এর কাছাকাছি। অর্থাৎ প্রায় ১০০ জন ডিপ্রেশনে আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে ৮০ থেকে ৮৫ জনই চিকিৎসার বাইরে থাকেন। ডিপ্রেশনে প্রায় ১০-১৫% সুইসাইডে আক্রান্ত হন।
ইউনিপোলার ডিপ্রেশন সাধারণত প্রথমবার জীবনে আসে ২০ বছরের পর। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ৩ মাসের মধ্যে তা কমতে শুরু করে, কিন্তু অনেকের ক্ষেত্রেই তা টানা একবছর বা ৬ মাস থাকতে পারে। মেয়েদের মধ্যে অবসাদ রোগ অনেকটা বেশি, প্রায় দ্বিগুণ। একইরকমভাবে বেশি সামজিকভাবে প্রান্তিক বর্গের মানুষদের মধ্যেও।
ডিপ্রেশনের কারণ বিভিন্ন রকমের হতে পারে। একেক জনের ক্ষেত্রে তা একেক রকম ভাবে আসতে পারে। যাদের একটা ‘বায়োলোজিকাল’ ভালনারেবিলটি (Vulnerability) অর্থাৎ জৈবিক অসহনশীলতা রয়েছে। যেমন ছোটোবেলায় ঘটা কোনো বাজে অপ্রীতিকর ঘটনা, ছোটো থেকে বড়ো হয়ে ওঠার মধ্যে দিয়ে গড়ে ওঠা চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য সমস্ত মিলিয়েই এই আভ্যন্তরীণ অক্ষমতা তৈরি হয়। ১৮ বছরের আগে যা কিনা মস্তিষ্ক পরিণতির সময়কাল বলে ধরে নেওয়া হয় সেখানে যদি একের পর এক নেতিবাচক ঘটনা ঘটতে থাকে যা পরবর্তীতে চরম বেদনাদায়ক অভিজ্ঞতা হিসেবে হাজির হয়! তাহলে এই সুক্ষভাবে মস্তিষ্কের অপরিণত বিকাশের ভয় থেকে যায়! মস্তিষ্কের বিভিন্ন জায়গার পারস্পরিক যোগাযোগেও ঘাটতি থাকে! এ ছাড়া বংশ পরম্পরায় ক্ষতিকারক জিনের প্রভাব কতটা সেটাও বিবেচ্য বিষয়!
ডিপ্রেশন আধুনিকতার মানসিক গন্ধম ফল। বাংলা ভাষায় ডিপ্রেশন বোঝানোর যথাযথ কোনো শব্দ নেই। কত বড় ঘুণপোকা জীবনের ভিত খেয়ে ফেলছে, তা অনেক সময় অনুমান করা যায় না। ধরতে পারি না যে অবসাদের মহামারি ছড়িয়ে পড়ছে। করোনা মহামারির প্রথম বছরে কোভিড-১৯–এ মৃত্যুর চেয়ে আত্মহত্যায় মৃত্যুর সংখ্যা ছিল বেশি। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) জরিপে দেখা গেছে, ২০২০–এর কোভিডকালীন ১০ মাসে কোভিডে আক্রান্ত হয়ে ৫ হাজার মৃত্যুর বিপরীতে আত্মহত্যায় মৃতের সংখ্যা ছিল দ্বিগুণের বেশি—প্রায় ১১ হাজার। এঁদের মধ্যে নারী বেশি। শিক্ষিত তরুণদের আত্মহত্যাও ঘন ঘন ঝাঁকুনি দিয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ডিপ্রেশনই ১৫-২৯ বছর বয়সীদের আত্মহত্যার জন্য দায়ী। এই আর্থ, সামাজিক রাজনৈতিক পরিবেশে কখন কার মন বিস্ফোরিত হবে, ঘটাবে কোনো মর্মান্তিক ঘটনা, তা বোঝা খুবই মুশকিল। সমাজ ও রাষ্ট্রে সর্বজনীন মঙ্গলের পরিবেশ থাকলে, আত্মহত্যা ঘটার হার কমে যায়।
আধুনিক জীবনযাত্রার বল্গাহীন চাহিদা, আমাদের উচ্চাকাঙ্ক্ষা বাড়িয়ে দিতে থাকে তা পূরণের জন্য। আধুনিক দ্রুতগতির জীবনের তীব্র প্রতিযোগিতা সামাজিক বিচ্ছিন্নতা বোধের জন্ম দিচ্ছে যা মানুষকে নিয়ে যাচ্ছে বিষণ্ণতার দিকে (Gurung, 2014)। এছাড়াও প্রযুক্তি এবং সোশ্যাল মিডিয়ার উপরে অত্যধিক নির্ভরশীলতার ফলে মানসিক এবং মুখোমুখি যোগাযোগ ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে, যা আন্ত:ব্যক্তিক সম্পর্কগুলোকে ক্রমশ তলানিতে নিয়ে যায় Beck-এর “কগনিটিভ থিওরি অফ ডিপ্রেশন”(১৯৭৬) অনুযায়ী ব্যক্তির নেতিবাচক চিন্তা-ভাবনা তাকে বিষণ্ণতার দিকে পরিচালিত করে।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ডিপ্রেশন-এর চিকিৎসা যদি রোগ শুরুর একদম প্রথম দিকে আরম্ভ করা হয়, তাহলে ডিপ্রেশনকে কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। যদি এই ডিপ্রেশনের চিকিৎসা না হয় সেই ব্যক্তি নেশায় আসক্ত হয়ে পড়েন, সাইকোসিস দেখা যেতে পারে, সুইসাইডে আক্রান্ত হয়ে মারা যেতে পারেন। তাই এর চিকিৎসা জরুরি। এর সঙ্গে প্রয়োজন সুস্থ পারিবারিক সম্পর্ক, বন্ধুদের যথাযথ ভরসা। প্রয়োজন সমাজের একদম বুনিয়াদি স্তরে ডিপ্রেশন নিয়ে সচেতনতা। তাই আমাদের চিকিৎসা ব্যবস্থার একদম নীচের স্তরে প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে (Primary Health Care-PHC) ডিপ্রেশন যাতে সহজে ধরা পড়ে তার সেই ব্যপারে চেষ্টা জোরদার করা উচিত।
‘কেবল মুঠোয় বন্দী কফির একলা কাপ/ ডিপ্রেশনের বাংলা নাকি মন খারাপ’- শ্রীজাতের লেখা এই দুই লাইন আমাদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়। কিন্তু মনে রাখতে হবে ডিপ্রেশন আর মন খারাপ এক নয়, মন খারাপ আর ডিপ্রেশন একেবারে আলাদা দুটো জিনিস। মন খারাপ একটি মানুষের স্বাভাবিক অনুভূতি, যা দিনযাপনের স্বাভাবিক অঙ্গ, যেমন আমাদের ভালো লাগা, খুশি হওয়া, আনন্দে থাকা একটি অনুভূতি ঠিক একই রকমভাবে দুঃখ পাওয়া মন খারাপ হওয়াও এক অনুভুতি। কিন্তু অবসাদ বা ডিপ্রেশন একটি জটিল মস্তিষ্কজনিত মানসিক রোগ যার একটি লক্ষণ অনেক বেশিদিন ধরে, অনেক বেশি মাত্রায়, দিনের বেশির ভাগ সময় মন খারাপ থাকা, আনন্দ পাওয়ার স্বাভাবিক ক্ষমতা চলে যাওয়া। চিকিৎসায় না থাকলে ডিপ্রেশনে ভয়ংকর আকার নিতে পারে, হতে পারে প্রাণঘাতী ভয়াবহ।
ডিপ্রেশন আজ মহামারির মতো ঘরে ঘরে, কোনো একজন ডাক্তার বা স্বাস্থ্যকর্মীর পক্ষে একে আটকানো সম্ভব নয়, এই লড়াই আমাদের প্রত্যেকের। সারা বিশ্বে ক্রমবর্ধমান ডিপ্রেশনের এই ভয়াবহতা উপলব্ধি করেই গত ২০১৭সালের ৭ই এপ্রিল বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের স্লোগান করা হয়েছিলো,'Depression: Let's Talk.‘ অর্থাৎ ‘আসুন, ডিপ্রেশন নিয়ে আলোচনা করি।’ আমাদের ডিপ্রেশন নিয়ে মুক্ত আলোচনা করা উচিত তাই উচ্চকিত কন্ঠে।
লেখক : ফিকামলি তত্ত্বের জনক, শিক্ষাবিদ, মনোবিজ্ঞান গবেষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক।
মোঃ কামরুজ্জামান মিলন
সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক তুহিন প্রিন্টিং প্রেস ফকিরাপুল ঢাকা থেকে মুদ্রিত।
ই-মেইল: 𝐝𝐚𝐢𝐧𝐢𝐤𝐚𝐥𝐨𝐤𝐢𝐭𝐨𝐧𝐞𝐰𝐬@𝐠𝐦𝐚𝐢𝐥.𝐜𝐨𝐦
ই-পেপার: 𝐞𝐩𝐚𝐩𝐞𝐫.𝐝𝐚𝐢𝐧𝐢𝐤𝐚𝐥𝐨𝐤𝐢𝐭𝐨𝐧𝐞𝐰𝐬.𝐜𝐨𝐦
ওয়েবসাইট: 𝐰𝐰𝐰.𝐝𝐚𝐢𝐧𝐢𝐤𝐚𝐥𝐨𝐤𝐢𝐭𝐨𝐧𝐞𝐰𝐬.𝐜𝐨𝐦
মোবাইল: ০১৯২৭-৩০২৮৫২/০১৭৫০-৬৬৭৬৫৪
আলোকিত মাল্টিমিডিয়া লিমিটেড