প্রিন্ট এর তারিখঃ মে ১৫, ২০২৫, ১২:৪৫ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ মার্চ ৪, ২০২৫, ৬:৩৯ পূর্বাহ্ণ
জলঢাকা সাব রেজিস্ট্রি অফিস দুর্নীতির আখরায় পরিণত!
তুহিনুর রহমান,জলঢাকা (নীলফামারী)প্রতিনিধিঃ
নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার অফিস এখন দুর্নীতির স্বর্গরাজে পরিণত হয়েছে। সাধারণ জনগণের জমি-জমা সংক্রান্ত ন্যায্য কাজ সম্পন্ন করতে গিয়ে গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা।
গতকাল সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় দলিল প্রতি সরকারি এন এন ফি ২৪০ থেকে ৩৬০ টাকা হলেও বাস্তবে নেওয়া হচ্ছে ১২শ ৪০ থেকে ১৩শ টাকা! শুধু তাই নয়, টিপসই ফি, চেক কাটা কমিশনসহ নানা অজুহাতে জনগণের পকেট কাটছে এই অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
এন এন ফি সংক্রান্ত বিষয়ে টিসি শাখা অবসরপ্রাপ্ত মোজাম্মেল বলেন, এসব টাকার বিভিন্ন খাত আছে।
সাধারণ জনগণ অভিযোগ করে বলেন, সাব রেজিস্ট্রারের দপ্তরে দলিল পার করাতে গেলে দুই-তিন দিন ধরে হয়রানির শিকার হতে হয়। নানা অজুহাতে ঘুরিয়ে রাখা হয়, যতক্ষণ না মোটা অংকের টাকা দেওয়া হয়। বিশেষ করে অসুস্থ রোগী কিংবা বৃদ্ধদের দলিলের ক্ষেত্রে মানবিক দিক বিবেচনা না করে উল্টো মোটা অংকের ঘুষ দাবি করা হয়!
এসব অনিয়মের সত্যতা পাওয়া গেলেও, সাব রেজিস্ট্রার অফিসের কোনো কর্মকর্তার টনক নড়েনি। জনগণের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ দীর্ঘদিনের, কিন্তু দপ্তরের কেউই বিষয়টি আমলে নিচ্ছেন না। প্রশ্ন উঠেছে, এত অনিয়মের পরও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কেন নিশ্চুপ?
স্থানীয়রা দাবি তুলেছেন, এই দুর্নীতিবাজ সাব রেজিস্ট্রারকে দ্রুত অপসারণ করতে হবে। তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে, সাধারণ জনগণের হয়রানি বন্ধ হবে না। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ নেবে বলে প্রত্যাশা করছেন ভুক্তভোগীরা।
এ বিষয়ে সাব-রেজিস্ট্রার লুৎফর রহমান মোল্লা বলেন,
"আমি নতুন এসেছি, এ বিষয়ে তেমন কিছু জানি না। তবে এন ফিসের জন্য ৩৬০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া যাবে। বাড়তি টাকা নেওয়ার কোনো নিয়ম নেই। টিপসইয়ের সময় কেউ খুশি হয়ে দিলে নিতে পারে, তবে সেটিও বাধ্যতামূলক নয়।"
মোঃ কামরুজ্জামান মিলন
সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক তুহিন প্রিন্টিং প্রেস ফকিরাপুল ঢাকা থেকে মুদ্রিত।
ই-মেইল: 𝐝𝐚𝐢𝐧𝐢𝐤𝐚𝐥𝐨𝐤𝐢𝐭𝐨𝐧𝐞𝐰𝐬@𝐠𝐦𝐚𝐢𝐥.𝐜𝐨𝐦
ই-পেপার: 𝐞𝐩𝐚𝐩𝐞𝐫.𝐝𝐚𝐢𝐧𝐢𝐤𝐚𝐥𝐨𝐤𝐢𝐭𝐨𝐧𝐞𝐰𝐬.𝐜𝐨𝐦
ওয়েবসাইট: 𝐰𝐰𝐰.𝐝𝐚𝐢𝐧𝐢𝐤𝐚𝐥𝐨𝐤𝐢𝐭𝐨𝐧𝐞𝐰𝐬.𝐜𝐨𝐦
মোবাইল: ০১৯২৭-৩০২৮৫২/০১৭৫০-৬৬৭৬৫৪
আলোকিত মাল্টিমিডিয়া লিমিটেড
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত