
পাবনা প্রতিনিধি:
পাবনা জেলার ঐতিহ্যবাহী দুলাই উচ্চ বিদ্যালয় এর শিক্ষকদের মধ্যে দুই গ্রুপের ভিশন উত্তেজনা চলছে। দীর্ঘদিন যাবত দুলাই উচ্চ বিদ্যালয় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের যোগ সাজোসে গাইড বাণিজ্য চলে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায়, ২০২৫ইং সালের লেকচার পাবলিকেশন গাইড এর পক্ষ থেকে দুলাই উচ্চ বিদ্যালয় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো: কামাল হোসেন (লিটন) ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা কমিশন গ্রহণ করেন। অপরদিকে শিক্ষক মন্ডলীদের পক্ষ থেকে সহকারী শিক্ষক এনামুল হোসেন, পাঞ্জেরী পাবলিকেশনের কাছ থেকে তিন লক্ষ টাকা কমিশন গ্রহণ করেন। যে টাকা স্কুলের মসজিদ উন্নয়ন কাজের জন্য ১ লক্ষ টাকা প্রদান করা হয়। অবশিষ্ট ২ লক্ষ টাকা শিক্ষকদের মধ্যে বণ্টনের চেষ্টা করে। কিন্তু শিক্ষকরা দাবি করেন লেকচার গাইড কোম্পানির টাকা, প্রধান শিক্ষক তার অনুসারী সহকারী শিক্ষক দোলার মাধ্যমে ব্যাংকে জমা করে। যা পরবর্তীতে নিজেদের মধ্যে ভাগ বাটোয়ারা করে নেয়। কিন্তু অন্য শিক্ষকদের দাবি লেকচার গাইডে টাকা লেকচার গাইড প্রতিষ্ঠানকে ফেরত দিয়ে, পাঞ্জেরী গাইডে টাকা শিক্ষকদের মধ্যে বন্টন করে নেওয়ার জন্য। কিন্তু প্রধান শিক্ষক লেকচার গাইডের টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করে, এবং প্রধান শিক্ষক লেকচার গাইডের উপর ভিত্তি করে সাজেশন তৈরি করে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে বিতরণ করতে চায়। এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন সিনিয়র শিক্ষক বলেন এই শিক্ষকদের টাকা ভাগাভাগির কারণে ছাত্র-ছাত্রীদের উপর পড়ালেখার প্রভাব পড়ছে। এই কমিশন বাণিজ্য বন্ধ হওয়া উচিত, তাহলে শিক্ষকরা ছাত্র ছাত্রীর দিকে পড়ালেখার জন্য মনোযোগী হবে। তখন পাঞ্জেরী গাইডে টাকা গ্রহণকারী শিক্ষক মন্ডলী বিরোধিতা করে। এই নিয়ে দুলাই উচ্চ বিদ্যালয় একটি অস্থিতিশিল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। যে,কোনো সময় বড় ধরনের গন্ডগোল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেন লিটনের সাথে মোবাইলে যোগাযোগের চেস্টা করে তাকে পাওয়া যায় নাই।এ ব্যাপারে সুজানগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন।
Like this:
Like Loading...
Related