
সৈয়দ কামরুজ্জামান,মৌলভীবাজার প্রতিনিধিঃ
মৌলভীবাজার সদর উপজেলার আমতৈল গ্রামে ১২ বছর ধরে গড়ে ওঠেছে মুরগী, ডিম ও বাচ্চা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সিপি বাংলাদেশ লি.। এ কোম্পানির বর্জ্বের অব্যবস্থাপনা ও জেনারেটরের বিকট আওয়াজে শব্দদূষণের প্রতিবাদে স্থানীয় ভুক্তভোগী এলাকার সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীরা ওই শিল্প প্রতিষ্ঠানের অদূরে সোমবার দুপুরে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে।
আমতৈল এলাকার ভুক্তভোগী মানুষের অভিযোগে জানা যায়, এক যুগ আগে সিপি বাংলাদেশ নামে একটি বিদেশী কোমাপানি ৩০-৩৫ বিঘা জমি ভাড়া নিয়ে মুরগী, ডিম ও বাচ্চা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে।
শুরুতে জেনারেটরের শব্দ কিংবা বর্জ্যের অব্যবস্থাপনা মানুষের ব্যাঘাত সৃষ্টি করেনি। গত কয়েক বছর ধরে জেনারেটরের বিকট আওয়াজে শব্দদূষণে কোম্পানির চতুর্দিকের ঘর বাড়ি মানুষ সহ স্কুল-মাদ্রাসায় পড়–য়া শিক্ষার্থীরা বিপাকে পড়েছেন।
অন্যদিকে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ময়লা পানি আশপাশ জমিতে নির্গত হয়ে ফসলহানি এবং পরিবেশ দূষণ করছে। এছাড়া মুরগীর বিষ্টার গ্যাস বাতাসে মিশ্রণের নেতিবাচক প্রভাবে এলাকার মানুষ বিভিন্ন ধরণের রোগবালাইয়ে আক্রান্ত হচ্ছেন।
সিপি কোম্পানির বিট ফিশারীতে মাছ কে খাবার হিসাবে দেওয়া হয় ওই মাছ আবার আমরা সবে বাজার থেকে কিনে বাড়িতে এনে রান্না করে খাই সবে মিলে তার পর আস্তে আস্তে আমরা অসুস্থ হয়ে মৃত্যুর কোলে ডলে পড়ি এই সবের জন্য কারা দায়ী এলাকার চাচা কোম্পানিত সিন্ডিকেট করে ব্যবসা করতেছেন কোম্পানিরে সেল্টার দিতেছেন ভালো কথা কিন্তু গরীব মানুষের জীবন নরকে পরিণত করার কোনো অধিকার আপনার নেই আল্লাহকে একটু ভয় করেন তুমরাও মরণশীল।
স্থানীয় জনসাধারণের ঘোর আপত্তি উপেক্ষা করে
এই খামার স্থাপন করা হয়েছে এতে পরিবেশগত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গ্রহণ না করায় দিবারাত্রি খামারের প্রচণ্ড বিটের দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে। খামারের আশপাশ গ্রামের মানুষের বসবাস করা কঠিন হয়ে পড়েছে এই খামার স্থাপনের ফলে এলাকার শিশু, বয়স্ক ও নারীদের মধ্যে শ্বাসকষ্ট, পেটপাপা ডায়রিয়া ক্যান্সার চর্মরোগসহ বিভিন্ন ধরণের প্রাদুর্ভাব বেড়ে চলেছে এবং চরম স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি দেখা দিয়েছে।
Like this:
Like Loading...
Related