তাওহিদুল ইসলাম,শৈলকুপা প্রতিনিধি:
সুস্বাদু ও মিষ্টি আঙুর বাংলাদেশেও চাষ করে যে সফলতা পাওয়া যায় তারই প্রমাণ দিয়েছেন ঝিনাইদহ সদরের প্রান্তিক কৃষক আরিফুল ইসলাম। আঙুরগাছ লাগিয়ে ফলনও ভালো পেয়েছেন তিনি। সুস্বাদু আর ফলন ভালো হওয়ায় আবাদে আগ্রহ দেখাচ্ছেন এলাকার অন্যান্য কৃষকরাও। কৃষি বিভাগ বলছে, আঙুর আবাদে দেওয়া হচ্ছে নানা সহযোগিতা। সেইসঙ্গে উৎসাহিত করা হচ্ছে অন্যদেরও। সরেজমিন দেখা যায়, বাঁশের মাচায় ঝুলছে থোকা থোকা রসালো আঙুর। সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে ঝুলে থাকা সুস্বাদু এই রসালো আঙুর ফলের পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষক। ঝিনাইদহের সদর উপজেলার বেতাইদুর্গাপুর গ্রামের কৃষক আরিফুলের ড্রাগন বাগানে গেলে দেখা মিলবে এই মিষ্টি আঙ্গুর চাষের দৃশ্য। ২০২৩ সালে পরীক্ষামূলক ১০টি জাতের চারা রোপণ করে সফল হন কৃষক আরিফুল।
সফলতা পেয়ে ২০২৪ সালে বাণিজ্যিকভাবে ১৭শতক জমিতে আঙুর চাষ শুরু করেন। অনলাইনের মাধ্যমে ভারত ও চীন থেকে চারা সংগ্রহ করে প্রায় ১০০ গাছ লাগিয়েছেন। তার বাগানে একুলো,বাইকুনুর, ব্লাক ম্যাজিক, ভেলেজ ও সিলভাসহ কয়েক জাতের আঙুরগাছ রয়েছে। চারা রোপণের ৮ মাসের মধ্যে পেয়েছেন ফলন।
দৃষ্টিনন্দন আর সুস্বাদু হওয়ায় প্রতিনিয়ত আঙুর বাগান দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসছে মানুষ। তার এই সফলতা দেখে আগ্রহ দেখাচ্ছেন এলাকার অনেক কৃষক। কৃষক ও দর্শনার্থীরা জানান, দেশে মিষ্টি আঙুর উৎপাদন হলে বাইরের দেশ থেকে আঙুর আনা লাগবে না। দেশে উৎপাদিত আঙুর দেশের চাহিদা মিটিয়ে বাইরে রপ্তানি করে লাভবান হওয়া যাবে।
আঙুর চাষি আরিফুল ইসলাম জানান, কৃষি অফিসের পাশাপাশি সরকারি সহযোগিতা পেলে দেশেই আঙুর চাষ করে চাহিদা মেটানো সম্ভব। চলতি মৌসুমে প্রতি গাছে ১০ থেকে ১৫ কেজি হারে ফলন পাওয়ার আশা করছেন তিনি। ঝিনাইদহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক যস্টি চন্দ্র রায় জানান, আঙুর উৎপাদনে পরামর্শসহ করা হচ্ছে নানা সহযোগিতা। সেইসঙ্গে উৎসাহিত করা হচ্ছে অন্য কৃষকদেরও। বাইরের দেশ থেকে আঙুর আমদানিতে যে খরচ তার থেকে কম খরচে দেশেই মিষ্টি আঙুর উৎপাদন করা সম্ভব বলে কৃষিবিদরা মনে করেন।
মোঃ কামরুজ্জামান মিলন
সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক তুহিন প্রিন্টিং প্রেস ফকিরাপুল ঢাকা থেকে মুদ্রিত।
ই-মেইল: 𝐝𝐚𝐢𝐧𝐢𝐤𝐚𝐥𝐨𝐤𝐢𝐭𝐨𝐧𝐞𝐰𝐬@𝐠𝐦𝐚𝐢𝐥.𝐜𝐨𝐦
ই-পেপার: 𝐞𝐩𝐚𝐩𝐞𝐫.𝐝𝐚𝐢𝐧𝐢𝐤𝐚𝐥𝐨𝐤𝐢𝐭𝐨𝐧𝐞𝐰𝐬.𝐜𝐨𝐦
ওয়েবসাইট: 𝐰𝐰𝐰.𝐝𝐚𝐢𝐧𝐢𝐤𝐚𝐥𝐨𝐤𝐢𝐭𝐨𝐧𝐞𝐰𝐬.𝐜𝐨𝐦
মোবাইল: ০১৯২৭-৩০২৮৫২/০১৭৫০-৬৬৭৬৫৪
আলোকিত মাল্টিমিডিয়া লিমিটেড