ঢাকাই সিনেমার দুই নায়িকা অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলীর সম্পর্কটা বেশ কয়েক বছর ধরেই দা-কুমড়ার। সুপারস্টার শাকিব খানকে ঘিরেই এই দুই নায়িকার কোন্দল। সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন সময় একে অন্যকে খোঁচা মেরে পোস্ট, আবার কোনো অনুষ্ঠান কিংবা গণমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে একে অপরকে তিরস্কার করে কথা বলতে দেখা যায় তাদের। তবে দিন যত যাচ্ছে ততই তাদের তিরস্কারের ভাষা সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। পারস্পরিক আক্রমণের মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছে যেকোনো শিষ্টাচারকে।
চলতি বছর এক সাক্ষাৎকারে অপু বিশ্বাস বলেন তিনি বুবলীকে ‘ঘৃণা’ করেন। এরপর এক স্ট্যাটাসে পরোক্ষভাবে কুকুরের সঙ্গে তুলনা টেনে এই নায়িকাকে জবাব দেন বুবলী।
সবশেষ মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারের ২৬তম আসরে শাকিব খানের কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ বিশেষ সম্মাননা স্মারক নিয়ে অপু-বুবলীর পাল্টাপাল্টি স্ট্যাটাসের পর নতুন করে আবারও আলোচনায় আসে তাদের বিরোধ।
শোবিজ অঙ্গনের অনেকেই বলছেন, সামাজিক মাধ্যমে এই দুই নায়িকার পোস্ট থেকে একটা জিনিস প্রকাশিত হতে থাকে যে দুজনই শাকিবের কাছাকাছি রয়েছেন।
মঙ্গলবার দুপুরে শবনম বুবলী ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন। যেখানে ছবিতে দেখা গেছে, শাকিব খান তার ছেলে শেহজাদ খান বীরের সঙ্গে একান্তে সময় কাটাচ্ছেন। আদরে ভরিয়ে দিচ্ছেন সন্তানকে। শাকিব ও শেহজাদের বেশ কিছু ছবি শেয়ার করে বুবলী সেই পোস্টের ক্যাপশনে লেখেন, ‘পরিবার—যেখান থেকে জীবন শুরু হয় এবং ভালোবাসা কখনো শেষ হয় না।’
বুবলীর এমন পোস্টের পর থেমে থাকেননি অপু বিশ্বাসও। কিছুক্ষণের মধ্যে তিনিও তার সন্তান আব্রাম খান জয়ের সঙ্গে তার বাবা শাকিব খানের কিছু একান্ত মুহূর্ত সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করেন।
এই দুজনের এমন পোস্ট চোখ এড়ায়নি শাকিব খানেরও। শাকিব খান দুজনের কাণ্ডে ক্ষিপ্ত হয়েছেন। শাকিবের একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র বলছে, ‘এই দুজনের একজনকেও শাকিব খান পছন্দ করেন না। বরং তাদের আচরণে শাকিব বরাবরই বিরক্ত হন। এসব ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করায় শাকিব বেজায় চটেছেন।’
ওই সূত্র আরও বলছে, বুবলী ও অপু বিশ্বাসের সঙ্গে শাকিব খানের মানসিক দূরত্ব শত শত মাইল দূরে। দুজন শাকিবের নিকটস্থ যতই বোঝাতে চান না কেন, শাকিব এ দুজনের কারো সঙ্গেই ভবিষ্যতে যে থিতু হবেন এ সম্ভাবনা নেই।
এক সাক্ষাৎকারে বিয়ে নিয়ে মুখ খোলেন শাকিব। সেখানে তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, শোনা যাচ্ছে আবার নাকি বিয়ে করবেন, তাও আবার সম্বন্ধ করে, পাত্রী নাকি চিকিৎসক! সত্যিই কি ফের সংসারী হবেন?
এই প্রশ্নের উত্তরে শাকিব বলেন, ‘মানুষ একা থাকতে পারে না। পরিবার এবং সমাজ নিয়ে বেঁচে থাকে। দেখা যাক, কোনো তাড়াহুড়া নেই যে নির্দিষ্ট কোনো বছরের মধ্যে বিয়ে করতে হবে। যদি তেমন কিছু হয় পারিবারিকভাবে হবে এবং সেটা বিয়ের পর্যায়ে যাবে। আমার বাবা-মায়ের যেহেতু বয়স হয়েছে সন্তান হিসেবে তারা আমাকে সংসারী দেখতে চান।’
মোঃ কামরুজ্জামান মিলন
সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক তুহিন প্রিন্টিং প্রেস ফকিরাপুল ঢাকা থেকে মুদ্রিত।
ই-মেইল: 𝐝𝐚𝐢𝐧𝐢𝐤𝐚𝐥𝐨𝐤𝐢𝐭𝐨𝐧𝐞𝐰𝐬@𝐠𝐦𝐚𝐢𝐥.𝐜𝐨𝐦
ই-পেপার: 𝐞𝐩𝐚𝐩𝐞𝐫.𝐝𝐚𝐢𝐧𝐢𝐤𝐚𝐥𝐨𝐤𝐢𝐭𝐨𝐧𝐞𝐰𝐬.𝐜𝐨𝐦
ওয়েবসাইট: 𝐰𝐰𝐰.𝐝𝐚𝐢𝐧𝐢𝐤𝐚𝐥𝐨𝐤𝐢𝐭𝐨𝐧𝐞𝐰𝐬.𝐜𝐨𝐦
মোবাইল: ০১৯২৭-৩০২৮৫২/০১৭৫০-৬৬৭৬৫৪
আলোকিত মাল্টিমিডিয়া লিমিটেড