প্রিন্ট এর তারিখঃ মে ১৪, ২০২৫, ১০:১১ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ মার্চ ৮, ২০২৫, ১২:২৯ অপরাহ্ণ
ঠাকুরগাঁওয়ে শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ
ঠাকুরগাঁওয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ওই স্কুলের সহকারি শিক্ষক মোজাম্মেল হক মানিকের বিরুদ্ধে। বর্তমানে ওই শিক্ষার্থী ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
শনিবার (৮ মার্চ) জেলা সদরের আউলিয়াপুর ইউনিয়নের কচুবাড়ি মাদারগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
ভূক্তভোগীর পরিবারের অভিযোগ, বিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও ওই বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মোজাম্মেল হক মানিক স্কুলের বাচ্চাদের প্রাইভেট পড়ান। প্রতিদিনের মতো প্রাইভেটে যায় ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী। এ সময় সুযোগ বুঝে একটি কক্ষে নিয়ে পাশবিক নির্যাতনের পর ধর্ষণ করে পালিয়ে যায় পাষন্ড শিক্ষক।
পরবর্তীতে শিশুটির চিৎকার চেচামেচিতে স্থানীয়রা এগিয়ে আসার আগেই ওই শিক্ষকের লোকজন তাকে উদ্ধার করে জেলা শহরের সেবা হাসপাতাল এন্ড ডায়াগস্টিক সেন্টার নামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে নিয়ে আসে। গোপনে চিকিৎসা দেয়ার চেস্টা করার কথা জানতে পেরে সাংবাদকর্মীরা ছুটে গেলে দ্রুত সময়ে শিশুটি জেনারেল হাসপাতালে হস্তান্তর করে প্রতিষ্ঠান কতৃপক্ষ।
এসময় সংবাদকর্মীরা ভেতরে প্রবেশ করতে চাইলে বাধা দেয়। ওই প্রতিষ্ঠানের সবুজসহ ধর্ষকের দালালেরা। ক্যামরা ছিনিয়ে নেয়ার চেস্টা করলে জেলা অন্যান্য গণমাধ্যকর্মীদের উপস্থিতিতে তারা পালিয়ে যায়। অভিযোগ রয়েছে এর আগেও এ ধরনের ঘটনা ধামাচাপা দিয়ে ওই প্রতিষ্ঠানে অনৈতিক কাজের চিকিৎসা দিয়ে মোটা অংঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নেয় জড়িতরা।
এরইমধ্যে ভুক্তভোগীর স্বজনরা এসে মেয়েটিকে জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান। এসময় তারা অভিযোগ করে বলেন, সমাজের এমন মানুষরুপী জানোয়ারদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে। ইতিমধ্যে অপরাধীকে বাঁচাতে নানা রকম পায়তারা চলছে। প্রভাবশালী রাজনীতিক নেতারা ঘটনাটিকে ধামাচাপা দিতে ওই ভুক্তভোগী শিশুকে সরকারি হাসপাতালে না পাঠিয়ে একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে নিয়ে আসে। অভিযুক্ত শিক্ষককে দ্রুত আটক করার দাবি করেন তারা।
পরবর্তীতে খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা দ্রুত ছুটে যান হাসপাতালে, ঘটনা পর্যলোচনা করে ভুক্তভোগীকে সহায়তার পাশপাশি দোষী ব্যক্তিকে আইনের আওতায় আনতে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) রকিবুল আলম জানান, ধর্ষণের অভিযোগে একটি শিশু হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি এবং এ ঘটনার প্রেক্ষিতে ডাক্তারি পরীক্ষা নীরিক্ষা চলছে। ঐ শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
আর অভিযুক্ত স্কুল শিক্ষক মোজাম্মেল হক মানিকের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে ভুল্লী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি শুনেছেন। অভিযুক্তকে আটকের চেষ্টা চলছে। সেই সাথে পরিবারকে এজাহার দেয়ার কথা বলা হয়েছে। অপরাধী যেই হোক তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
মোঃ কামরুজ্জামান মিলন
সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক তুহিন প্রিন্টিং প্রেস ফকিরাপুল ঢাকা থেকে মুদ্রিত।
ই-মেইল: 𝐝𝐚𝐢𝐧𝐢𝐤𝐚𝐥𝐨𝐤𝐢𝐭𝐨𝐧𝐞𝐰𝐬@𝐠𝐦𝐚𝐢𝐥.𝐜𝐨𝐦
ই-পেপার: 𝐞𝐩𝐚𝐩𝐞𝐫.𝐝𝐚𝐢𝐧𝐢𝐤𝐚𝐥𝐨𝐤𝐢𝐭𝐨𝐧𝐞𝐰𝐬.𝐜𝐨𝐦
ওয়েবসাইট: 𝐰𝐰𝐰.𝐝𝐚𝐢𝐧𝐢𝐤𝐚𝐥𝐨𝐤𝐢𝐭𝐨𝐧𝐞𝐰𝐬.𝐜𝐨𝐦
মোবাইল: ০১৯২৭-৩০২৮৫২/০১৭৫০-৬৬৭৬৫৪
আলোকিত মাল্টিমিডিয়া লিমিটেড
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত