প্রিন্ট এর তারিখঃ জুলাই ২৮, ২০২৫, ১২:৫৩ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২৫, ৪:৫৭ অপরাহ্ণ
জলঢাকায় জেলা পরিষদের জায়গা দখল ও রমরমা বানিজ্য
মোহাম্মদ লাল মিয়া,নীলফামারী প্রতিনিধিঃ
নীলফামারীর জলঢাকায় জেলা পরিষদের কোটি টাকা মূল্যের জমি দখল করে নির্বিঘ্নে পাকা স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে জলঢাকা পৌর ছাত্রদলের সাবেক নেতার বিরুদ্ধে। অনুসন্ধানে জানাগেছে, নীলফামারী জেলা পরিষদের আওতায় জলঢাকা উপজেলার থানামোড় সংলগ্ন ৫৯ শতাংশ জমি রয়েছে।সেই জমির উপর জেলা পরিষদ সুপার মার্কেট নির্মানের গুঞ্জন অনেক আগে থেকেই শুনা যাচ্ছিলো।সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ে অনেক আগেই সেটির প্রস্তাবনাও পাটানো হয়েছিলো। সকল জল্পনা- কল্পনার অবসান ঘটিয়ে সর্বশেষ গত বছর মার্কেট নির্মানের চুরান্ত পদক্ষেপ গ্রহন করে জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ।এবং গত বছরের মে মাসে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে সাথে নিয়ে মার্কেট উদ্বোধনের মাইল ফলক উন্মোচন করেন তৎকালীন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মমতাজুল হক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন নাহার ।কিন্তু গত ৫ই আগষ্টের পরে জেলা পরিষদ বিলুপ্তির পরেই স্থানী এই প্রভাবশালী মহল তা দখল করে নিচ্ছে। গীলে খাচ্ছে এসব জমি। এবং অবৈধভাবে স্থাপনা তৈরীর হিরিক লেগেছে কিন্তু জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষের কোন ভূমিকা লক্ষ করা যাচ্ছে না
সরেজমিনে দেখা গেছে, উক্ত জায়গায় মজবুদ পাইলিং দিয়ে অর্ধশতাধিক পাকা স্থাপণা নির্মাণ করা হয়েছে এবং বহু স্থাপনার কাজ চলমান রয়েছে। এ বিষয়ে একাধিক ব্যাক্তি জানান, জেলা পরিষদের এ জায়গায় তারা প্রায় এক যুগ ধরে দোকানপাট করছে আসছিলো। মার্কেট নির্মানের কথা শুনে জায়গা ছেড়ে দিয়েছে কিন্তু ৫ই-আগষ্টের পর এই সিন্ডিকেট চক্র দলীয় পরিচয় দিয়ে প্রভাবখাটিয়ে পুরা জায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মান করেছেন।প্রথমে দখল তারপর স্থাপনা নির্মান এরপর মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে তা বিক্রি করে দিচ্ছে। এ সিন্ডিকেট চক্রের অন্যতম মুল হোতা হিসেবে জলঢাকা পৌর ছাত্রদলের সাবেক আহবায়ক রায়হান এবং তার তিন সহযোগী শামিম,রশিদুল এবং প্রদিপের নাম অনুসন্ধানে এসেছে।নিজেকে বিএনপি নেতা পরিচয় দিয়ে দাম্ভিকতার সাথে তারা এসব কার্যক্রম পরিচালিত করছে। বিএনপি পরিচয় দেওয়ায় দলের মান ক্ষুন্ন হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছে উপজেলা বিএনপির উচ্চ পর্যায়ের কয়েকজন নেতা। এ বিষয়ে অভিযুক্ত রায়হানের সাথে কথা বলতে গেলে দাম্ভিকতা দেখিয়ে তিনি এ প্রতিবেদককে তিনি বলেন, ছবি এবং ভিডিও করে কি করেন দেখা যাবে।
তারা বিএনপির কোন ইউনিটের নেতা এ বিষয়ে জানতে উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক মোঃ ময়নুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, তাদের নাম বিএনপির কমিটিতে আছে কিনা এটা আমার জানা নেই।তবে যদি বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে কেউ অপকর্ম করে এর দায় বিএনপি নিবে না। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জায়িদ ইমরুল মোজাক্কিন মুঠোফোনে বলেন,বিষয়টি দেখবো। এ বিষয়ে নীলফামারী জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (উপসচিব) দীপঙ্কর রায় জানান, জেলা পরিষদের জায়গা দখলের কোন সুযোগ নেই। এদিকে সচেতন মহল মনে করেন, রাজনৈতিক প্রভাব ও সুষ্ঠু তদারকির অভাবে সরকারি সম্পত্তি প্রভাবশালীদের দখলে চলে যাওয়ায় রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন কর্তৃপক্ষ তাই জেলা পরিষদকে বিচক্ষণতার সঙ্গে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহন করে এবং আধুনিক একটি সুপার মার্কেট নির্মান করবে এমনটাই প্রত্যাশা তাদের।
মোঃ কামরুজ্জামান মিলন
সম্পাদক ও প্রকাশক কর্তৃক তুহিন প্রিন্টিং প্রেস ফকিরাপুল ঢাকা থেকে মুদ্রিত।
ই-মেইল: 𝐝𝐚𝐢𝐧𝐢𝐤𝐚𝐥𝐨𝐤𝐢𝐭𝐨𝐧𝐞𝐰𝐬@𝐠𝐦𝐚𝐢𝐥.𝐜𝐨𝐦
ই-পেপার: 𝐞𝐩𝐚𝐩𝐞𝐫.𝐝𝐚𝐢𝐧𝐢𝐤𝐚𝐥𝐨𝐤𝐢𝐭𝐨𝐧𝐞𝐰𝐬.𝐜𝐨𝐦
ওয়েবসাইট: 𝐰𝐰𝐰.𝐝𝐚𝐢𝐧𝐢𝐤𝐚𝐥𝐨𝐤𝐢𝐭𝐨𝐧𝐞𝐰𝐬.𝐜𝐨𝐦
মোবাইল: ০১৯২৭-৩০২৮৫২/০১৭৫০-৬৬৭৬৫৪
আলোকিত মাল্টিমিডিয়া লিমিটেড
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত