রংপুর থেকে মাহিদুল ইসলাম আউলিয়াঃ
এবার রংপুরের মিঠাপুকুরে আসন্ন ঈদুল আযহাতে কোরবানির পশুর চাহিদা দ্বিগুণ বেড়েছে। চাহিদার তুলনায় প্রায় ২৩৫৫৫ টি কোরবানির পশু উদ্বৃত্ব রয়েছে।প্রাণিসম্পদ অফিসের তথ্যমতে উপজেলার ১৭ টি ইউনিয়নে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে পালিত কোরবানির পশুর সংখ্যা মোট ৮৬৬৪১ টি। এর মধ্যে ষাঁড়, বলদ গাভী আছে ৩০৬১১ টি, ছাগল আছে ৫২৮১৪ টি ও ভেড়া সহ অন্যান্য পশুর সংখ্যা প্রায় ৩২১৬ টি। এসব কোরবানির পশুগুলো সব বিক্রি হলে প্রায় ৮শ' কোটি টাকার মতো হবে। এমনটাই আশা করছেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস।অত্র উপজেলায় আসন্ন কোরবানি উপলক্ষে মোট পশুর চাহিদা রয়েছে এবার ৬৩০৮৬ টি। উদ্বৃত্ব আছে এখানে আরোও ২৩৫৫৫ টি। উপজেলার সরকারী ভাবে ঘোষণা কৃত হাট-বাজার গুলো ছাড়াও এসব কোরবানির পশু অনেক মৌসুমী হাট-বাজারগুলোতেও বিক্রি হচ্ছে বলে জানান উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডাঃ মো: আলতাব হোসেন।এসব পশুর নির্ধারিত বিক্রয়ের স্থান গুলো ধরা হয়েছে,শঠিবাড়ীর হাট,শুকুরের হাট,পদাগঞ্জ হাট,বালার হাট,জায়গীর হাট,মির্জাপুর হাট, চিলাখাল বাবুর হাট সহ একাধিক হাট বাজারে। স্থানীয়দের চাহিদা মিটিয়ে এসব উদবিত্ত পশু বিক্রি হচ্ছে ,পীরগঞ্জ উপজেলার ভেন্ডাবাড়ীর হাট,খালাশপীর হাট,বড় দরগাহ,কাদিরাবাদ হাট,পীরের হাট,ধাপের হাট,মাদারগঞ্জ হাট ও চতরার হাটে। এছাড়া রংপুর সদরের লালবাগের হাট, তারাগঞ্জ, বদরগঞ্জ ছাড়াও আর বিক্রি হচ্ছে দিনাজপুর জেলার আফতাবগঞ্জের হাট,নবাবগঞ্জ,বিরামপুর,দাউদপুর,রাণীগঞ্জ,ঘোড়াঘাট,আমবাড়ী হাট,ফুলবাড়ী ও পার্বতীপুরে।
স্থানীয় গরু ব্যাবসায়ী রুজু মিয়া ও আবু তালেব সহ একাধিক জন বলেন, আমাদের এখানকার প্রাকৃতিক উপায়ে পালিত কোরবানির পশু গুলোর চাহিদা বাইরের অঞ্চলগুলোতে প্রচুর । এসব পশু নিয়ে যে হাটেই যাবেন সেখানেই ব্যাবসা করে আরাম পাবেন। সলিড পশুর প্রতি ক্রেতার চাহিদা সর্বোচ্চ বেশী থাকে। তাই লস নেই। সবুজ মিয়া,গোলাম মওলা ও ছাইদুল ইসলাম সহ একাধিক মাঝারী খামারীরা জানান,গো-খাদ্যের দাম বাড়তি হলেও এবার কোরবানির পশু বিক্রয়ের ক্ষেত্রে তেমন একটা খারাপ প্রভাব পড়ছেনা। তবে এবার প্রথম থেকেই যেভাবে পশু ব্যাবসায়ী ও ক্রেতারা দাম হাঁক করে পশু কিনছেন তাতে করে বাজার অন্যেবারের চেয়ে বেশ উঠতির দিকে মনে হচ্ছে। তাছাও আর একটা ক্ষতির দিকও আশঙ্কা করা যাচ্ছে যে আগের বারের তুলনায় এবার বড় গরুর চাহিদা কম। মানুষ বেশী ঝুকছেন ছোট ও মাঝারী গরুর প্রতি। তাই অনেক খামারী ও ব্যাবসায়ীরা বড় গরু নিয়ে খানিকটা চিন্তার মধ্যে আছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডাঃ মো: আলতাব হোসেন আরো বলেন, প্রতিটি হাটে হাটে ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম থাকছেন। সুস্থ গরু বিক্রয়ে তারা সার্বক্ষণিক কাজ করছে। এ ছাড়াও আমাদের টিম আগে থেকেই কৃষকের বাড়ি বাড়ি গিয়ে উঠান বৈঠক করে মোটাতাজাকরনের স্টেরয়েড ব্যবহারের কুফল,পশু পালন, লাম্পি স্কিন ডিজিজ নিয়ে আলোচনা করে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছেন । আজকেও আমরা একটি কোরবানীর পশু হাটে(জাইগীর হাট) এসেছি। সাথে উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ভারপ্রাপ্ত) জনাব মো: মুলতামিস বিল্লাহ মহোদয়, থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি মহোদয় ও সাথে এসেছেন। আমরা সার্বক্ষণিক ভাবে বাজার মনিটরিং করছি। কুরবানির গরু নির্বিঘ্নে বিক্রি করার ক্ষেত্রে এখানে যাবতীয় সহোযোগিতা করা হচ্ছে।
মোঃ কামরুজ্জামান মিলন
সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক তুহিন প্রিন্টিং প্রেস ফকিরাপুল ঢাকা থেকে মুদ্রিত।
ই-মেইল: 𝐝𝐚𝐢𝐧𝐢𝐤𝐚𝐥𝐨𝐤𝐢𝐭𝐨𝐧𝐞𝐰𝐬@𝐠𝐦𝐚𝐢𝐥.𝐜𝐨𝐦
ই-পেপার: 𝐞𝐩𝐚𝐩𝐞𝐫.𝐝𝐚𝐢𝐧𝐢𝐤𝐚𝐥𝐨𝐤𝐢𝐭𝐨𝐧𝐞𝐰𝐬.𝐜𝐨𝐦
ওয়েবসাইট: 𝐰𝐰𝐰.𝐝𝐚𝐢𝐧𝐢𝐤𝐚𝐥𝐨𝐤𝐢𝐭𝐨𝐧𝐞𝐰𝐬.𝐜𝐨𝐦
মোবাইল: ০১৯২৭-৩০২৮৫২/০১৭৫০-৬৬৭৬৫৪
আলোকিত মাল্টিমিডিয়া লিমিটেড